ছাত্রদলের সেক্রেটারি পদে আলোচিত ৩ জন
2019-09-08 10:37:54
বিএনপির ভ্যানগার্ড নামে পরিচিত ছাত্রদল। এক সময়ের প্রতাপশালী এই সংগঠনটির বর্তমানে ভঙ্গুর অবস্থা। কোথাও নেই তারা। এবারের কাউন্সিলে ভোট হচ্ছে শীর্ষ দুই পদে। কাউন্সিলররা ভোটের মাধ্যমে বেছে নেবেন সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক। এরই মধ্যে ছাত্রদলে তৈরি হয়েছে উৎসবের আমেজ। সভাপতি পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ৬ জন। আর সাধারণ সম্পাদক পদে লড়ছেন ১৯ জন। ভোটের মাধ্যমে নির্বাচন হওয়ায় তফসিল ঘোষণার পর থেকেই কাউন্সিলরদের দরজায় দরজায় ঘুরছেন প্রার্থীরা।
ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় নেতৃত্বে আসার আলোচনায় অনেকের নাম শোনা গেলেও সেক্রেটারি পদে আলোচিত হচ্ছেন ৩ জন।
কারীমুল হাই নাইম
তার গ্রামের বাড়ি নোয়াখালী জেলার হাতিয়ায়। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মাস্টার্স শেষ করে বর্তমানে একটি প্রতিষ্ঠান এলএলবিতে অধ্যয়নরত আছেন। ছাত্রদলের বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মীরা কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক হিসেবে কারীমুল হাই নাইমকে দেখতে চাচ্ছেন। তার পক্ষে বিভিন্ন জেলায় জেলায় গিয়ে ভোটারদের কাছে ভোট চাচ্ছেন। গত জাতীয় নির্বাচন এবং বিএনপি চেয়ারপারসনের মুক্তির আন্দোলনে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করছেন। ফ্রেশ ইমেজের কারনে ছাত্রদলের বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মীদের মাঝে ব্যাপক জনপ্রিয়তা লাভ করেছেন কারীমুল হাই নাইম। তিনি ২০০০ সালে এইচএসসি পাশ করেছেন।
কারীমুল হাই নাইম বলেন, ছাত্রদলের শক্ত অবস্থান তৈরি, শিক্ষার্থীদের কল্যাণে এবং বিএনপির রাজিনীতিতে আমার জীবন উৎসর্গ করতে চাই।
শাহ নেওয়াজ
তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আরবী বিভাগ থেকে মাস্টার্স শেষ করে বর্তমানে একটি প্রতিষ্ঠানে অধ্যয়নরত আছেন। তার বাড়ি নোয়াখালী জেলায়। কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক পদে তার সম্ভাবনা অন্যতম। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের যুগ্ম-সম্পাদক ইতিমধ্যে শাহনেওয়াজ সারা দেশ ঘুরে ঘুরে কাউন্সিলে ভোটারদের কাছে পৌঁছে গিয়েছেন এবং ভোট প্রার্থনা করছেন। ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা মনে করছেন, সাধারণ সম্পাদক শাহ নেওয়াজ হলে ছাত্রদল উজ্জীবিত হবে এবং বিএনপির রাজনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারবে। শিক্ষার্থীর জন্য কাজ করতে পারবে।
ইকবাল হোসেন শ্যামল
ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় নেতৃত্বে আসার আলোচনায় অনেকের নাম শোনা গেলেও সেক্রেটারি পদে আলোচিত হচ্ছেন ইকবাল হোসেন শ্যামল। তার বাড়ি নরসিংদীর রায়পুরা উপজেলায়। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্যবিজ্ঞান ও গ্রন্থাগার ব্যবস্থাপনা বিভাগের শিক্ষার্থী। গত ডাকসু নির্বাচনের ছাত্রদলের প্রার্থীদের পক্ষে সক্রিয় ভূমিকা পালন করেন। এছাড়াও গত জাতীয় নির্বাচন এবং বিএনপি চেয়ারপারসনের মুক্তির আন্দোলনে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করছেন। ফ্রেশ ইমেজের কারনে ছাত্রদলের বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মীদের মাঝে ব্যাপক জনপ্রিয়তা লাভ করেছেন শ্যামল।
বিএনপি নেতাদের বক্তব্য
১৯৮৩-৮৬ সালের ছাত্রদলের সভাপতি ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু বলেন, তারেক রহমানের পরামর্শেই তারা উদ্যোগী হয়ে কাউন্সিলের মাধ্যমে নেতৃত্ব নির্বাচনের চ্যালেঞ্জ নিয়েছেন।এই নির্বাচনের উদ্দেশ্যই হচ্ছে মেধাবী ও পরীক্ষিত নেতৃত্ব গড়ে তোলা। ভোটই ঠিক করবে, ছাত্রদলের আগামী নেতা কে হবে।
ছাত্রদলের দুই শীর্ষ নেতা নির্বাচন ১৪ সেপ্টেম্বর।
ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সহসভাপতি আসাদুজ্জামান পলাশ মনে করেন, শীর্ষ দুই পদে জয়ী হতে মূল ফ্যাক্টর হবে অঞ্চলভিত্তিক ভোট। চট্টগ্রাম বিভাগে প্রার্থী আছে। তিনি চাইবেন অন্য বিভাগের ভোট কীভাবে পাওয়া যায়। আবার খুলনা বিভাগেও প্রার্থী আছে, সেখানে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ভোট। এই বিভাগের প্রার্থী মনে করবে এসব আমাদের নিজেদের ভোট, অন্য বিভাগের ভোট কীভাবে আনা যায়। তবে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদে যারা জয়ী হবেন তাকে ঢাকা বিভাগের ভোটের ওপর নির্ভর করতে হবে। কারণ এ বিভাগের ভোট সবচেয়ে বেশি।