ইডেন মহিলা কলেজে ছাত্রলীগ নেত্রীদের দুই পক্ষে সংঘর্ষে হয়েছে। এতে বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। শনিবার সকাল ৮টারদিকে এ সংঘর্ষ হয়। ঘটনার পর কলেজ ক্যাম্পাসে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়।

সূত্র জানিয়েছে, ইডেন মহিলা কলেজ শাখা ছাত্রলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক মাহবুবা নাসরিন রুপা বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা হলে ২১৯ নং কক্ষে নাবিলা নামের একজন বহিরাগতকে টাকার বিনিময়ে রাখতেন। তাকে রাখাকে কেন্দ্র করে হলে অন্য নেত্রীদের সঙ্গে কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে রুপা তার অনুসারীদের নিয়ে অন্য নেত্রীদের ওপর হামলা করেন।

এসময় সাবিকুন্নাহার তামান্নার হাতে ধারালো অস্ত্র দিয়ে হাতে কোপ দেন রুপা। আহত তামান্নাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়েছে। আহত সাবিকুন্নাহার তামান্না ইডেন মহিলা কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সদস্য।

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পুলিশ ফাঁড়ির এসআই বাচ্চু মিয়া বলেন, সকালে আহত অবস্থায় ইডেন কলেজের ছাত্রী সাবিকুন্নাহার তামান্নাকে হাসপাতালে আনা হয়। তার হাতে দায়ের কোপ লেগেছে। তাকে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।

সংঘর্ষের বিষয়ে জানতে চাইলে ছাত্রলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক রুপা বলেন, ‘আমি এমন কোনো সমর্থক তৈরি করিনি যারা রুমে গিয়ে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা করবে। ছাত্রলীগের যুগ্ম আহবায়ক আনজুম আরা অনু ইডেন কলেজের ৬টি হলে আমার সমর্থকদের গিয়ে মারধর করেছে। পরে রাজিয়া হলের ২০৮ নং কক্ষে গিয়ে তারা আমার একটি আইফোন ১৭ হাজার টাকা ছিনিয়ে নিয়েছে।’

তিনি বলেন, আমি প্রথমে খবর পেয়েছিলাম নাবিলা নামে একটা মেয়েকে মারধর করেছে। খবর পেয়ে আমি গেলে আমার কাপড় ছিঁড়ে দেয়, বাইরে বের হওয়ার মত অবস্থা ছিল না। নাবিলা বহিরাগত কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, নাবিলা তার চাচাতো বোন এবং সে ইডেন কলেজের ডিগ্রির ছাত্রী ছিল।

এ বিষয়ে আনজুমান আরা অনু বলেন, সংঘর্ষের সময় আমি ক্যাম্পাসে ছিলাম না। আমি পরে এসেছি। এসময় তিনি উত্তেজিত হয়ে একজন সাংবাদিককে বলেন- আপনার পেশাই তো আমার বিরুদ্ধে নিউজ করা। আপনাদেরক খেয়ে আর কোনো কাজ নেই।’ তবে কাদের সঙ্গে সংঘর্ষ হয়েছে এটা ইডেন কলেজ অধ্যক্ষে ভালো বলতে পারবেন বলে জানান অনু।

লালবাগ থানার ওসি একেএম আশরাফ উদ্দিন বলেন, ‘আমরা শুনেছি হলে মেয়েদের মধ্যে ঝামেলা হয়েছে। কয়েকজন আহত হয়েছেন। ঘটনার পর সেখানে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।’