19722

চা-শ্রমিকদের মজুরী ৩০০টাকা করার দাবিতে মানববন্ধন ও কর্মবিরতি

চা-শ্রমিকদের মজুরী ৩০০টাকা করার দাবিতে মানববন্ধন ও কর্মবিরতি

2020-10-14 05:52:10

বাংলাদেশের সবচেয়ে অবহেলিত জনগোষ্ঠী হলো চা-শ্রমিক। দেশ স্বাধীন হওয়ার পরে বঙ্গবন্ধু এদেশের চা-শ্রমিকদের ভোটাধিকার দেন।আমরা জানি, বঙ্গবন্ধুর বাংলায় বৈষম্যের ঠাই নেই।দেশের বর্তমান পরিস্থিতি বিবেচনায় চা-শ্রমিকদের মজুরী ১০২ টাকা মোটেই কাম্য নয়।মজুরী বোর্ড বর্তমান চা-শ্রমিকদের মজুরী ১০২ টাকা থেকে ১২০টাকায় উন্নীত করার চিন্তাভাবনা করেছে।এরই পরিপ্রেক্ষিতে চা-শ্রমিকদের মজুরী নুন্যতম ৩০০টাকা করার দাবিতে প্রত্যেকটি চাবাগানের চা-শ্রমিকরা মানববন্ধন ও কর্মবিরতির আয়োজন করে।

কমলগঞ্জের কানিহাটি চাবাগানে ঢাবির মার্কেটিং বিভাগের ছাত্রনেতা সন্তোষ রবি দাস অঞ্জনের উদ্যোগে টানা ৪টা দিন কানিহাটি চাবাগানের চা-শ্রমিক ও বাগান পঞ্চায়েত আন্দোলন ও বিক্ষোভ মিছিল করে।তাদের দাবি মজুরী নুন্যতম ৩০০টাকা করা হউক।

উক্ত মানববন্ধনে সঞ্চালকের ভূমিকা পালন করেন বাবু রামভজন দাশ।প্রথমে শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন সুমন রবিদাস, তিনি তার বক্তব্যে মাননীয় প্রধান মন্ত্রীর সহায়তা কামনা করেন।এরপর বক্তব্য রাখেন শমসেরনগর ৭,৮,৯ নং ওয়ার্ডের সদ্যসা নমিতা রানি সিং।তিনি চা-শ্রমিকদের দাবি দাওয়া সরকারের নিকট পেশ করার জন্যে অত্র এলাকার এম পি শহীদ স্যারের সাহায্য পার্থনা করেন।এরপরে বক্তব্য রাখেন ঢাবির মার্কেটিং বিভাগের বহুল পরিচিত মুখ ছাত্রনেতা সন্তোষ রবি দাস অঞ্জন। তিনি উনার বক্তব্যের শুরুতে বলেন,চা-শ্রমিকের মতো নিরীহ জাতি আর কোনো জাতি নেই এই পৃথিবীতে।

তিনি তার বক্তব্যের মাধ্যমে চা-শ্রমিকের ও মালিকপক্ষের দালালদের সাবধান হওয়ার জন্যে সর্তক করেন।উনি আরো বলেন যে,এই মজুরী ৩০০টাকায় উন্নীত করে চা-শ্রমিক ইউনিয়নের নেতারা একটি রোল মডেল হতে পারেন।সর্বশেষে,কানিহাটি চাবাগানের বাগান পঞ্চায়েতের সভাপতি বাবু প্রতাপ রিকিয়াসন ও সাধারণ সম্পাদক বাবু বৈকুণ্ঠ বক্তব্য দেন।তারা এই মজুরী মেনে নেওয়ার আহবান জানান।অবশেষে বাবু প্রতাপ উক্ত মানববন্ধন ও কর্মবিরতির সমাপ্তি ঘোষণা করে চা-শ্রমিকদের কাজে যোগদানের জন্যে নির্দেশ দেন।

সম্পাদক: ইসমাঈল হোসাইন রাসেল
যোগাযোগ: ক্যাম্পাস টাইমস
৪৩ শহীদ নজরুল ইসলাম সড়ক, হাটখোলা রোড, চৌধুরী মল, টিকাটুলি, ঢাকা-১২০৩
মোবাইল: ০১৬২৫ ১৫৬৪৫৫
ইমেইল:[email protected]