ক্যাম্পাসের অভ্যন্তরেই হেনস্থার শিকার চবির ২ ছাত্রী
2021-09-18 02:27:59
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) ক্যাম্পাসের অভ্যন্তরেই ক্যাম্পাসের ৪ ছাত্রে দ্বারা হেনস্থার শিকার হয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ২ ছাত্রী। হেনস্থার শিকার দুজন যোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের ৩য় ও ৪র্থ বর্ষের ছাত্রী। অপরদিকে হেনস্থাকারী ৪ জনই প্রথম বর্ষের ছাত্র বলে জানা যায়।
বৃহস্পতিবার (১৬ সেপ্টেম্বর) রাত সাড়ে ১১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের সামনে এ ঘটনা ঘটে।
এ সময় ঘটনাস্থল থেকেই একজনকে আটক করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. রবিউল হাসান ভূইয়া। আটককৃত সে শিক্ষার্থীর নাম জুনায়েদ। সে বিশ্ববিদ্যালয়ের আরবি বিভাগের প্রথম বর্ষের ছাত্র। তার দেওয়া তথ্যানুসারে বাকি তিনজন হলেন- ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের রুবেল, দর্শন বিভগের ইমন ও রাজু।
অপরদিকে প্রক্টর বরাবর অভিযোগ না দেয়ার জন্য অর্পণ দাস নামে অপর এক ছাত্র ফোন করে হুমকি ধমকি দিচ্ছেন বলেও অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী ওই ছাত্রীরা।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, অর্পণ দাস বিশ্ববিদ্যালয়ের জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ২০১৭-২০১৮ সেশনের শিক্ষার্থী।
ভুক্তভোগী দুই ছাত্রী জানান, আমরা শহরে ব্যাক্তিগত কাজ সম্পন্ন করে ক্যাম্পাসে ফিরতে একটু রাত হয়ে গিয়েছিল। আমরা যখন বিশ্ববিদ্যালয়ের সেন্ট্রাল মসজিদ অতিক্রম করছিলাম তখন চারটা ছেলে আমাদের পথ আটকে বিভিন্নভাবে হেনস্তা করতে থাকে। সে সময় প্রক্টর স্যারের গাড়ি এদিক দিয়ে যাওয়ার সময় আমরা স্যারের গাড়ি থামাই। প্রক্টরের গাড়ি দেখে ঐ ছেলেরা পালিয়ে যায়। এসময় হেনস্থাকারী একজন প্রক্টরিয়াল বডির হাতে ধরা পড়ে।
ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী বলেন, প্রক্টর স্যার ছেলেটার তথ্য ও মোবাইল ফোন নিয়েছেন। আমাদের আশ্বাস দিয়েছেন এর বিচার করা হবে। আগামী রোববার আমরা লিখিত অভিযোগ দেব। এ ছাড়া অর্পন দাস নামে একজন আমাকে ফোন করে অভিযোগ দিতে নিষেধ করেছেন।
প্রক্টর ড. রবিউল হাসান ভূঁইয়া বলেন, বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১১টায় ক্যাম্পাস পর্যবেক্ষণে আমাদের গাড়ি কেন্দ্রীয় মসজিদের সামনে গেলে দুইজন ছাত্রী আমাদের গাড়ি থামিয়ে তাদের হেনস্তার কথা বলেন। আমরা গাড়ি থামালে হেনস্তাকারীরা পালিয়ে যায়। তবে এর মধ্যে একজন ধরা পড়ে। তার মুঠোফোন জব্দ করা হয়েছে। আগামী রোববার তার সঙ্গে কথা বলে অন্য অভিযুক্তদের পরিচয় জেনে আমরা ব্যবস্থা নেব।