ছাত্রলীগ নিষিদ্ধ হওয়ায় বেরোবিতে আনন্দ মিছিল
2024-10-24 08:43:05
ছাত্রলীগকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে নিষিদ্ধ করে সরকারি প্রজ্ঞাপন জারি করায় আনন্দ মিছিল করেছে রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
বুধবার ( ২৩ অক্টোবর) সরকারি প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ করায় রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের মুল ফটকের সামনে একটা আনন্দ মিছিল বের হয়।মিছিলটি পার্কের মোড় শুরু হয়ে চকবাজার থেকে ঘুরে এসে আবার মূল ফটকের সাৃনে এসে শেষ হয়।পরে এই মিছিলে যোগ দেয় কারমাইকেল কলেজ। এই সময় শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন রকম শ্লোগান তুলে।
আনন্দ মিছিলে অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীরা জানান,অন্তবর্তীকালীন সরকারের এই সিদ্ধান্ত কে আমরা সাধারণ শিক্ষার্থীরা সাধুবাদ জানাচ্ছি।কারন এই সন্ত্রাসী সংগঠন সারা বাংলাদেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গুলোতে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছিলো।খুন,গুম,ছিনতাই, চাঁদাবাজি, শিক্ষার্থী নির্যাতন,টেন্ডারবাজিসহ সকল ধরনের অপকর্মে জড়িত ছিলো প্রতাক্ষ্য ও পরোক্ষভাবে। আমরা সরকার কে আরো আহ্বান জানাচ্ছি যে,আওয়ামী সকল পার্শসংগঠন গুলোকে নিষিদ্ধ করতে হবে।
তারা আরও জানান যে,যারা আগে ছাত্রলীগ করতো আমরা তাদের কে চিনি,এর পরও যদি এরা অন্য কোনো সংগঠনে যায় তাহলে আমরা তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিবো।
উল্লেখ্য প্রজ্ঞাপনে বলা হয় বিগত ১৫ বৎসরের স্বৈরাচারী শাসনামলে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগ হত্যা, নির্যাতন, গণরুম কেন্দ্রিক নিপীড়ন, ছাত্রাবাসে সিট বাণিজ্য, টেন্ডারবাজী, ধর্ষণ ও যৌন নিপীড়নসহ নানাবিধ জননিরাপত্তা বিঘ্নকারী কর্মকান্ডে জড়িত ছিল এবং এতৎসম্পর্কিত প্রামান্য তথ্য দেশের সকল প্রধান গণমাধ্যমে প্রকাশিত হইয়াছে এবং কিছু সন্ত্রাসী ঘটনায় সংগঠনটির নেতা-কর্মীদের অপরাধ আদালতেও প্রমাণিত হয়েছে।
যেহেতু ১৫ জুলাই ২০২৪ তারিখ হইতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা আন্দোলনরত ছাত্র-ছাত্রী ও সাধারণ জনগণকে উন্মত্ত ও বেপরোয়া সশস্ত্র আক্রমণ করিয়া শতশত নিরপরাধ শিক্ষার্থী ও ব্যক্তিদের হত্যা করিয়াছে এবং আরো অসংখ্য মানুষের জীবন বিপন্ন করেছে।
তাই সরকারের নিকট যথেষ্ট তথ্য-প্রমাণ রয়েছে যে, ০৫ আগস্ট ২০২৪ তারিখ আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পরও বাংলাদেশ ছাত্রলীগ রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমূলক, ধ্বংসাত্মক ও উস্কানিমূলক কর্মকাণ্ড এবং বিভিন্ন সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের সাথে জড়িত রয়েছে।