ছাত্রলীগকে আইন করে নিষিদ্ধের দাবি
2024-10-25 14:31:40
গত ২৩ অক্টোবর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে ছাত্রলীগ নিষিদ্ধের প্রজ্ঞাপন প্রকাশের পর, গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বশেমুরবিপ্রবি) সাধারণ শিক্ষার্থীরা আনন্দ মিছিল করেছে। মিছিল শেষে অনুষ্ঠিত সমাবেশে বক্তারা ছাত্রলীগকে আইন করে নিষিদ্ধের দাবি জানান।
গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের হল চত্বরে শুরু হওয়া মিছিলটি বিজয় দিবস হল, স্বাধীনতা দিবস হল, শেখ রাসেল হল, লিপুস ক্যান্টিন ও নিউমার্কেট হয়ে মেইন গেট পর্যন্ত যায়। এসময় শিক্ষার্থীরা ‘আজকের এই দিনে, আবরার তোমায় পড়ে মনে’, ‘হৈ হৈ রৈ রৈ, ছাত্রলীগ গেলি কই’, ‘মুজিববাদ মুরতাদ, ইনকিলাব জিন্দাবাদ’, ‘ছাত্রলীগ জঙ্গী, শেখ হাসিনা সঙ্গী’, ‘আমার সোনার বাংলায়, ছাত্রলীগের ঠাঁই নাই’ বিভিন্ন স্লোগান দেয়।
শিক্ষার্থীরা যারা জুলাই মাসের ছাত্র আন্দোলনে বাধা দিয়েছে এবং হামলা ও হুমকি দিয়েছে তাদের বিচার দাবি করেন। তারা ছাত্রলীগের সকল নেতা-কর্মীকে বিশ্ববিদ্যালয়ে নিষিদ্ধ করার এবং নিরাপত্তা কর্মকর্তা তরিকুল ইসলামকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করার দাবিও করেন। এছাড়া, জয় বাংলা ও শেখ হাসিনা চত্বরের নাম পরিবর্তন করে শহীদ শিক্ষার্থী মুজাহিদ ও মইনুলের নামে রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
মিছিল শেষে ফার্মেসি বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী ওবায়দুল ইসলাম বলেন, ‘ছাত্রলীগকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। তারা রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে নোমনীকে হত্যা করেছে, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে হাবিবুরকে কুপিয়ে হত্যা করেছে এবং সিলেট এমসি কলেজে এক ছাত্রীর সাথে জঘন্য আচরণ করেছে। তাদের নেক্কারজনক কার্যকলাপের উদাহরণ অনেক। তাই ছাত্রলীগকে আইনের মাধ্যমে নিষিদ্ধের দাবি জানাই।’
পরিবেশ বিজ্ঞান ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিভাগের ২০১৯-২০ সেশনের শিক্ষার্থী আবু দারদা বলেন, ‘জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার গণঅভ্যূত্থানে গোপালগঞ্জ জেলার দুই শহীদ (মুজাহিদ ও মইনুল) সহ মোট ৬ জন শহীদ হয়েছেন। আজ থেকে ‘জয় বাংলা’ চত্বরকে ‘মুজাহিদ চত্বর’ এবং ‘হাসিনা চত্বর’কে ‘মইনুল চত্বর’ ঘোষণা করা হলো।’
এই ঘটনার পর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মধ্যে মিছিল ও সমাবেশের মাধ্যমে ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে একত্রিত হওয়ার একটি প্রবণতা লক্ষ্য করা যাচ্ছে