কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের গুচ্ছে আসনপ্রতি লড়বেন ২৩ ভর্তিচ্ছু


Desk report | Published: 2022-08-18 05:18:50 BdST | Updated: 2024-04-19 09:24:42 BdST

দেশে তৃতীয়বারের মত কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের গুচ্ছ পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে ১০ সেপ্টেম্বর। এরই মধ্যে মঙ্গলবার আবেদন প্রক্রিয়া শেষ করেছে কৃষি গুচ্ছ ভর্তি কমিটি।

পরীক্ষায় মোট আবেদন করেছে ৭৯ হাজার একশত ৪৭ জন শিক্ষার্থী। আটটি কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে মোট আসন সংখ্যা ৩৫৩৯ টি। সে হিসেবে কৃষি গুচ্ছের একটি আসনের জন্য লড়বেন প্রায় ২৩ ভর্তিচ্ছু।

বুধবার (১৭ আগস্ট) সকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কৃষি গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা আয়োজক কমিটির প্রধান ও শেরে বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. শহীদুর রশীদ ভূঁইয়া ।

বিগত বছরগুলোতে আসন সংখ্যা অনুযায়ী আবেদন করা তিনগুণ ভর্তিচ্ছু পরীক্ষায় বসার সুযোগ পেতেন। তবে এবার এ সিলেকশন পদ্ধতি বাতিল করেছেন কর্তৃপক্ষ । এবছর আবেদনের যোগ্যতা সর্বমোট ন্যূনতম ৮.৫ করা হয়েছে। এ যোগ্যতার মধ্যে প্রত্যেক ভর্তিচ্ছু পরীক্ষার জন্য আবেদন করতে পেরেছেন।

এ বছর ভর্তি পরীক্ষায় আসন সংখ্যা আগের মতোই রয়েছে। তবে এ গুচ্ছের সঙ্গে হবিগঞ্জ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ৯০টি আসন যোগ হয়েছে।

আগের আসন সংখ্যা অনুযায়ী, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে ১ হাজার ১১৬টি, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে ৩৩০টি, শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে ৭০৪টি, সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে ৪৩১টি, পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ৪৪৩টি, চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি ও এনিম্যাল সাইন্সেস বিশ্ববিদ্যালয়ে ২৪৫টি, খুলনা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে ১৫০টি।

 

তথ্যমতে, এ বছর ২০১৭/২০১৮/২০১৯ সালে এসএসসি/ সমমান এবং ২০২০/ ২০২১ সালে এইচএসসি/ সমমানের পরীক্ষায় যারা বিজ্ঞান বিভাগ থেকে জীববিজ্ঞান, রসায়ন, পদার্থবিজ্ঞান ও গণিত বিষয়সহ উত্তীর্ণ হয়েছেন, তারাই এ ভর্তি আবেদন করতে পেরেছেন। গুচ্ছ পদ্ধতিতে ১০০ নম্বরের ভর্তি পরীক্ষা ১০ সেপ্টেম্বর বেলা সাড়ে ১১টা থেকে দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত ৭টি কেন্দ্র ও প্রযোজ্য ক্ষেত্রে এক বা একাধিক উপ-কেন্দ্রের অধীনে একযোগে অনুষ্ঠিত হবে।

এইচএসসি/ সমমান পর্যায়ে ইংরেজিতে ১০, প্রাণীবিজ্ঞানে ১৫, উদ্ভিদবিজ্ঞানে ১৫, পদার্থবিজ্ঞানে ২০, রসায়নে ২০ এবং গণিতে ২০ নম্বরের প্রশ্ন থাকবে। প্রতিটি সঠিক উত্তরের জন্য ১.০০ (এক) নম্বর দেওয়া হবে এবং প্রতিটি ভুল উত্তরের জন্য ০.২৫ নম্বর কাটা যাবে। মোট ১৫০ নম্বরের ভিত্তিতে ফল প্রস্তুত করা হবে। ভর্তি পরীক্ষার ১০০ নম্বরের সঙ্গে এসএসসি/সমমানের জন্য ২৫ এবং এইচএসসি/সমমানের জন্য ২৫ নম্বর যোগ করে মেধা ও অপেক্ষমাণ তালিকা তৈরি করা হবে।