
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী শাহরিয়ার আলম সাম্য হত্যাকাণ্ডের তদন্তে অগ্রগতি হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। আসামিদের ছয় দিনের রিমান্ডে নিয়ে নিবিড় জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।
শনিবার বিকেলে উপাচার্যের লাউঞ্জে এক বৈঠকে এসব তথ্য জানান ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী। বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খান।
ডিএমপি কমিশনার বলেন, “রাত ২টা ১৫ মিনিটে প্রক্টর ফোন করলে তাৎক্ষণিক সাড়া দিই। তদন্ত অনেক দূর এগিয়েছে। তবে তদন্তের স্বার্থে সব কিছু বলা যাচ্ছে না। রিমান্ড শেষে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে বিস্তারিত ব্রিফ করা হবে।”
তিনি আরও জানান, দ্রুত চার্জশিট প্রস্তুত করে বিশেষ ট্রাইব্যুনালে পাঠানো হবে, যাতে দ্রুত বিচার নিশ্চিত করা যায়। পুরো প্রক্রিয়া তদারকি করছেন কমিশনার নিজে ও ডিসি মাসুদ।
রমনা জোনের ডিসি মাসুদ আলম জানান, ভিকটিমের দুই বন্ধুর দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে শমরিতা ও বিআরবি হাসপাতালে আহত আসামিদের শনাক্ত করা হয়। পরে মোবাইল ট্র্যাকিংয়ের মাধ্যমে তৃতীয় আসামিকেও গ্রেফতার করা হয়।
তিনি বলেন, “ঘটনার সময়কার সোহরাওয়ার্দী উদ্যান এলাকার উপস্থিত ব্যক্তিদের প্রযুক্তির সহায়তায় চিহ্নিত করা হয়েছে। আগামীকাল থেকে আসামিদের নিবিড়ভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।”
এ ছাড়া মহসিন হলের মাঠে নবীনবরণ অনুষ্ঠান, শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউট এবং রাত ১২টায় উদ্যান এলাকায় কী ঘটেছিল—তা ঘিরেও তদন্ত চলছে বলে জানান তিনি।
বৈঠকে উপাচার্য ড. নিয়াজ আহমদ খান বলেন, “খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই আমি হাসপাতালে যাই এবং পরিবারের পাশে দাঁড়াই। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সব ধরনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কাজ করছে।”
তিনি জানান, সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের গেট বন্ধ করে নিরাপত্তা জোরদারসহ দীর্ঘমেয়াদি উন্নয়নে তদারকি কমিটি গঠন করা হয়েছে।
বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া, প্রো-ভিসি (প্রশাসন) অধ্যাপক সায়মা হক বিদিশা, প্রো-ভিসি (শিক্ষা) অধ্যাপক মামুন আহমেদ, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক এম জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী, প্রক্টর সাইফুদ্দীন আহমদ, গৃহায়ন ও গণপূর্ত সচিব মো. নজরুল ইসলাম, স্থানীয় সরকার সচিব মো. রেজাউল মাকছুদ জাহেদী, ডিএসসিসির প্রশাসক মো. শাহজাহান মিয়াসহ সংশ্লিষ্টরা।