
সিরাজগঞ্জের সলঙ্গায় রোজিনা খাতুন নামের এক গৃহবধূকে গলা কেটে হত্যার ঘটনা ঘটেছে। অভিযোগ উঠেছে, স্ত্রীকে হত্যার পর স্বামী মোতালেব আত্মহত্যার চেষ্টা করেছেন। রায়গঞ্জ উপজেলার সলঙ্গা থানার এরান্দহ গ্রাম থেকে আজ বৃহস্পতিবার সকালে মরদেহ উদ্ধারর করে পুলিশ। এ সময় আহত অবস্থায় মতলবকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
এর আগে গতকাল বুধবার রাতে এই ঘটনা ঘটে। নিহত রোজিনা খাতুন এরান্দহ গ্রামের আব্দুল আজিজের মেয়ে।
পুলিশ ও নিহতের পরিবার জানায়, ৩ বছর আগে একই উপজেলার মোতালেবের সঙ্গে রোজিনার বিয়ে হয়। বিয়ের পর এরান্দহ গ্রামের শ্বশুর বাড়িতেই থাকতেন মোতালেব। তাদের মধ্যে দীর্ঘদিন থেকে পারিবারিক কলহ চলে আসছিল। গত ৬ দিন আগে অন্য জেলা থেকে রাজমিস্ত্রীর কাজ শেষ করে বাড়িতে আসেন মোতালেব।
বুধবার রাতে পারিবারিক বিষয় নিয়ে কথা-কাটাকাটির পরে ঘুমিয়ে পড়েন মোতালেব ও রোজিনা। ভোরে রোজিনার ৮ মাসের শিশুর কান্না শুনে স্বজনেরা জানালা দিয়ে দেখতে পান রোজিনার গলাকাটা রক্তাক্ত মরদেহ বিছানার ওপর পড়ে আছে। পরে আজ সকালে সলঙ্গা থানা-পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠায়। এ সময় নিহতের স্বামী মোতালেব হোসেনকে আহত অবস্থায় দেখে তাঁকে উদ্ধার করে দ্রুত চিকিৎসার জন্য সিরাজগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করে সলঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হুমায়ুন কবির জানান, পারিবারিক কলহের জেরে এ ঘটনা ঘটতে পারে। স্ত্রীকে হত্যার পর স্বামী মোতালেব নিজে আত্মহত্যা করার চেষ্টা করছিলেন। পরে আহত অবস্থায় তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ব্যাপারে থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।