
সুনামগঞ্জের বিশ্বম্ভরপুরে মরিচ খেত থেকে পুরোনো দিনের একটি গ্রেনেড উদ্ধার করে নিষ্ক্রিয় করেছে সেনাবাহিনী। উপজেলার সলুকাবাদ ইউনিয়নের চালবন্দ পয়েন্ট এলাকা থেকে আজ শুক্রবার দুপুরে গ্রেনেডটি উদ্ধার করা হয়।
সেনা সূত্রে জানা গেছে, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ ও স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় এই মডেলের গ্রেনেডের ব্যবহার হতো। এটি এতদিন মাটি ছাপা ছিল এখানে অথবা অন্য জায়গা থেকে কেউ এনেছে।
এর আগে বৃহস্পতিবার দুপুরে মরিচ খেতের মালিক কৃষক সাব্বির আহমদ গ্রেনেডটি দেখতে পেয়ে পুলিশকে জানান। বিষয়টি পুলিশ সেনাবাহিনীকে জানালে আজ দুপুরে বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিট সেটি নিষ্ক্রিয় করে।
স্থানীয়রা জানায়, গ্রেনেডটি প্রথমে এলাকার সাব্বির আহমদের জমিতে একজন কৃষক কাজ করা অবস্থায় দেখতে পান। পরে স্থানীয় বাসিন্দাদের দেখালে তারা বুঝতে পারে এটি গ্রেনেড সাদৃশ্য কিছু এবং তাৎক্ষণিকভাবে স্থানীয় প্রশাসনকে খবর দেওয়া হয়। পুলিশ ঘটনাস্থলে আসে এবং সেনাবাহিনীর বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিটকে খবর দেয়। সেনাবাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে এসে গ্রেনেডটি পরীক্ষা করে এবং নিশ্চিত হয় এটি সক্রিয়। এরপর তারা নিরাপদ দূরত্বে গ্রেনেডটি নিয়ে তা নিষ্ক্রিয় করে।
বিশ্বম্ভরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মুখলেছুর রহমান বলেন, ‘স্থানীয় কৃষক সাব্বির আহমদের মরিচ খেতে গ্রেনেডটি দেখে আমাদের খবর দেন। আমরা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়ে শান্তিগঞ্জ সেনাবাহিনীর অধিনায়ককে জানাই। তারা আজ এসে গ্রেনেডটি নিষ্ক্রিয় করে তারা।’
শান্তিগঞ্জ সেনাবাহিনীর ক্যাম্পের ইনচার্জ লে. কর্নেল আল হোসাইন বলেন, ‘এটি একটি সক্রিয় গ্রেনেড। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ ও স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় এই মডেলের গ্রেনেড ব্যবহৃত হতো। এটি এতদিন মাটি ছাপা ছিল এখানে অথবা অন্য জায়গা থেকে কেউ এনেছে। যেকোনো সময় দুর্ঘটনা হতে পারত।’