
দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম রামসার সাইট টাঙ্গুয়ার হাওরের ওয়াচ-টাওয়ার ও আশপাশের এলাকায় পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত পর্যটকবাহী হাউসবোট প্রবেশ স্থগিত ঘোষণা করেছে প্রশাসন। সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসক (রুটিন দায়িত্ব) ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ রেজাউল করিম এ নির্দেশনা প্রদান করেন।
রোববার রাতে এক জরুরি বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, হাওরের জীববৈচিত্র্য রক্ষা ও পরিবেশগত ভারসাম্য বজায় রাখার স্বার্থে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, টাঙ্গুয়ার হাওর এলাকার প্রাকৃতিক জীববৈচিত্র্য রক্ষা ও পরিবেশ-প্রতিবেশের ক্ষতি রোধে টাঙ্গুয়ার হাওরের ওয়াচ-টাওয়ার ও আশপাশের এলাকায় পর্যটকবাহী হাউসবোটের চলাচল পরবর্তী নির্দেশনা প্রদান না করা পর্যন্ত স্থগিত ঘোষণা করা হলো। একইসঙ্গে পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর যাবতীয় কার্যকলাপ থেকে সকলকে বিরত থাকার জন্য নির্দেশনা প্রদান করা হলো।
এছাড়া, সুনামগঞ্জ জেলার বিভিন্ন পর্যটন স্পট ভ্রমণের ক্ষেত্রে জেলা প্রশাসন থেকে বিভিন্ন সময়ে জারিকৃত নির্দেশনা আবশ্যিকভাবে প্রতিপালনের জন্য অনুরোধ করা হলো। অন্যথায় কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলেও বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে।
এদিকে, হাওর ও হাওরবাসীদের নিয়ে কাজ করা বিভিন্ন সংগঠন ও পরিবেশবাদী নেতারা সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন। হাওর বাঁচাও আন্দোলন সুনামগঞ্জ জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল হক মিলন বলেন, এটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত। এমন সিদ্ধান্ত আরও আগেই নেওয়া উচিত ছিল।
ওবায়দুল হক মিলন বলেন, শুধু স্থগিত না, টাঙ্গুয়ার হাওরের ভেতরে ইঞ্জিন চালিত নৌযান চলাচল একেবারে নিষিদ্ধ করা দরকার।
প্রসঙ্গত, গত ৬ বছর সুনামগঞ্জের টাঙ্গুয়ার হাওরে প্রশাসনের নিয়মনীতি তোয়াক্কা না করে অবাধে চলে আসছিল বিলাসবহুল হাউসবোট। প্রতিবছরই হাইসবোটের সংখ্যা বাড়ছে। বর্তমানে প্রায় পাঁচ শতাধিক হাউসবোট হাওরে পর্যটক নিয়ে চলাচল করছে।