
প্রতিহিংসামূলক সব বদলির আদেশ বাতিল ও এনবিআরের চেয়ারম্যানকে অপসারণ না করা হলে আগামী শনিবার থেকে কমপ্লিট শাটডাউনের ঘোষণা দিয়েছে এনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদ।
আজ সোমবার চলমান কলম বিরতি কর্মসূচি পালন শেষে সংবাদ সম্মেলনে এসব ঘোষণা দেয় সংগঠনটি।
এনবিআর বিলুপ্ত না করে স্বতন্ত্র বিভাগের মর্যাদা আর শক্তিশালী করার আশ্বাস দেয় সরকার। কিন্তু সংস্কার আলোচনায় গঠিত কমিটিতে ঐক্য পরিষদের প্রতিনিধি না রেখেই কমিটি গঠন করে রাজস্ব প্রশাসন। বদলি করা হয় আন্দোলন সংশ্লিষ্ট ছয়জনকে। বাধা দেওয়া হয় পরিষদের সভা-সেমিনার। এতেই পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে এনবিআরে।
ফলে, আজ আবার নতুন কর্মসূচী ঘোষণা করেন আন্দোলনকারীরা। মঙ্গলবার থেকে অর্ধবেলা কলম বিরতি এবং চেয়ারম্যান ও তার দোসরদের প্রতি’ ঘৃণা প্রকাশ করবে। একইসাথে এনবিআর চেয়ারম্যানকে অপসারণ করা না হলে আগামী ২৮ জুন থেকে আন্তর্জাতিক যাত্রীসেবা ব্যতীত সংশ্লিষ্ট দফতরে কমপ্লিট শাটডাউনের কর্মসূচী দেয় এনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদ।
এনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদের সভাপতি হাছান মুহম্মদ তারেক রিকাবদার বলেন, ‘এনবিআরের চেয়ারম্যানকে অপসারণ করা না হলে আগামী ২৮ জুন থেকে আন্তর্জাতিক যাত্রীসেবা ব্যতিত রপ্তানিসহ কাস্টমস এবং ভ্যাটের সকল কার্যক্রম লাগাতার কমপ্লিট শাটডাউন থাকবে।
সংস্কার আলোচনায় ঐক্য পরিষদের প্রতিনিধিত্ব না থাকা, নিপীড়নমূলক বদলী ও হয়রানির প্রতিবাদে কাফনের কাপড়ে অংশ নেন কর্মসূচীতে।
এনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদের মহাসচিব মিজ সেহেলা সিদ্দিকা বলেন, ‘যখন সভা সেমিনার করতে যাচ্ছি তখন চেয়ারম্যান বলেন ওরা কেন সেমিনার করবে। চেয়ারম্যান বলেন আমি একটি কমিটি গঠন করবো তারাই সেমিনার করবে এবং ঐক্য পরিষদকে উনি অস্বীকার করেন। তারমানে তিনি অর্থ মন্ত্রণালয় বা অর্থ উপদেষ্টার যে প্রেস রিলিজ সেটাকেই অস্বীকার করছেন।’
এদিকে, এনবিআরের চলমান পরিস্থিতিতে আমদানি-রপ্তানি বাধাগ্রস্থ হচ্ছে বলে জানিয়েছেন ভুক্তভোগীরা।
এক ভুক্তভোগী বলেন, ‘কাস্টমস হাউজে সকাল থেকে কর্মবিরতি চলছে। অফিসাররা টেবিলে আছে কিন্তু কেউ কাজ করছে না। তাদের বক্তব্য কেন্দ্রীয় কর্মসূচীর অংশ হিসেবে বেনাপল কাস্টমস হাউজে কর্মবিরতি চলছে।’
মে মাসে এনবিআর দুই ভাগ করে অধ্যাদেশ জারির পর তা বাতিলের দাবিতে আন্দোলনে নামেন এনবিআরের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। তাদের আন্দোলনে পিছু হটে সরকার ।