রক্ত দিতে চবি ক্যাম্পাস থেকে শতাধিক শিক্ষার্থী আসলেন চমেক হাসপাতালে


CU Correspondent | Published: 2022-06-05 19:43:27 BdST | Updated: 2024-03-29 19:07:15 BdST

চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে কনটেইনার ডিপোতে বিষ্ফোরণের ঘটনায় আহত ও তাদের স্বজনদের আহাজারিতে ভারী হয়ে উঠেছে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজসহ শহরের বিভিন্ন হাসপাতাল। আহতদের জন্য রক্ত দিতে ছুটে আসছেন বিভিন্ন বয়সী লোকজন। তবে সেখানে এবি পজিটিভ, এবি নেগেটিভ, বি নেগেটিভ রক্তের সংকট তৈরি হয়।

এরমধ্যে প্রায় ১৮ কিলোমিটার দুরের চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ৩ টি বাসে করে ওইসব গ্রুপের রক্তদাতা শিক্ষার্থী আসেন চমেক হাসপাতালে।

জানা যায়, রাত ২ টার দিকে তিনটি বাসে করে ওইসব শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাস থেকে শহরে আসেন।এছাড়া বিক্ষিপ্তভাবেও চবির অনেক শিক্ষার্থী এসেছেন রক্ত দিতে।

রক্ত দিতে আসা রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী শাহাদাত হোসেন বলেন, ক্যাম্পাস থেকে রেয়ার রক্তের শতাধিক শিক্ষার্থী বাসে করে শহরে এসেছেন। আমি হাটহাজারী বাজারে থাকি। আমার রক্তের গ্রুপ ও পজিটিভ। এই গ্রুপের রক্ত নাকি মিলাতে কষ্ট হচ্ছে। তাই আমি একা একটা সিএনজি অটোরিকশা নিয়ে চলে এসেছি।'

এইদিকে শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যায়ের অনেক শিক্ষকও আসেন চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। এদের অনেকে নিয়ে আসেন ফলফলাদি। আবার কেউ নিয়ে আসেন ওষুধপত্র।

আবার কেউ কেউ রোগীদের স্বজনদের আর্থিক সহযোগিতাও করছেন।

কয়েকদিন ধরে অসুস্থ চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের যোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের চেয়ারম্যান ড. শহিদুল হক। তবে দুর্ঘটনার খবর শুনে তিনিও ছুঁটে আসেন চমেক হাসপাতালে। আসার সময় নিয়ে আসেন কিছু ফলফলাদি।

তিনি বলেন,' আহতদের অনেকের চট্টগ্রামে আত্মীয় স্বজন নেই। ভালো যত্ন নেয়ারও কেউ নেই। এই মুহূর্তে তাদের পাশে আমাদের থাকা দরকার। তাই আমি এসেছি। আমার মনে হয়, সবাইকে একমুহূর্তে যারযার মতো করে এসব বিপদগ্রস্ত মানুষের পাশে থাকা উচিত।'

//