এবার চবি ছাত্রলীগে পদবঞ্চিতদের গণস্বাক্ষর কর্মসূচি


CU Correspondent | Published: 2022-09-09 04:57:26 BdST | Updated: 2024-04-24 16:00:24 BdST

কোনোভাবেই আন্দোলন থেকে সরে আসছে না চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) ছাত্রলীগের পদবঞ্চিতরা। ঘোষিত কমিটিতে পদবঞ্চিতদের মূল্যায়ন ও কমিটি পুনঃমূল্যায়নের দাবিতে এবার গণস্বাক্ষর কর্মসূচি পালন করেছে তারা। এতে অংশগ্রহণ করে চবি ছাত্রলীগের ৬টি উপগ্রুপ। অংশ নেওয়া সবগুলো গ্রুপই সাবেক সিটি মেয়র ও নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আজম নাছির উদ্দিনের অনুসারী। এর আগে গত ৬ সেপ্টেম্বর তারা মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করে।

বৃহস্পতিবার (৮ সেপ্টেম্বর) বিকেল ৩টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের বুদ্ধিজীবী চত্বরে এ কর্মসূচি পালিত হয়। গণস্বাক্ষর কর্মসূচিতে অংশগ্রহণকারী গ্রুপগুলো হলো ভিএক্স, বাংলার মুখ, রেড সিগনাল, কনকর্ড, এপিটাফ ও উল্কা।

 

যে তিনটি দাবিতে পদবঞ্চিতরা আন্দোলন করছে সেগুলো হলো- পদবঞ্চিত ত্যাগী ও পরিশ্রমী কর্মীদের মূল্যায়ন করে কমিটিতে অর্ন্তভুক্তকরণ, কমিটিতে স্থান পাওয়া নেতাদের যোগ্যতা অনুসারে পদগুলোর পুনঃমূল্যায়ন ও কমিটিতে পদপ্রাপ্ত বিবাহিত, চাকরিজীবী এবং দীর্ঘদিন রাজনীতিতে নিষ্ক্রিয় ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থাগ্রহণ। দাবি মেনে নেওয়া না হলে পরবর্তীতে কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দেন তারা।

রেড সিগনাল গ্রুপের নেতা রাকিবুল হাসান দিনার বলেন, দীর্ঘ তিন বছর পর চবি গত ৩১ জুলাই রাতে চবি ছাত্রলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করা হয়। দীর্ঘদিন সময় নিয়ে ঘোষিত কমিটি ত্যাগী নেতাকর্মীদের মন জয় করতে পারেনি। উল্টো নিষ্ক্রিয়, জামায়াত-বিএনপি পরিবারের ছেলেদের স্থান দিয়ে কমিটিকে করেছে প্রশ্নবিদ্ধ। এর প্রতিবাদে তিন দফা দাবিতে আমরা নিয়মিত কর্মসূচি পালন করছি। সাংগঠনিক ও সুশৃঙ্খল আন্দোলনের মাধ্যমে আমরা কেন্দ্রের দৃষ্টি আকর্ষণের চেষ্টা করছি। তবে দাবি আদায় না হলে এর থেকে কঠোর কর্মসূচি দিতে আমরা বাধ্য হবো।

ভিএক্স গ্রুপের নেতা প্রদীপ চক্রবর্তী দুর্জয় বলেন, ঘোষণার পর থেকেই নতুন কমিটি ব্যাপক সমালোচিত। কমিটি সংশোধনের জন্য আমরা অনেকদিন থেকেই আন্দোলন করে আসছে। আমাদের সাংগঠনিক আন্দোলন চালিয়ে যাবো।

এ ব্যাপারে চবি ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন টিপু বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগ কর্মী আছে কয়েক হাজার। যতোই চেষ্টা করি সবাইকে তো কমিটিতে সুযোগ দেওয়া সম্ভব নয়। আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছি যোগ্যতার ভিত্তিতে কমিটি দিতে। বাকি যারা বাদ পড়েছেন তাদের সামনে হল ফ্যাকাল্টি কমিটিতে সুযোগ দেওয়া হবে। তাদের বলেছি বিতর্কিত কেউ থাকলে প্রমাণসহ দিতে। আমরা ব্যবস্থা গ্রহণ করবো। কিন্তু তারা তা করছে না, শুধু শুধুই আন্দোলন করছে।

প্রায় ৩ বছর পর গত ৩১ জুলাই চবি ছাত্রলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করা হয়। এরপর থেকেই ধারাবাহিক আন্দোলন করে আসছে পদবঞ্চিতরা।