স্ট্যান্ডিং কমিটির নির্বাচন চান চবির আওয়ামীপন্থী ২০১ শিক্ষক


CU Correspondent | Published: 2022-11-13 10:09:20 BdST | Updated: 2024-03-29 12:17:38 BdST

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) আওয়ামীপন্থী শিক্ষকদের আদর্শিক প্ল্যাটফর্ম হলুদ দল। প্রতি দুই বছর পর পর সংগঠনটির স্ট্যান্ডিং কমিটির নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা থাকলেও ২০১৭ সালের পর আর কোনো নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়নি। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে দলকে সক্রিয় করার স্বার্থে দলের নির্বাচন দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন ২০১ জন শিক্ষক।

গত বুধবার (৯ নভেম্বর) আহ্বায়ক বরাবর প্রেরিত চিঠিতে বলা হয়, স্ট্যান্ডিং কমিটি গঠিত হয় দুই বছরের জন্য। সেই হিসেবে ২০১৭ সালে নির্বাচিত কমিটির মেয়াদ ২০১৯ সালেই শেষ হয়েছে। পাশাপাশি নির্বাচিত ১৫ জন সদস্যের মধ্যে ৬ জন সদস্য অবসর গ্রহণ, শিক্ষাছুটি প্রভৃতি কারণে দায়িত্ব পালন করতে পারছেন না। অপরদিকে, অনেক নবীন শিক্ষক বিশ্ববিদ্যালয়ে যোগদান করেছেন যাদের প্রায় সবাই হলুদ দলের ভাবাদর্শী।

মনোনয়নে দলীয় পছন্দের অগ্রাধিকার দেওয়া হয় না অভিযোগ তুলে চিঠিতে বলা হয়, মেয়াদোত্তীর্ণ স্ট্যান্ডিং কমিটি কোনোভাবেই হলুদ দলের শিক্ষকদের প্রতিনিধিত্বশীল নয়। যার প্রমাণ সাম্প্রতিক সময়ে তাদের দেওয়া মনোনয়নের অনেক গুরুত্বপূর্ণ প্রার্থীর নির্বাচনে ভরাডুবি। অনেক প্রার্থী স্ট্যান্ডিং কমিটির পছন্দের প্রার্থীর বিরোধিতা করেও জয়লাভ করেছেন। যা প্রমাণ করে এই কমিটির প্রতি সাধারণ সদস্যদের আস্থা নেই।

চিঠিতে আরও বলা হয়, আগামী বছরের শেষ দিকে দেশে জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। দেশে বর্তমানে বিএনপি ও জামায়াতসহ ধর্মান্ধ প্রতিক্রিয়াশীল রাজনৈতিক গোষ্ঠী মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের শক্তিকে ক্ষমতা থেকে সরানোর জন্য পুনরায় নানা ধরনের অপতৎপরতায় লিপ্ত। এদের সঙ্গে পাকিস্তানসহ প্রতিক্রিয়াশীল বিদেশি শক্তিও সক্রিয় রয়েছে। এ অবস্থায় মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী আদর্শিক শিক্ষকদের ঐক্যবদ্ধ করার জন্য প্রয়োজন আস্থাশীল নতুন কমিটি।

হলুদ দলের স্ট্যান্ডিং কমিটির বর্তমান সদস্য ড. মোহাম্মদ আবুল মনছুর বলেন, ৩ বছর হয়ে গেল কমিটির মেয়াদ শেষ। কিন্তু তারা নির্বাচন না দিয়ে বিভিন্ন পর্ষদে নিজেদের ইচ্ছেমতো প্রার্থী মনোনয়ন দিয়েছেন। লজ্জার ব্যাপার হলো তাদের হার হয়েছে। যা প্রমাণ করে এই কমিটির প্রতি আওয়ামীপন্থী শিক্ষকদের আস্থা নেই। সামনে অনেকগুলো পর্ষদের নির্বাচন রয়েছে। মেয়াদোত্তীর্ণ স্ট্যান্ডিং কমিটি যদি সেখানেও খামখেয়ালিভাবে মনোনয়ন দেয় তাহলে বিশৃঙ্খলা তৈরি হবে। তাই দ্রুত নির্বাচন দেওয়ার জন্য আমরা আহ্বায়ককে চিঠি দিয়েছি।

চিঠিতে স্বাক্ষর করা আরেক শিক্ষক ড. মোহাম্মদ হেলাল উদ্দীন বলেন, ২ বছরের কমিটি ৫ বছর ধরে চলছে। নতুন অনেক শিক্ষক এসেছেন যারা আওয়ামী ভাবাদর্শের। তাদের সঙ্গেও এই কমিটির সমন্বয় নেই। এছাড়া এই কমিটির ৬ জনই এখন দায়িত্ব পালন করেন না। তাই নির্বাচন হওয়া জরুরি।

দীর্ঘদিন নির্বাচন অনুষ্ঠিত না হওয়ার বিষয়টি স্বীকার করলেও আবেদনপত্র নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন দলের আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. মো. সিকান্দর চৌধুরী। তিনি বলেন, চিঠি পেয়েছি। নির্বাচন দেওয়ার ব্যাপারে আমাদেরও চিন্তাভাবনা রয়েছে। এখানে স্বাক্ষরকারীদের মধ্যে এমন কয়েকজনকে দেখতে পাচ্ছি যারা সংগঠনের কেউ নন। তাদের বিষয়ে যাচাই-বাছাই করে আমরা একটি সিদ্ধান্তে পৌঁছাব।

//