মধ্যরাতে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) জিরো পয়েন্ট এলাকায় একটি দোকানে হামলা চালানোর অভিযোগ উঠে স্থানীয় যুবলীগের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় করা মামলায় ৫ জনকে গ্রেপ্তার করেছে হাটহাজারী মডেল থানা পুলিশ। গ্রেপ্তারের পর তাদের চট্টগ্রাম আদালতে পাঠানো হয়েছে।
মঙ্গলবার (২২ অক্টোবর) আসামীদের গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন হাটহাজারী মডেল থানার ওসি হাবিবুর রহমান। আটককৃতরা হলেন- হাটহাজারী পৌরসভার ২ নং ওয়ার্ডের মো. সুমন (২৯), ১নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মো. ইলিয়াস ফারুক, ৬ নং ওয়ার্ড ফতেপুর ইউনিয়নের বাসিন্দা মো. ইসতিয়াক আহমেদ (২২), একই ইউনিয়নের বাসিন্দা মো. রাশেদ (৩০) এবং ফতেপর ইউনিয়ন ৭ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা মো. আবু তাহের (৫৫)।
উল্লেখ্য, গতকাল ভোর সাড়ে ৩ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের রেলস্টেশন এলাকার আপ্যায়ন নামক একটি হোটেল দখল করার উদ্দেশ্যে ভাঙচুর চালায় স্থানীয় যুবলীগ নেতা হানিফের অনুসারীরা। এ সময় তারা কয়েক রাউন্ড গুলি ও ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায়। এতে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়লে সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরা মিছিল নিয়ে রেলগেট এলাকায় যায়।
এ সময় বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা যুবলীগের ওই নেতার ছোট ভাই মোহাম্মদ ইকবালের একটি দোকান ভাঙচুর করে। তার নামে হাটহাজারী থানায় একটি মামলাও রয়েছে। পরে যুবলীগের নেতাকর্মীরা ছাত্রদের সঙ্গে এলাকাবাসীর সংঘর্ষ হয়েছে উল্লেখ করে মসজিদে মাইকিং করে গুজব রটিয়ে দেয়। শিক্ষার্থীরা রেলগেট অবস্থান শেষ করে ফিরে আসার সময় স্থানীয়রা পেছন থেকে লাঠিসোঁটা ও দেশিয় অস্ত্র নিয়ে হামলা করে। এতে ৫ শিক্ষার্থী আহত হয়।
এ ঘটনায় গতকাল রাতে ভুক্তভোগী দোকানি বাদী হয়ে হাটহাজারী মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলায় ৩০ জনের নাম উল্লেখ করে এবং ৩০-৩৫ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামী করা হয়েছে।
এবিষয়ে হাটহাজারী মডেল থানার ওসি হাবিবুর রহমান বলেন, গতকালের ঘটনায় একটি মামলা করা হয়। মামলার প্রেক্ষিতে গতকাল সন্ধ্যা থেকে আমরা অভিযান চালিয়ে ৫ জনকে গ্রেপ্তার করেছি। তাদের আদালতে পাঠানো হয়েছে।