ডাকসু নির্বাচন

পদাবনতি পাওয়া প্রভোস্টকে স্বপদে বহালের প্রতিবাদ ছাত্র ইউনিয়নের


DU Correspondent | Published: 2022-08-03 08:16:55 BdST | Updated: 2024-03-29 08:09:07 BdST

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনের সময় বাংলাদেশ-কুয়েত মৈত্রী হলে ব্যালট পেপার নিয়ে সংঘটিত ঘটনায় ব্যর্থতার দায়ে পদাবনতি পাওয়া তৎকালীন হল প্রাধ্যক্ষ শবনম জাহানকে স্বপদে পুনর্বহালের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন।

আজ (মঙ্গলবার) ছাত্র ইউনিয়ন সভাপতি মো. ফয়েজউল্লাহ এবং সাধারণ সম্পাদক দীপক শীল স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে এ প্রতিবাদ জানানো হয়েছে। গত ২৭ জুলাই বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব নওয়াব চৌধুরী সিনেট ভবনে অনুষ্ঠিত সিন্ডিকেট সভায় এই সিদ্ধান্ত নেয় ঢাবি প্রশাসন।

 

বিবৃতিতে বলা হয়, জালিয়াতির দায়ে চাকুরিচ্যুত কুয়েত মৈত্রী হলের সাবেক প্রভোস্ট শবনম জাহানকে স্বপদে বহালের যে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে তা বাতিল করতে হবে। একজন জালিয়াত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক হওয়ার যোগ্যতা রাখেন না। তাকে স্বপদে বহালের সিদ্ধান্ত জালিয়াতিকে উৎসাহিত করবে।

এতে আরও বলা হয়, আমরা অবিলম্বে শবনম জাহানকে স্বপদে বহালের সিদ্ধান্ত বাতিলের দাবি জানাই। যদি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন তাদের সিদ্ধান্ত বাতিল না করে তবে শিক্ষার্থীদের সাথে নিয়ে আন্দোলনের মাধ্যমে তাদের দাবি বাস্তবায়নে বাধ্য করা হবে।

২০১৯ সালের ১১ মার্চ ডাকসু ও হল সংসদের নির্বাচনের আগের রাতে কুয়েত-মৈত্রী হলের একটি কক্ষ থেকে ছাত্রলীগ মনোনীত প্রার্থীদের পক্ষে সিল মারা বস্তাভর্তি ব্যালট পেপার উদ্ধার করা হয়। ওই ঘটনায় শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে তাৎক্ষণিকভাবে শবনম জাহানকে ভারপ্রাপ্ত প্রাধ্যক্ষের দায়িত্ব থেকে সরিয়ে অধ্যাপক মাহবুবা নাসরিনকে দায়িত্ব দেওয়া হয়।

 

পরে ঘটনা তদন্তে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক মুহাম্মদ সামাদকে প্রধান করে একটি কমিটি গঠন করে কর্তৃপক্ষ। ওই কমিটির প্রতিবেদনের ভিত্তিতে ২০১৯ সালের ২৮ মার্চ শবনম জাহানকে সাময়িক বরখাস্ত করে বিশ্ববিদ্যালয় সিন্ডিকেট৷

পরবর্তীতে ওই ঘটনার অধিকতর তদন্তের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস বিভাগের অধ্যাপক খন্দকার বজলুল হককে প্রধান করে পাঁচ সদস্যের আরেকটি তদন্ত কমিটি করা হয়।

এক বছরের বেশি সময় পর ওই কমিটির প্রতিবেদনের ভিত্তিতে ২০২০ সালে এই শিক্ষককে স্থায়ীভাবে চাকরিচ্যুত না করে পদাবনতি অর্থাৎ ব্যবস্থাপনা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক থেকে সহকারী অধ্যাপক পদে অবনমিত করা হয়।

সিন্ডিকেট সভার এ সিদ্ধান্ত চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট আবেদন করেন শবনম জাহান। সেই রিটের রায়ে শবনম জাহানকে প্রাপ্য সুযোগ-সুবিধাসহ ব্যবস্থাপনা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক পদে পুনর্বহাল করার নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। সেই রায়ের ভিত্তিতে তাকে পুনর্বহালের সিদ্ধান্ত নেয় বিশ্ববিদ্যালয় সিন্ডিকেট।

//