নাঈমুর রহমান রিজভী: একবিংশ শতাব্দীতে এসে সবচেয়ে দ্রুত এবং নির্ভরযোগ্য তথ্যর চাহিদা মেটাতে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে সাংবাদিকতা পেশা। সেইসাথে বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে ক্যাম্পাস সাংবাদিকতা উল্লেখযোগ্য। যেখানে সাংবাদিকতার মাধ্যমে একজন শিক্ষার্থী সাংবাদের প্রাথমিক জ্ঞান লাভ করেন।
ক্যাম্পাসের অনিয়ম, দূর্নীতি ও অপকর্মগুলোকে যারা দেশ ও দশের সামনে তুলে ধরেন তারাই ক্যাম্পাস সাংবাদিক। তেমনি এক ক্যাম্পাস সাংবাদিকদের সংগঠন কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতি (কুবিসাস)। 'সত্য ও ন্যায়ের পথে অবিচল ' এই মূলমন্ত্রকে লালন করে ২০১৩ সালের ৬ ডিসেম্বর একঝাঁক তরুণ ও উদ্যমী সংবাদ কর্মীদের নিয়ে যাত্রা শুরু করে সংগঠনটি।
বর্তমানে সংগঠনটিতে প্রায় অর্ধশতাধিক সংবাদ কর্মী বিভিন্ন জাতীয়, আঞ্চলিক ও অনলাইন পত্রিকায় কাজ করে সফলতার স্বাক্ষর রেখে যাচ্ছেন। প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দল এবং প্রশাসনিক নানা জটিলতাকে উপেক্ষা করে সত্য ও ন্যায়ের পথে অবিচল সংগঠনটি। একই সাথে পড়াশোনা করা, সাংবাদিকতা করা, সংগঠন পরিচালনা করা এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিষয় সমন্বয় করতে হয় সাংবাদিকদের। এ যেন নিজের খেয়ে মনের মেষ তাড়ানোর মতো।
বিভিন্ন সময়ে শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিভিন্ন আন্দোলন থেকে শুরু করে শিক্ষার্থীদের নানা যৌক্তিক দাবীতে নিরলস এবং নিঃস্বার্থভাবে কাজ করে যাচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয়ের একমাত্র বস্তুনিষ্ঠ সংগঠন কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতি (কুবিসাস)।
৮ম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে শুভেচ্ছা জানিয়ে সমিতির সাবেক সভাপতি মোঃ শফিউল্লাহ বলেন, কুবিসাসের পথচলা সংখ্যায় খুব বেশি নয়। কিন্তু সংগঠনটি অল্প সময়ে নবীন ও বস্তুনিষ্ঠ সাংবাদিক তৈরিতে যতটুকু এগিয়েছে সেটা প্রশংসার দাবিদার। আমি আশাবাদী যে এখানকার সাংবাদিকরা জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে সাংবাদিকদের নেতৃত্ব দিবে। এবং বিশ্বে সুষ্ঠু সাংবাদিকতা চর্চার যে ঘাটতি রয়েছে সেটি এই সাংবাদিক সমিতির কর্মীরা পূরণ করবে।
সাংবাদিক সমিতির প্রধান পৃষ্ঠপোষক ও বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এমরান কবির চৌধুরী বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের আস্থা এবং বিশ্বাসের জায়গা সাংবাদিক সমিতি। প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে সমিতির সবার জন্য শুভকামনা রইলো। কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় পরিবার সবসময় সাংবাদিক সমিতির পাশে থাকবে।