খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের কবি জীবনানন্দ দাশ একাডেমী ভবনের সংস্কার কাজের জন্য শিক্ষার্থীরা ঠিকমতো ক্লাস করতে পারছে না দীর্ঘদিন ধরে। প্রায় ১০ মাস এই সংস্কার কাজ চলছে। সংস্কার কাজের মধ্যে অন্যতম দেওয়ালের পুরনো প্লাস্টার উঠিয়ে নতুন করে প্লাস্টার এবং রং করা। পুরোনো প্লাস্টার উঠাতে ব্যবহৃত হয় হাতুড়ি ,ছেনি এবং ড্রিলমেশিন। ড্রিলমেশিনের উচ্চ শব্দে শিক্ষার্থীদের ক্লাস করতে অসুবিধা হচ্ছে । ক্লাস করার সময় উচ্চ শব্দের কারণে শিক্ষার্থীরা তাদের ক্লাসে মনোযোগ মনোনিবেশ করতে পারছে না । ক্লাস চলাকালীন সময়ে ড্রিল মেশিনের উচ্চ শব্দের কারণে শিক্ষার্থীরা শিক্ষকদের লেকচার লিখতে ও শুনতে অসুবিধায় পড়ছে। এমনকি শিক্ষকরাও ক্লাস করাতে অসুবিধায় পড়ছে।
শব্দদূষণ সম্পর্কে ইতিহাস ও সভ্যতা ডিসিপ্লিনের ইহসানুল হক অয়ন বলেন,’আমরা দীর্ঘদিন ধরে এই সমস্যার সম্মুখীন হয়ে আসছি।এ বিষয়ে যথাযথ পদক্ষেপ নেওয়া উচিৎ বলে আমি মনে করি’।এ বিষয়ে মাহফুজ আহম্মেদ বলেন, ‘অতিরিক্ত শব্দদূষণের কারণে আমরা ক্লাসের নোট ঠিকমতো তুলতে পারি না।এছাড়া শিক্ষকদের উচ্চস্বরে ক্লাস নিতে হয়’।
এই সমস্যা নিয়ে প্রজেক্টের দায়িত্বপ্রাপ্ত কন্ট্রাক্টার আব্দুল মোত্তালেবের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, ‘প্লাস্টারের কাজ সমাপ্ত করতে এক মাসের বেশি সময় লাগবে। প্লাস্টার কাজে প্রতিদিন তিন থেকে সাত জন নিয়োজিত থাকে’ । কাজের ধীরগতির কারণ জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেন ‘বৈষম্য বিরোধী ছাত্র এবং ভিসির পরিবর্তন বিল্ডিয়ের সংস্কার কাজে জটিলতা সৃষ্টি করেছে’। কন্ট্রাকটার কে সমস্যা উত্তরণের বিষয়ে জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রকৌশলগণ যদি আমাদের আদেশ দেন তবে অধিক লোকবল নিয়োগ করে আমরা কাজটি অতি শীঘ্রই সমাপ্ত করতে পারব।
সমস্যাটি নিয়ে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রকৌশল কামরুজ্জামান কে জানালে তিনি বলেন, ‘প্লাস্টারের কাজ প্রায় সমাপ্ত। আর মাত্র ১০ থেকে ১৫ দিন লাগতে পারে। সমস্যা নিরসনের বিষয়ে জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেন আমরা কাজটি ছুটির ভিতর অথবা ক্লাস টাইম বাদ দিয়ে সকালে অথবা বিকেলে প্লাস্টারের কাজ করবো'।