খুবিতে শিক্ষার্থীদের ব্যতিক্রমধর্মী ‘দাবি উত্থাপন মঞ্চ’


Maruf Ahmed | Published: 2024-10-27 23:15:28 BdST | Updated: 2024-12-14 12:50:42 BdST

সাধারণ শিক্ষার্থী,শিক্ষক,কর্মকর্তা-কর্মচারী ও অন্যান্য অংশীজনের উপস্থিততে বিকাল ৪ টায় খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরা প্রায় ৩৭টি দাবি তুলে ধরেন ‘দাবি উত্থাপন মঞ্চে’। খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ই প্রথম এমন ব্যতিক্রমধর্মী আয়োজন করছে।এই মঞ্চে শিক্ষার্থী ও শিক্ষকগণ তাদের আলোচনা তুলে ধরেন।

বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহতদের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে প্রথমে এক মিনিট নিরবতা পালন করা হয়।এরপর জাতীয় সংগীত পরিবেশনার মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠান শুরু হয়।

ইতিহাস ও সভ্যতা ডিসিপ্লিনের শিক্ষক হাসান মাহমুদ সাকী বলেন, ‘আমি মনেকরি ছাত্র শিক্ষকের সম্পর্ক হওয়া উচিত অন্তর্ভুক্তি মূলক। যেখানে সবার বাক স্বাধীনতা থাকবে। শিক্ষার্থী তাদের সমস্যা তুলে ধরবে শিক্ষকের কাছে’।

এম সি জে ডিসিপ্লিনের শিক্ষার্থী সাজ্জাদুল ইসলাম আজাদ দাবি উত্থাপন মঞ্চে প্রথমে বলেন , ‘জুলাই অভ্যুত্থানের পূর্বে শিক্ষকরা শিক্ষার্থীদের মুখ চেপে ধরতো। শিক্ষার্থীরা তাদের মতামত প্রকাশ করতে পারতো না। খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় একটি অরাজনৈতিক প্রতিষ্ঠান এখানে শিক্ষার্থীদের জন্য রাজনৈতিক কার্যক্রম নিষিদ্ধ ঠিক তেমনি শিক্ষকরাও কোনো রাজনৈতিক কার্যক্রম করতে পারবে না তবে রাজনৈতিক সচেতন হতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন হতে হবে স্বচ্ছ ও জবাবদিহিমূলক। খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় যে অর্ডিন্যান্সগুলো শিক্ষার্থীদের মতাদর্শের সাথে সংঘর্ষিক সেগুলোকে সংশোধন করে শিক্ষার্থীবান্ধব করতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয় একটি বুদ্ধিভিত্তিক প্লাটফর্ম তৈরি করতে হবে যেখানে ভালো কাজে যেমন প্রশংসা করা হবে ঠিক তেমনি খারাপ কাজের সমালোচনা করা হবে । একজন শিক্ষক বিশ্ববিদ্যালয়ের একাধিক দায়িত্বে থাকতে পারবেন না যিনি শিক্ষক সমিতির সদস্য তিনি প্রশাসনিক দায়িত্ব থাকতে পারবেন না’।

ইংরেজি ডিসিপ্লিনের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী আইমান আহাদ বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের আর্টিকেল প্রকাশের জন্য মানসম্পন্ন একটা ব্যবস্থা রাখতে হবে’।

এছাড়া শিক্ষার্থীরা তাদের অনেক গুলো দাবি তুলে ধরেন সেগুলোর মধ্য অন্যতম হলো:

সকল শিক্ষার্থীদের জন্য আবাসনের ব্যবস্থা করতে হবে, রিটেক এবং রিরিটেকের জন্য কোনো ফি নেওয়া যাবে না,কোর্স রেজিস্ট্রেশন ফি ২৫০০টাকার মধ্যে নিয়ে আসা, শিক্ষার্থীদের বাক স্বাধীনতা দিতে হবে, উন্নতমানের গবেষণা সোসাইটি গড়ে তোলা, বিশ্ববিদ্যালয়ের মেইনগেটের নাম ‘শহীদ মীর মুগ্ধ তোরণ ’নামকরণ করা, ক্লাস টাইম ৮টা থেকে ৩টার মধ্যে নিয়ে আসা, সংগঠন করার সুযোগ দেওয়া, ক্যান্টিনের খাবার মান উন্নত করা ইত্যাদি বিষয়গুলো তুলে ধরেন শিক্ষার্থীরা।

ডঃ ইয়াসির আলী বলেন, ‘বাংলাদেশ সংস্কার করতে হবে এবং খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়কে সংস্কার করতে হবে।একটা সংস্কার কমিটি গঠন করতে হবে।এই কমিটিতে আটি স্কুললের আটটি প্রতিনিধি থাকবে যারা সবাই শিক্ষার্থী।যত দ্রুত সম্ভব শিক্ষার্থীদের দাবিগুলো বাস্তবায়ন করতে হবে’।

দাবি উত্থাপন মঞ্চে ট্রেজারার প্রফেসর ড.নুরুন্নবী বলেন,'আমি মনেকরি বর্তমানে যে প্রশাসন রয়েছে তা দ্রুত শিক্ষার্থীবান্ধব হয়ে উঠবে'।