শাহবাগে মেডিকেল শিক্ষার্থীদের অবরোধ সরিয়ে দিল পুলিশ


Dhaka | Published: 2020-11-09 03:04:03 BdST | Updated: 2024-04-25 22:55:22 BdST

চার দফা দাবিতে রাজধানীর শাহবাগে মেডিকেল শিক্ষার্থীদের অবরোধ সরিয়ে দিয়েছে পুলিশ। তবে শিক্ষার্থীদের অভিযোগ পুলিশ তাদের ওপর লাঠিচার্জ করেছে।

আজ রোববার দুপুর দেড়টার দিকে শাহবাগে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়ে যায়। এ বিষয়ে শাহবাগ থানা পুলিশের কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি। সকাল সাড়ে ১১টার দিকে সরকারি, বেসরকারি, সাধারণ মেডিকেল ও ডেন্টাল কলেজের শিক্ষার্থীদের একটি অংশ অবরোধ কর্মসূচি শুরু করেন। এতে গাবতলী, মিরপুর, মোহাম্মদপুর থেকে মতিঝিল, যাত্রাবাড়ী, সায়েদাবাদ রুটে চলা গণপরিবহন ও ব্যক্তিগত যানবাহনের দীর্ঘ জট তৈরি হয়।

মহামারীর মধ্যে প্রফ পরীক্ষা না নেওয়া; সেশনজট নিরসন করে কোর্স সম্পন্ন করার ব্যবস্থা; বেসরকারি মেডিকেল কলেজে ৬০ মাসের বেশি বেতন না নেওয়া এবং পরীক্ষা দিতে বাধ্য করা হলে ও পরীক্ষা দিতে গিয়ে কেউ আক্রান্ত হলে তার দায় কর্তৃপক্ষকে বহন করতে হবে— এই চার দাবিতে মেডিকেল শিক্ষার্থীরা শাহবাগে জড়ো হয়েছেন।

লিখিত বক্তব্যে শিক্ষার্থীরা বলেন, গত ২৭ অক্টোবর স্বাস্থ্য অধিদপ্তর নোটিশ দিয়ে জানিয়েছে, চলতি বছরের ডিসেম্বরের তৃতীয় সপ্তাহে এমবিবিএস ও বিডিএস কোর্সের বৃত্তিমূলক পরীক্ষা নেওয়া হবে। করোনার কারণে অন্যান্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মতো মেডিকেল কলেজের শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ আছে। সরকার অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের শিক্ষা কার্যক্রম চালু রাখতে বিকল্প উদ্যোগ নিলেও আমাদের পরীক্ষা নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। এটি আমাদের জন্য হুমকি।

আজ রোববার সকাল সাড়ে ১১টার দিকে চার দফা দাবিকে শাহবাগে অবরোধ কর্মসূচি শুরু করেন সরকারি, বেসরকারি, সাধারণ মেডিকেল ও ডেন্টাল কলেজের শিক্ষার্থীদের একটি অংশ। ছবি: প্রবীর দাশ
তারা বলেন, স্বাস্থ্যবিধি মেনে হলে অবস্থান করা অত্যন্ত কঠিন বিষয়। অনেক হলে আমরা একেক রুমে তিন থেকে চার জন বা তারও বেশি বসবাস করি। কমন বাথরুম ব্যবহার করতে হয়। একটি বেসিন ১৫ থেকে ২০ জন শিক্ষার্থী ব্যবহার করে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, শীতে করোনার প্রকোপ বাড়তে পারে। করোনার কারণে আমরা ইতোমধ্যে অনেক কাছের মানুষকে হারিয়েছি।

অন্যদিকে শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ থাকায় সেশনজট দেখা দিয়েছে। ফলে শিক্ষার্থীদের মধ্যে হতাশা বিরাজ করছে। প্রাইভেট মেডিকেল কলেজগুলোর ক্লাস ও হোস্টেল বন্ধ থাকলেও অতিরিক্ত বেতন পরিশোধের জন্য কর্তৃপক্ষ চাপ প্রয়োগ করছে। দুঃখজনক বিষয় হলো আমাদের এসব সমস্যা নিয়ে কর্তৃপক্ষ কোনো ব্যবস্থা নেয়নি— বলেন শিক্ষার্থীরা।