মৈত্রী হলের বিবাহিত ছাত্রীর সাথে হল প্রশাসনের আচরণ মধ্যযুগীয়ঃ ইমি


Dhaka | Published: 2021-12-18 23:09:16 BdST | Updated: 2024-04-17 02:59:55 BdST

মৈত্রী হলের বিবাহিত ভিক্টিমের সাথে হল প্রশাসন কি ব্যবহার করেছে তা লিখছি। পুরো লেখাটা একটা কনভারসেশনের উপর ভিত্তি করে অনুলেখন করার চেষ্টা করেছি। যতটুকু পেরেছি, কথ্যরূপটাই রাখার চেষ্টা করেছি। আমি নিজেও লিখতে যেয়ে ট্রমায় পড়ে গিয়েছি, তাই কথ্যরূপ গুছিয়ে সব ডাইভার্ট করা আমার পক্ষেও সম্ভব হয়নি। আর যেহেতু কথা শুনে লিখেছি, কথার ধারাবাহিকতাতেই লিখেছি।

ওর রুমমেটকে ডেকে পাঠায়ে বলা হয় যে ও তো বিবাহিত, ওর সিট কেটে দিলাম। ওর রুমমেট জিজ্ঞাস করে ও ম্যামের সাথে দেখা করবে কিনা। তখন ম্যাম বলে, না দেখা করার কোনো দরকার নাই। কথা বলাবলির কি আছে এখানে? কথা বলাবলির তো কিছু নাই। ও ১২ নভেম্বর হলে আসলে ওর রুমমেট ওকে জানায় যে ওর সিট কেটে দিসে বিবাহিত দেখে। ও তখন ম্যামের সাথে দেখা করবে কিনা জিজ্ঞাস করলে ওর রুমমেট বলে ম্যাম যেতে মানা করসে। দেখা করলে সে বিরক্ত হবে। ও হলের ভিপিকে বিষয়টা জানালে আপু ওকে ওর ব্লক টিচারের সাথে যোগাযোগ করতে বলে। ও ম্যামের কাছে জিজ্ঞাস করে সিট কমিটির ম্যাম, প্রভোস্ট ম্যামের সাথে ও দেখা করবে কিনা। ম্যাম বলেন বিষয়টা আমি দেখতেসি, তোমার যাওয়ার দরকার নাই। যেহেতু ম্যাম বিষয়টা হ্যান্ডেল করতেসেন বলে জানান, ও আর এর মধ্যে সিট কমিটির ম্যাম, প্রভোস্ট ম্যামের কাছে এপ্লিকেশন নিয়ে যায়নি। ওর ব্লক ম্যামের সাথে ওর একাধিকবার যোগাযোগ হয়। তিনচারদিন পরে ম্যাম বলেন যে তিনি ওর জন্য কিছু করতে পারলেন না, ম্যামরা ওকে অন্য ব্যবস্থা করতে বলেন। ও বলে ম্যাম, আমার তো পরীক্ষা চলছে। ম্যাম বলেন ম্যামরা পরীক্ষার কথা শুনতে চাইছেন না, তোমাকে অন্য ব্যবস্থা করতে বলেছেন।

১৫ ডিসেম্বর ইলা ম্যাম আর অদিতি শামস পরীক্ষা শেষে ওকে ডেকে পাঠায় হল অফিসে। ওকে জিজ্ঞাস করে সিট কেটে দিসে, ঘাড় ধরে কি বের করে দিসে হল থেকে? ওর কিছু অপরাধ ফাইন্ড আউট করে।

১। ওর সিট কেটে দেয়ার বিষয়টা ভিসি পর্যন্ত এবং মিডিয়ায় যাওয়ার জন্য ওকে ১০-১৫ মিনিট ঝাড়ে। ও কেঁদে ফেলে। বলে ম্যাম, আমি কি কিছু বলতে পারি সেলফ ডিফেন্সের জন্য? ওকে উত্তর দেয়া হয় না, তোমার সেলফ ডিফেন্সের কোনো জায়গা নাই। তুমি বহুত বলসো বাবা। যাদের কাছে বলসো এখন তাদের কাছেই যাও। আমরা আর কিছু শুনব না। তোমরা যদি আমাদের কাছে প্রথমে আসতা, এই কান্নাকাটি, অনুরোধ করতা তাহলে তো তোমাকে ঘাড় ধরে বের করে দিতাম না। আমরা তো তোমাকে ঘাড় ধরে বের করে দেইনাই। তুমি তো হলে থাকতেসো। তুমি যদি ভিসির কাছে না যেয়ে, পাবলিসিটি না করে আমাদের কাছে আসতা, কান্নাকাটি করে অনুরোধ করতা, কত মেয়েদেরই তো এমন সমস্যা থাকে, আমাদের কাছে এসে কান্নাকাটি করে- আমরা তো তাদের থাকতে দেই। দেইনা? তুমিও ওইরকম আসতা? দেখতা সিট দিতাম কি না দিতাম? ও তখন বলে যে ও ব্লক ম্যামের সাথে বারবার যোগাযোগ করসে। ম্যাম যেহেতু বিষয়টি হ্যান্ডেল করছিলেন এবং ওকে ম্যামদের সাথে দেখা করতে মানা করেছিলেন, তাই ও আর আসেনি। তখন ওকে ধমকায়ে বলা হয় তুমি এখন নিজের দোষ ঢাকতে ব্লকের ম্যামকে জড়াচ্ছো???

২। ওকে জিজ্ঞাস করে ও যে অঙ্গিকারনামায় সাইন কথা হলে উঠসিল সেটা ও জানে কিনা। ও বলে ম্যাম, অঙ্গিকারনামা তো দুইবছর আগে দেখছিলাম, এখন তো মনে নাই। এইটা ওর দ্বিতীয় অপরাধ। ওকে বলা হয় হলে বিবাহিত মেয়ে থাকার নিয়ম নাই দেখে ওর সিট কেটে দিসে। ও তখন বলে ম্যাম, চলতি সেশনে তো বিশেষ বিবেচনায় থাকতে পারে। তখন ওকে জিজ্ঞাস করে এই নিয়ম কই পাইসো? ও নিয়মাবলির একটা কপি ম্যামদের দেয়। তখন ম্যামরা ওকে বলে এইটা তো শামসুন নাহার হলের নিয়ম। মৈত্রী হলের নিয়মাবলীর একটা পেইজ বের করে বলে এইটা আমাদের হলের নিয়ম। এখানে বিবাহিত থাকার কোনো নিয়ম নাই কোনো অবস্থাতেই।

তারপর ওকে বলে এখন কি করবা? বের হয়ে যাবা? ও বলে ম্যাম, আমার তো পরীক্ষা চলছে। আমার তো এখন বের হয়ে যাবার জায়গা নেই। তখন ওকে বলে কোথায় যাবা তা তো আমরা কিছু জানিনা।

বিকালে ওকে আবার ডেকে পাঠায়। এর আগে সময় টিভির সাংবাদিক আসেন। তিনি প্রভোস্ট এবং ইলা ম্যামের সাথে কথা বলেন দেখে ওকে আরেক দফা ঝাড়া হয়। প্রভোস্ট অনেক অপ্রাসঙ্গিক কথা বলে ফোকাস ঘুরানোর চেষ্টা করে।

মেয়েটা অনেক আকুতি মিনতি করে বলে ম্যাম, আমি শুধু একটু থাকার জায়গা চাইছি। আমাকে শুধু একটু থাকার জায়গা দেন। আপনাদের বিরুদ্ধে আমি কোনো অভিযোগ করিনি। অভিযোগ করা হইছে শামসুন নাহার হলের হাউজ টিউটরের বিরুদ্ধে। আমি শুধু একটু থাকার জায়গা চাইছি, এইজন্যই ভিসি স্যারের কাছে গেসিলাম। তখন ওকে বলা হয় কিন্ত, বিষয়টা জেনারালাইজড হয়ে পাবলিশড হইছে। হাউজ টিউটরদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছো তুমি। তখন ও বলে অনেক মেয়েই তো থাকে বিবাহিত। আমাকে শুধু একটু থাকার জায়গা দেন। ওকে উত্তর দেয়া হয় সবাই অন্যায় করলে তুমিও অন্যায় করবা? আর তুমি কি প্রমাণ করতে পারবা যে কে বিবাহিত আর কে বিবাহিত না? এমন কোনো কথা বলবা না যেই কথা ধোপে টেকে না।

সন্ধ্যায় ওকে আরও একদফা ডেকে পাঠানো হয়। মেয়েটাকে সবচাইতে বেশি হয়রানি করা হয় এই পর্যায়ে। ওকে কাগজ বের করে দিয়ে ও কি কি অপরাধ করসে তা ওকে লিখতে বলে। ওকে জিজ্ঞাস করা হল কবে খুলসে তা ও জানে কিনা। ও বলে ম্যাম, আমার ক্লাস শুরু হয় ১৪ নভেম্বর থেকে। এইজন্য আমি ১২ নভেম্বর হলে উঠি।ওঠার সময় এপ্লিকেশনও দিয়ে উঠসিলাম হাউজ টিউটরের কাছে।

১০ সেপ্টেম্বর হলে ওঠেনি এইটা ওর প্রথম অপরাধ। ও কাগজে ক্লাস শুরু হওয়া এবং ওঠার সময় এপ্লিকেশন দেয়ার কথা লেখার কারণে অদিতি শামস ওর এপ্লিকেশন ছিঁড়ে ফেলে। ওকে জিজ্ঞাস করে কার কাছে এপ্লিকেশন দিয়েছিল। ও বলে যে ম্যামকে ও চিনতে পারেনি। ম্যাম সম্ভবত করোনার পরে জয়েন করেছিলেন হলে। তখন ওকে বলে ম্যামকে চিনতে না পারা তোমার দ্বিতীয় অপরাধ। আমাদের কি ঠ্যাকা পড়ছে তোমাদেরকে নাম বলার?

১২ নভেম্বর থেকে ১৪ ডিসেম্বর খাতায় সাইন করেনি এইটা ওর দ্বিতীয় অপরাধ। ও বলে সিটই তো কেটে দেয়া হইসে। আমি সাইন কিভাবে করব? কাগজে দ্বিতীয় অপরাধ লেখার পরে কারণ সিট কেটে দেয়া হয় লেখার কারণে অদিতি শামস আবারো ওর এপ্লিকেশন ছিঁড়ে ফেলতে উদ্যত হয়। ও রিকোয়েস্ট করে বলে ম্যাম, আমি আবার লিখতেসি। ও একটু বসে লেখার অনুমতি চায়৷ তখন অদিতি শামস বলে তুমি বসে লেখার সাহস পাও কোত্থেকে? তুমি তো বসে লেখার মতন কোনো কাজ করোনি। মেয়েটা হল অফিসের বাইরে দাঁড়ায়ে আবারও এপ্লিকেশন লেখে। ফরমাল এপ্লিকেশনে যেভাবে লেখা হয়, এমতাবস্থায় আমার সমস্যা বিবেচনা করে আমার অপরাধ মার্জনাপূর্বক আমাকে হলে থাকার অনুমতি দিয়ে বাধিত করবেন- এইটা কেন লিখলো এই কারণে অদিতি শামস তৃতীয় বার ওর এপ্লিকেশন ছিঁড়ে ফেলতে যায়। ও রিকোয়েস্ট করে বলে ম্যাম ছিঁড়তে হবেনা আমি আবার লিখতেসি। তখন ওর সামনে চার পাঁচটা কাগজ বের করে বলে যতক্ষণ আমাদের বলা পয়েন্ট ঠিকঠাক না লিখতে পারবা ততক্ষণ তোমাকে লেখাব। ওর চতুর্থ পেপারও ছিঁড়তে যায়। ততক্ষণে প্রভোস্ট চলে আসলে প্রোভোস্টকে জিজ্ঞাসা করা হয় এটা ছিঁড়ে ফেলবে কিনা। তখন প্রভোস্ট বলেন ছেঁড়া লাগবে না। এটার উপর দিয়ে কেটেকুটে ঠিক করে নাও। ওর রুম নাম্বার আর ফোন নাম্বার লিখে জমা দিতে বলে।

একটা মেয়েকে এত বাজেভাবে স্বীকারোক্তি দিতে জোর করা হয় আর কোনো প্রতিষ্ঠানে? কোনো অপরাধীর কাছ থেকেও কি এভাবে কথা আদায় করে নেয়া হয়??? আমার ডিবি অফিস যাবার অভিজ্ঞতা আছে। আমাকে যখন কাগজে লিখতে বলে আমি যা করেছি তা আর করব না তখন আমি বেশ উদ্ধতভাবে লিখে এসেছিলাম। আমার এখনো যতদূর মনে পড়ে "দেশের জন্য ভাবার কারণে যে মূল্য দিতে হচ্ছে তা সারাজীবন মনে থাকবে। আশা করি আর কোনোদিন দেখা হবেনা" এইরকম কিছু একটা লিখেছিলাম আমি। আমাকে আর দ্বিতীয় কোনো কথা না বাড়িয়ে গাড়িতে করে শাহবাগ থানায় নিয়ে আসা হয়েছিল। ওরা এই ব্যবহারের সিকিভাগও তো করেনি আমার সাথে।

নাটক এখানেই শেষ হলে পারতো। ওর নামের পাশের ক্রস চিহ্নকে স্টার চিহ্ন বানায়ে ওকে জিজ্ঞাস করে ওর নাম কোথায় কাটসে? ওর নামের পাশে তো কোনো ক্রস নাই। যে নাম কাটা নিয়ে এত ঝামেলা, লাফালাফি করসে, নাম তো তারা কাটেই নাই! এই ঘটনা ওর রুমমেটের সামনে, যার সামনে ওর নাম কাটসিল। ওদের ডেকে পাঠায়ে ওকে উদ্দেশ্য করে ওর রুমমেটকে বলে এই মেয়ে কতবড় বেয়াদব! তুমি যদি আমাদের প্রতি সত্যিই অবিডিয়েন্ট হইতা, তুমি এইভাবে আমাদের সামনে দাঁড়ায়ে থাকতে পারতা?তোমার মধ্যে তো অবিডিয়েন্ট হবার কোনো লক্ষণই নাই। খাতায় সাইন কেন করোনাই জিজ্ঞাসা করলে বলো নাম কেটে দিসি বলে করোনাই। এতই যখন অবিডিয়েন্ট আমাদের কাছে না এসে ভিসির কাছে গেসিলা কেন? সংবাদপত্রে যে অভিযোগ আসছে তা কি তুমি বক্সে ভরে রাখতে পারবা?

ও বিবাহিত জানার পরে নাকি ওকে এক সপ্তাহ সময় দিসিল। ও এক সপ্তাহের মধ্যে আসেনি দেখে নাকি ওর নাম কেটে দিসে। এটা যে ডাহা মিথ্যা কথা এবং ক্রস চিহ্নকে স্টার বানানোর পরে নিজেরাও যে অসামঞ্জস্য করে ফেলসে কথা, তা পাঠক নিশ্চয়ই বুঝতে পারছেন। ওর রুমমেটের সামনেই বলে এই কথা। তখন ও বলে ম্যাম, আপনি তো আপুকে বলসিলেন আপনাদের সাথে দেখা না করতে। এইজন্য আমি আসিনাই। এরপর হাউজ টিউটররা ওর রুমমেটকে ইশারায় চলে যেতে বলে। ওর রুমমেট চলে যাবার পরে ওকে বলে ও! তুমি এত অবিডিয়েন্ট যে আসতে মানা করসি দেখে আসোনাই! কই? সেই আপু কই? সে আছে এখন তোমাকে শেল্টার দেয়ার জন্য? অদিতি শামস বলে তোমার সাথে বহুত নরম সুরে কথা বলসি। এর পরে আর কোনো নরম সুরে তোমার সাথে কথা বলা হবেনা। তার মানে নিচে নামার আরও লেভেল বাকি আছে উনার! স্তব্ধ হয়ে গিয়েছি পুরো।

মেয়েটা প্রচন্ড ট্রমায় আছে। কোন কোন ম্যাম ওর সাথে এই ব্যবহার করসে জিজ্ঞাস করলে বারবার করে বলসে যাতে কোনো ম্যামের নাম পরিচয় প্রকাশ না করা হয়। ইলা ম্যামের নাম প্রকাশ পাওয়ায় ম্যাম ওকে অনেক ঝাড়ছে, কটু কথা শোনাইছে। এত অপমান আর ও নিতে পারতেসে না। ম্যামদের নাম প্রকাশের পেলে ম্যামরা ওকে ছিঁড়ে ফেলবে। ও বলসে হল তো ছেড়ে দিতামই, এখন তো মানসম্মানও থাকতেসে না। ম্যামরা ওকে বারবার বলসে তুমি মিডিয়ায় জানায়ে কি নিজের জন্য ভালো করসো? এতে তোমার মানসম্মান থাকবে? তুমি মুখ দেখাবা ক্যামনে? তুমি বন্ধুবান্ধবদের সাথে চলবা ক্যামনে? তোমার মানসম্মান তো শেষ!

ও ভাবতেসে ওর মানসম্মান চলে গেছে। ওর ব্যাচমেটরা কেউ ওর সাথে কথা বলতেসে না। হলের সবাই ওকে ইগ্নোর করতেসে। ভাবতেসে ওর সাথে কথা বললে ওরাও দোষী হবে। এটা লেখার সময়েও আমি কাঁদতেসি। আমি বিয়ে করার মতো মহাপাপ করিনি, তবে রাতের বেলা আমাকে পুলিশ তুলে নিয়ে গেসিল হলের সামনে থেকে। পরমা আমার সাথে যেতে চেয়েছিল যেহেতু আমাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিচ্ছিল। তখন আমার রুমমেট জুন আপু আমার হলের প্রভোস্ট থেকে শুরু করে ডিপার্টমেন্টের চেয়ারম্যান, ফ্যাকাল্টির ডীন সবার সাথে যোগাযোগ করসে। সাংবাদিকদের ফেইস করসে। আমাকে দুই দুইবার হল প্রশাসন সর্বশক্তি দিয়ে চেষ্টা করসে হল থেকে বের করার। কিন্ত মৈত্রী হল প্রশাসনের লেভেলে যাইতেই পারেনি। হলের আপুরা শুরু থেকে এখন পর্যন্ত যে সম্মান আমাকে দিয়ে আসছেন, তা আমার আজন্ম ঋণ। সাত জন্মের কপাল করে শামসুন নাহার হলে সিট পেয়েছিলাম ভাগ্যিস!

দুটো ব্যাপারে বাজেভাবে আহত হয়েছি। হল প্রশাসন কিভাবে এক্সপেক্ট করে যে বিবাহিত মেয়েরা তাদের পা ধরে কান্নাকাটি করবে হলের সিটের জন্য? প্রাপ্তবয়স্ক একটা মেয়ের বিয়ে করা কি অপরাধ? তারা কিভাবে মানসম্মানের কথা বলে? তারা নিজেরা আয়নায় মুখ দেখেনা? নিজেদের মানসম্মান থাকলে এই ছোটলোকি মেয়েটার সাথে করতে পারত? অন্যায়ের প্রতিবাদ করসে দেখে ও মুখ দেখাতে পারবে না- এটা বলার স্পর্ধা কিভাবে করে??? আর দ্বিতীয় বিষয়টা হচ্ছে মৈত্রী হলের আপুরা ভিক্টিম মেয়েটার সাথে যে ব্যবহার করতেসেন সেইটা। আপনাদের এই নতজানু আচরণের সুযোগ নিয়েই বোধহয় ডাকসু ইলেকশনের সময় ওয়াশরুমে ব্যালটের বস্তা ভরে রেখেছিল!

যারা মেয়েটাকে এভাবে ট্রমা দিচ্ছে, তারাও ঢাবির সাবেক ছাত্র। ঢাবির এলামনাইরা তো কম প্রতিষ্ঠিত না। কয়দিন আগে ছাত্রলীগকে সাথে নিয়ে "আমার বঙ্গবন্ধু" বক্তৃতা আয়োজন করলেন। নিজেরা যেই নিয়ম ভাঙতে পারেন নাই, বিবাহিত হবার অপরাধে আপনাদের ছোট বোনদের সাথে যে ব্যবহার করা হচ্ছে, সেই নিয়ম ভাঙতে আমাদের পাশে দাঁড়াবেন না?

লিখেছেন এসকে তাসনিম আফরোজ ইমি,  সাবেক ভিপি-শামসুন্নাহার হল ছাত্র সংসদ