এবার বাতিল হচ্ছে জিয়াউর রহমানের 'বীর উত্তম' খেতাব


ঢাকা | Published: 2021-02-10 14:20:37 BdST | Updated: 2024-04-25 17:32:42 BdST

বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা সাবেক রাষ্ট্রপতি ও মুক্তিযুদ্ধের সেক্টর কমান্ডার জিয়াউর রহমানের ‘বীরউত্তম’ খেতাব বাতিলের সিদ্ধান্ত নিয়েছে জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল (জামুকা)।

বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের মদদদাতা উল্লেখ করে মুক্তিযুদ্ধে অবদানের এ খেতাব প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তার সকল রাষ্ট্রীয় সুযোগ-সুবিধাও থাকবে না। গতকাল মঙ্গলবার রাজধানীর স্কাউট ভবনে কাউন্সিলের দিনব্যাপী সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

একইসঙ্গে বঙ্গবন্ধুর চার খুনির বীরবিক্রম ও বীরপ্রতীক খেতাব বাতিলের সিদ্ধান্ত হয়েছে। খেতাব বাতিলের পাশাপাশি তাদের রাষ্ট্রীয় সব সুযোগ-সুবিধাও বাতিল করা হবে। বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের আরেক মদদদাতা সাবেক রাষ্ট্রপতি খন্দকার মোশতাক আহমদের নাম রাষ্ট্রের ‘স্মরণীয়-বরণীয়’ তালিকা থেকে বাদ দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। সভায় সভাপতিত্ব করেন মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক।

সভাসূত্র জানায়, বঙ্গবন্ধুর খুনিদের খেতাব বাতিলের বিষয়টি সভার আলোচ্যসূচিতে না থাকলেও ৩০ জন মুক্তিযোদ্ধার সনদ যাচাই-বাছাই ও বাতিল-সংক্রান্ত বিষয়ে আলোচনার সময় বিষয়টি উত্থাপিত হয়। তখন এ নিয়ে দীর্ঘ আলোচনার পর জিয়াউর রহমানের খেতাব ও রাষ্ট্রীয় সুযোগ-সুবিধা বাতিলের সিদ্ধান্ত নেয় জামুকা। একইসঙ্গে বঙ্গবন্ধুর খুনি ক্যাপ্টেন নূর চৌধুরী ও মেজর শরিফুল হক ডালিমের বীরবিক্রম খেতাব এবং রাশেদ চৌধুরী ও মোসলেহ উদ্দিন খানের বীরপ্রতীক খেতাব বাতিলের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

বঙ্গবন্ধুর খুনিদের খেতাব বাতিল হলেও মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস থেকে তাদের নাম বাদ দেওয়া যাবে না বলে মন্তব্য করেন শাহরিয়ার কবির। তিনি বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস কখনও বদলানো যায় না। বিকৃত করা যাবে না। ইতিহাসের যার যা ভূমিকা তা লিপিবদ্ধ রাখতে হবে। যেমনটি জিয়াউর রহমানের ক্ষেত্রে তিনি মুক্তিযুদ্ধে জেড ফোর্সের অধিনায়ক ছিলেন, এটি সত্য। বীরউত্তম খেতাবও পেয়েছিলেন। একইভাবে খন্দকার মোশতাক আহমদ, যিনি বঙ্গবন্ধুর হত্যাকাে র পর রাষ্ট্রপতি হয়েছিলেন। মুক্তিযুদ্ধের সময় তিনি মুজিবনগর সরকারের মন্ত্রীও ছিলেন। অথচ তখন তার ভূমিকা ছিল স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের বিরুদ্ধে, যেটি ইতিহাসের বিভিন্ন পর্যায়ে উঠে এসেছে।’