ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের দরকার আছে: তথ্যমন্ত্রী


Desk report | Published: 2022-06-09 09:13:37 BdST | Updated: 2024-04-19 01:17:55 BdST

তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেছেন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের দরকার আছে। এই আইন দেশের সব মানুষকে সুরক্ষা দেওয়ার জন্য। তবে কোনো সাংবাদিকের অহেতুক বা মিথ্যা মামলায় হয়রানি হওয়া উচিত নয় এবং তা কারও হওয়া উচিত নয়।

বুধবার বাংলাদেশ সচিবালয়ে টেলিভিশন মালিকদের সংগঠন অ্যাটকোর প্রতিনিধির সঙ্গে বৈঠককালে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী এ কথা বলেন। এ সময় অ্যাটকোর নেতারা তাঁদের বিভিন্ন দাবিদাওয়া মন্ত্রীর কাছে তুলে ধরেন।

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় গ্রেপ্তার এবং আজ জামিন পাওয়া রাঙামাটির স্থানীয় দৈনিক ‘পার্বত্য চট্টগ্রাম পত্রিকা’ ও অনলাইন পোর্টাল ‘পাহাড় টোয়েন্টিফোর’ ডটকমের সম্পাদক ফজলে এলাহীর বিষয়ে করা এক প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী এ কথা বলেন।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন দেশের সব মানুষকে সুরক্ষা দেওয়ার জন্য। এ আইনের সুযোগ নিয়ে অনেক সাংবাদিকও মামলা করেছেন। বহু নারীর চরিত্র হনন করা হয় এবং একজন নারী চরিত্র হননের কারণে মামলা করেছিলেন। যাদের বিরুদ্ধে মামলা করেছিলেন, তাদের সাজা হয়েছে। সুতরাং ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের দরকার আছে। তবে কোনো সাংবাদিকের অহেতুক বা মিথ্যা মামলায় হয়রানি হওয়া উচিত নয়। কারোরই তা হওয়া উচিত নয়। কিন্তু কেউ অপরাধ করলে বিচার হওয়াও প্রয়োজন রয়েছে।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘এ ক্ষেত্রে (সাংবাদিক ফজলে এলাহী) কী হয়েছে জানি না, আসলে কী ঘটেছিল। একজন মামলা করেছিলেন, জামিনও হয়েছে। তাঁর প্রতি যেন কোনো অবিচার না হয়, সে বিষয়ে আমরা সচেষ্ট আছি। তাঁর প্রতি যাতে অন্যায় না হয়, সেটি অবশ্যই আমাদের মন্ত্রণালয় থেকে দেখব।’

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলার গ্রেপ্তারি পরোয়ানাভুক্ত আসামি হিসেবে গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যায় সাংবাদিক ফজলে এলাহীকে গ্রেপ্তার করে কোতোয়ালি থানা-পুলিশ। পরে জামিন আবেদন করার পর আজ আদালত তা মঞ্জুর করেন।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, বিএম কনটেইনার ডিপোতে আওয়ামী লীগ নেতা মজিবুর রহমানের মালিকানা মাত্র ৫ শতাংশ আর ৯৫ শতাংশ হচ্ছে অন্যদের। এ ক্ষেত্রে প্রথম ভুলটা হয়েছে গণমাধ্যমে, যারা এটি ভুলভাবে উপস্থাপন করেছিল তাদের। সেটির সূত্র ধরে বিএনপি মিথ্যাচার করা শুরু করেছে।

২৫ জুন পদ্মা সেতু উদ্বোধন হবে জানিয়ে তথ্যমন্ত্রী গুজবে কান না দেওয়ার অনুরোধ জানান।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, অ্যাটকোর সঙ্গে আগের আলোচনার পরিপ্রেক্ষিতে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট কোম্পনি টিভি ও বেতারের টিআরপি নিরূপণের কাজটি দ্রুত শুরু করবে। ক্লিনফিড ছাড়া বিদেশি চ্যানেল পরিবেশন করছে এমন যাকে পাওয়া যাবে, তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। প্রয়োজনে কেব্‌ল অপারেটর লাইসেন্স বাতিল করা হবে।

আইপি টিভিতে সংবাদ প্রচার করা সরকারের নীতিমালার পরিপন্থী উল্লেখ করে তাদের বিরুদ্ধে শিগগিরই ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান তথ্যমন্ত্রী।

অ্যাসোসিয়েশন অব টেলিভিশন চ্যানেল ওনার্স (অ্যাটকো) নেতাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি ইকবাল সোবহান চৌধুরী এবং পরিচালকদের মধ্যে আবদুল হক, কাজী জাহেদুল হাসান, লিয়াকত আলী খান, আহমেদ জুবায়ের, নাভিদুল হক, মো. আশফাক উদ্দীন আহমেদ, আবদুস সামাদ লাবু। এ ছাড়া তথ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মকবুল হোসেন, অতিরিক্ত সচিব খাদিজা বেগমসহ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।