রিজভী ও ওবায়দুলের গ্রেফতারের দাবিতে মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের মানববন্ধন


Dhaka | Published: 2022-06-22 06:42:14 BdST | Updated: 2024-04-23 16:07:45 BdST

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্লাবে গভীর রাতে নিয়মবহির্ভূত ভাবে বিএনপি নেতা রুহুল কবির রিজভী ও স্বাধীনতা বিরোধী অপশক্তি বিএনপি-জামাতপন্থী শিক্ষক এবিএম ওবায়দুল ইসলামের নেতৃত্বে গোপন বৈঠকের মাধ্যমে রাষ্ট্র বিরোধী ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে আজ ২১ জুন মঙ্গলবার বিকাল ৪টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ কর্মসূচী পালন করেছে বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ। সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক আল মামুন এর সঞ্চালনায় উক্ত মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ কর্মসূচীতে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুল। আরোও বক্তব্য রাখেন সংগঠনের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি সনেট মাহমুদ, সাধারণ সম্পাদক তৌহিদুল ইসলাম মাহিম, সংগঠনের উপদেষ্টা বীর মুক্তিযোদ্ধা জহির উদ্দিন জালাল, বীর মুক্তিযোদ্ধা রহুল আমিন মজুমদার ও বিশিষ্ট নাট্য অভিনেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা আহসানুল হক মিনু। মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশের বক্তব্যে সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক আল মামুন বলেন, "গত ১৮ জুন গভীর রাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্লাবে বিএনপি নেতা রুহুল কবির রিজভী ও স্বাধীনতা বিরোধী অপশক্তি বিএনপি-জামাতপন্থী সাদা দলের শিক্ষক এবিএম ওবায়দুল ইসলামের নেতৃত্বে অছাত্রদের সংগঠন ছাত্রদলের সন্ত্রাসীদেরকে সাথে নিয়ে রাষ্ট্র বিরোধী ষড়যন্ত্রের পরিকল্পনা করা হয়েছে যা দেশের প্রচলিত আইন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও বিশ্ববিদ্যালয় ক্লাব আইন পরিপন্থী। রাষ্ট্র বিরোধী গোপন বৈঠকে বাঙালি জাতির দীর্ঘদিনের কাঙ্ক্ষিত স্বপ্নের পদ্মা সেতুর উদ্বোধন অনুষ্ঠানকে বানচাল ও বিশ্ববিদ্যালয়ে লাশ ফেলানোর গভীর ষড়যন্ত্রের পরিকল্পনা করা হয়েছে যা কখনোই মেনে নিবে না বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ বজায় রাখার স্বার্থে সিসি টিভির ফুটেজগুলো দেখে অবিলম্বে এই গোপন বৈঠকে অংশগ্রহণকারী প্রত্যেককে গ্রেফতার করে রিমান্ডে নিয়ে এসে রাষ্ট্র বিরোধী ষড়যন্ত্রের প্রকৃত তথ্য জাতির সামনে প্রকাশ করতে হবে। বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধকে কটূক্তির অপরাধে চাকুরীচ্যুত শিক্ষক ও বিএনপি নেতা মোর্শেদ হাসান খান অবৈধভাবে এখনো ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক ভবনের বাসায় বসবাস করছেন যা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন পরিপন্থী। অবিলম্বে তার বাসা বরাদ্দ বাতিল করতে হবে। রাষ্ট্র বিরোধী ষড়যন্ত্রের মূলহোতা স্বাধীনতা বিরোধী অপশক্তির বিএনপি-জামাতের দোসর ওবায়দুল ইসলামকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কার করতে হবে। বাঙ্গালি জাতির কাঙ্ক্ষিত স্বপ্ন পদ্মা সেতুর উদ্বোধন বানচাল করার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ে লাশ ফেলানোর ষড়যন্ত্রে জড়িত রাজাকার পুত্র রুহুল কবির রিজভী, ওবায়দুল ইসলাম ও মোর্শেদ হাসান খানকে দ্রুত গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাচ্ছে বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ। সিসি টিভির ফুটেজ দেখে প্রত্যেক অপরাধীর বিরুদ্ধে এখনো কেন ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে না? ঢাবি প্রশাসন কোন ব্যবস্থা গ্রহণ না করলে উপাচার্যের কার্যালয় ঘেরাওসহ আরোও কঠোর কর্মসূচী ঘোষণা করবে বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ। বিশ্ববিদ্যালয়ে লাশ ফেলে ক্যাম্পাসকে অস্থিতিশীল করার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত ওবায়দুল ইসলাম ও মোর্শেদ হাসান খানসহ অছাত্রদের সংগঠন ছাত্রদলের সন্ত্রাসীদেরকে খুব শীঘ্রই সমুচিত জবাব দেয়া হবে। মহান মুক্তিযুদ্ধের সূতিকাগার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কখনোই সন্ত্রাস, মৌলবাদ ও জঙ্গিদের নিরাপদ আশ্রয়স্থল হতে পারে না।"

সংগঠনের সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুল বলেন, "ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্লাবে নিয়মবহির্ভূত ভাবে গোপন বৈঠকের মাধ্যমে রাষ্ট্র বিরোধী ষড়যন্ত্রের সাথে জড়িত খুনী জিয়ার দোসর রুহুল কবির রিজভী ও স্বাধীনতা বিরোধী অপশক্তি বিএনপি-জামাতপন্থী সাদা দলের শিক্ষক এবিএম ওবায়দুল ইসলামসহ অছাত্রদের সংগঠন ছাত্রদলের সন্ত্রাসীদেরকে দ্রুত গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাচ্ছি। বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধকে কটূক্তিকারী বিএনপি নেতা ও চাকুরীচ্যুত শিক্ষক মোর্শেদ হাসানের বাসা বরাদ্দ দ্রুত বাতিল করতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন কোন তালবাহানা করলে কুলাঙ্গার মোর্শেদ হাসান খাঁনকে ঢাবি ক্যাম্পাসের যেখানে পাওয়া যাবে সেখানেই প্রতিহত করবে বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ।"

সংগঠনের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি সনেট মাহমুদ বলেন, "শান্ত বিশ্ববিদ্যালয়কে অশান্ত করার পাঁয়তারা চলছে। পদ্মা সেতুর উদ্বোধনকে বানচাল করার জন্য রিজভী গংরা হলগুলোতে লাশ ফেলানোর ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে। ঢাবি ক্লাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন লঙ্ঘন করে গভীর রাতে ছাত্রদলের সন্ত্রাসীদের নিয়ে গোপন বৈঠকের মাধ্যমে প্রমাণিত হয় বিএনপি একটি জঙ্গিবাদী সংগঠন। কুলাঙ্গার মোর্শেদ হাসান খাঁন ও ওবায়দুল ইসলাম গংরা সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের মদদদাতা। গভীর রাতের গোপন বৈঠকে উপস্থিত সকলকে গ্রেফতার করে প্রয়োজনীয় জিজ্ঞাসাবাদ করতে হবে। কারণ এরা দেশ ও জাতির শত্রু। রিজভী কেন গভীর রাতে ঢাবি ক্লাবে ঢুকে গোপন বৈঠক করলেন? এবিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন নীরব কেন? দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ না করলে আমরা কঠোর কর্মসূচী ঘোষণা করবো।"