বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের অভ্যন্তরে সকল প্রকার দলীয় ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধকরণ চায় বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির (ডিআইইউ) শিক্ষার্থীরা। শুক্রবার (৯ আগস্ট) ডিআইইউ ছাত্র সংগঠনের পক্ষ থেকে সাধারণ শিক্ষার্থীরা এক বিবৃতি জানান।
বিবৃতিতে বলা হয়, পূর্বেই ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিতে সকল ধরনের রাজনৈতিক কার্যক্রম নিষিদ্ধ থাকা সত্বেও কিছু ছাত্র রাজনীতি সংগঠন চালু করা হয়েছিলো। ছাত্রলীগকে ইতিমধ্যে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। অনুরূপভাবে ছাত্রদল, ইসলামি ছাত্র শিবির, বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন এবং অন্যান্য সকল রাজনৈতিক ও জঙ্গি সংগঠন (হিজবুত তাহরীর) এবং অন্যান্য অবাঞ্ছিত ঘোষণা করা হল। এরপরেও যদি কোনো রাজনৈতিক দলের সাথে ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির কোনো শিক্ষার্থী সম্পৃক্ত থাকে। উক্ত সংগঠন থেকে তাদেরকে পদত্যাগের আহ্বান জানাচ্ছি বলে বিবৃতিতে উল্লেখ করেন তারা।
এতে আরও বলা হয়, ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিতে সকল ধরনের ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ।
বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বলছেন, ক্যাম্পাসে আমরা কোন ছাত্র রাজনীতি চাই না। ক্ষমতায় যে দল'ই আসুক সে দল আবার একইভাবে সাধারণ শিক্ষার্থীদের অনিরাপত্তায় ফেলবে। আর কোন সংঘাত নয় শান্তিপূর্ণ ক্যাম্পাস এবং সুন্দর একাডেমিক পরিবেশ চান শিক্ষার্থীরা।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগের শিক্ষার্থী মোঃ হাসিবুল হোসেন বলেন, প্রথম কথা হচ্ছে এটি স্বায়ত্তশাসিত কোনো বিশ্ববিদ্যালয় না এটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়। এখানে সবাই স্বাধীন ভাবে চলাফেরা করতে পারে। যদি এখানে রাজনীতি যুক্ত হয় তাহলে বিশৃঙ্খলা বেড়ে যাবে। আমি মনে করি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে রাজনীতি থাকা উচিত না। এখানে সবাই সমান।
বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির অন্যতম সমন্বয়ক মুহাম্মাদ মুহতাসিম বলেন, ক্যাম্পাসে ছাত্র রাজনীতি বাংলার ইতিহাসের এক অনবদ্য বিষয়বস্তু হলেও তা কালের পরিক্রমায় আজ তা বিবর্তিত হয়েছে। ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি একটি প্রাইভেট প্রতিষ্ঠান হওয়ায়, এখানে ক্যাম্পাস ভিত্তিক রাজনীতি স্বাভাবিক ভাবেই নিষিদ্ধ। তবুও ২০২১ এ তৎকালীন ক্ষমতাসীন দল ছাত্রলীগ বিশেষ ক্ষমতাবলে বিশ্ববিদ্যালয়ভিত্তিক কমিটি দেয় এবং বিশ্ববিদ্যালয়ে নৈরাজ্য কায়েমের সূচনা করে। তারা শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের সমস্যা নিয়ে তো কিছু করেই নাই, করেছে শুধু চাদাবাজি, সুবিধা গ্রহণ, নেশাপানি, মারামারি করা ইত্যাদি।
তিনি আরও বলেন, বহু কষ্টে অর্জিত আমাদের এই স্বাধীনতা। আমাদের পূর্বের ছাত্র-রাজনীতির অভিজ্ঞতা খুব একটা সুখকর নয়। আমরা চাই না যে, এক স্বৈরাচারী হাসিনা এর জায়গায় নব্য কোনো স্বৈরাচারের আগমন হোক। এজন্য ক্যাম্পাসে কোনোভাবেই ছাত্র-রাজনীতির পুনঃপ্রবেশ হতে দেওয়া যাবেনা। বাংলাদেশের শিক্ষার্থীরা আজ তাদের ক্যাম্পাস সমূহে কোনো রাজনৈতিক দল চায় না।