সাতক্ষীরার শ্যামনগরে গবেষণার কাজে আসা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নৃ-বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক রাশিদ মাহমুদ মারা গেছেন (ইন্না লিল্লাহে ওয়া ইন্না ইলাইহে রাজিউন)।
৩১ মার্চ বুধবার সন্ধ্যা সাতটার দিকে শ্যামনগর উপজেলার চালিতাঘাটা বাজার এলাকা অবস্থিত রিসোর্টের একটি কক্ষে তিনি মারা যান। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৪৬ বছর।
খবর পেয়ে রাতেই তার স্বজনরা মৃতদেহ নিয়ে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা হন। অধ্যাপক রাশিদ মাহমুদ ছিলেন ফেনী জেলার পাঁচগাছিয়া গ্রামের চেয়ারম্যানবাড়ীর মাহমুদুল হক তাহেরের পুত্র।
নিহতের ভায়রা যশোর চৌগাছা প্রেসক্লাবের সভাপতি সাংবাদিক জিয়াউর রহমান রিন্টু সাংবাদিকদের জানান, অধ্যাপক রাশিদ মাহমুদ ডায়াবেটিসের রোগী ছিলেন। তিনি ‘কমিউনিটি ওয়াটার ম্যানেজমেন্ট’ বিষয়ের ওপর গবেষণা কাজের অংশ নিতে বেশ কয়েকবার শ্যামনগর এসেছিলেন। সর্বশেষ ২০ মার্চ তিনি শ্যামনগরে আসার পর ১ এপ্রিল সকালে ঢাকায় ফেরার প্রস্তুতিও নিয়েছিলেন।
জিয়াউর রহমান রিন্টু আরও জানান, চালিতাঘাটার ওই রিসোর্ট হাউসে নিজ কক্ষে অচেতন হয়ে পড়লে স্থানীয়রা দ্রুত তাকে শ্যামনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। তবে কর্তব্যরত চিকিৎকরা তাকে মৃত ঘোষনা করেন। তার একমাত্র ছেলে দশম শ্রেণিতে লেখাপড়া করে বলেও তিনি জানান।
শ্যামনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক তৌহিদুর রহমান বলেন, ডায়াবেটিকস এর কারণে হাইপো থেকে স্ট্রোকজনিত কারণে তার মৃত্যু হয়েছে।
শ্যামনগর থানার অফিসার ইনচার্জ মো. নাজমুল হুদা জানান, পরিবারের সদস্যরা ময়না তদন্ত ছাড়াই মৃতদেহ নেয়ার লিখিত আবেদন করায় হাসপাতাল তেকে মৃতদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।