অনলাইনে পরীক্ষা চায় সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা


Dhaka | Published: 2021-07-31 03:06:34 BdST | Updated: 2024-03-19 13:30:16 BdST

২০১৭ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত করা হয় রাজধানীর ৭ টি ঐতিহাসিক কলেজকে। কিন্তু অধিভুক্ত হবার পর থেকেই ৭ কলেজে দেখা দেয় নানা জটিলতা।

ফল প্রকাশে অধিক সময় (প্রায় ১ বছর) ,ফল বিপর্যয়, তীব্র সেশনজটসহ নানা সমস্যা। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও ৭ কলেজ কর্তৃপক্ষের সহায়তায় অধিকাংশ সমস্যার সমাধান করার চেষ্টা চলে তাও আবার শিক্ষার্থীদের তীব্র আনন্দোলনের মুখে পড়ে।

যখন ৭ কলেজ সমস্যা বেড়াজাল থেকে বের হতে থাকে ঠিক তখনই দেখা দেয় পৃথিবীর সবচেয়ে ভয়ংকরী শব্দ "করোনা ভাইরাস "।

যার কড়াল রুপ দেখে বিশ্ববাসী আতংকিত হয়ে যায়।বাংলাদেশও এই ভয়ংকরী থাবা থেকে নিজেকে মুক্ত করতে পারি নি। স্বাস্থ্য খাত,অর্থনীতি, শিক্ষাসহ প্রতিটি খাতকেই কড়া মাসুল গুণতে হয়। কিন্তু বাংলাদেশের শিক্ষাখাতই বেশি ক্ষতি গ্রস্হ হয়।যদিও বাংলাদেশ সরকার অনলাইনের মাধ্যমে তাদের সকল শিক্ষা কার্যক্রম চালু রেখেছে।

COVID-19 এর বেড়াজালে পড়ে বাংলাদেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলো।। অধিক বিশ্ববিদ্যালয়ই করোনা মহামারীর সময় তাদের স্বশরীরে পরীক্ষা স্হগিত করে যদিও তাদের ক্লাসগুলো অনলাইনে চালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। কিন্তু যখন সেশনজটের মুখোমুখি হতে যাচ্ছিল বিশ্ববিদ্যালয়গুলো তখনই অধিকাংশ বিশ্ববিদ্যালয় অনলাইনে পরীক্ষার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে।।ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ও তাদের পরীক্ষা গুলো অনলাইনে পরিচালনার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে ও এ বিষয়ে তারা অনলাইন পরীক্ষার টিউটোরিয়ালও প্রকাশ করে।

যখন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় তাদের পরীক্ষার সিদ্ধান্ত অনলাইনে গ্রহণ করার কথা জানায় তখনই সরব ও সোচ্চার হয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অধিভুক্ত সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা। অনলাইন পরীক্ষার দাবিতে জোয়ার উঠে ৭ কলেজের ফেসবুক গ্রুপ গুলোতে ও ৯৬%শিক্ষার্থী অনলাইন পরীক্ষার পক্ষে মত প্রকাশ করে।।এরই ধারাবাহিকতায় তারা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও সাত কলেজ কর্তৃপক্ষকে স্মারক লিপি দিতে থাকে।

সাত কলেজের রসায়ন বিভাগের শিক্ষার্থী প্রলয় পাল জানান,আমরা বারবার অনলাইন পরীক্ষার দাবিতে স্মারক লিপি দিলেও তারা কোনো প্রকার পদক্ষেপ গ্রহণ করছে না, যেখানে পাবলিক ও প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় গুলো তাদের পরীক্ষা কার্যক্রম অনলাইনে চালিয়ে যাচ্ছেন ফলে আমরা উচ্চ শিক্ষা অর্জন ও চাকরির বাজার থেকে পিছিয়ে যাচ্ছি যার ফলে আমরা হতাশাগ্রস্হ ও এর তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি।

প্রলয় পাল আরও বলেন, আমাদের সাত কলেজে ১.৫/২ লাখ শিক্ষার্থী তাই আমরা মৌখিক ভাবে স্ব স্ব কলেজ বা বিভাগকে দায়িত্ব দেওয়ার কথাও বলেছি কিন্তু তবুও তারা নিরব। আমরা আশা করছি অতিদ্রুত আমাদের অনলাইনে পরীক্ষা নিয়ে সেশনজট থেকে মুক্ত করে চাকরিতে ও উচ্চ শিক্ষা অর্জনে সাত কলেজ প্রশাসন সহোযোগিতা করবে।

লেখাটি ক্যাম্পাস টাইমসে ইমেইল করেছেন সাত কলেজের শিক্ষার্থীদের একটি গ্রুপ 

//