কাপাসিয়ায় দেশের প্রথম উপাচার্য দম্পতিকে সংবর্ধনা


Desk report | Published: 2022-06-17 08:10:53 BdST | Updated: 2024-04-24 07:02:25 BdST

দেশের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো স্বামী-স্ত্রী দুজনই শিক্ষকতা পেশার সর্বোচ্চ সম্মানজনক পদ উপাচার্য হিসেবে দুটি বিশ্ববিদ্যালয়ে নিযুক্ত রয়েছেন অধ্যাপক ড. মো. হযরত আলী ও অধ্যাপক ড. হাফিজা খাতুন। যা বিরল ঘটনা। এ উপাচার্য দম্পতিকে এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১৬ জুন) সকালে গাজীপুরের কাপাসিয়া উপজেলার সনমানিয়ায় ডা. আব্দুল আজিজ উচ্চ বিদ্যালয়ে তাদের সংবর্ধনা দেওয়া হয়।

সংগীত পরিবেশনার মধ্যদিয়ে অনুষ্ঠান শুরু হয়। অনুষ্ঠানে উপাচার্য দম্পতিকে ফুলেল শুভেচ্ছা ও ক্রেস্ট প্রদান করা হয়।

সনমানিয়া ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান শাহাদাত হোসেন মাস্টারের সভাপতিত্বে সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন শিল্প মন্ত্রণালয়ের উপ-সচিব ড. মো. সাইফুল ইসলাম, ইউনিয়ন মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মঞ্জুরুল হক মুকুল, উপজেলা আওয়ামী লীগ সদস্য আব্দুল হক, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কামাল হোসেন হান্নান, সাবেক ব্যাংকার আব্দুল আওয়াল, ডা. আব্দুল আজিজ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকসহ ইউনিয়নের অন্যান্য উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান এবং স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিরা।

অনুষ্ঠানে উপাচার্য দম্পতি এলাকার বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে সফল ও সুন্দর জীবন গড়তে বিভিন্ন বিষয়ে দিকনির্দেশনামূলক বক্তব্য দেন।

চুয়াডাঙ্গার বেসরকারি ফার্স্ট ক্যাপিটাল ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের উপাচার্য হিসেবে নিয়োজিত আছেন অধ্যাপক ড. মো. হযরত আলী। তার স্ত্রী অধ্যাপক ড. হাফিজা খাতুন পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।

স্বামী-স্ত্রী দুজনই উপাচার্য হওয়ায় দেশের প্রথম উপাচার্য দম্পতি হিসেবে তারা পরিচিতি পেয়েছেন।

অধ্যাপক হযরত আলী বাংলাদেশ কৃষি ইনস্টিটিউটে বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেন। পরবর্তী সময়ে তিনি রাজধানীর শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শেকৃবি) কোষাধ্যক্ষ, সিন্ডিকেট সদস্য, ডিন ও কৃষিবিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করেন।

অন্যদিকে অধ্যাপক ড.হাফিজা খাতুন গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের অধীনে নগর উন্নয়ন অধিদপ্তরে গবেষণা কর্মকর্তা হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেন। পরে তিনি কুমুদিনি কলেজ ও ইডেন মহিলা কলেজে শিক্ষকতা করার পরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগে প্রভাষক হিসেবে যোগদান করেন।

৪০ বছরের শিক্ষকতা জীবনে অধ্যাপক হাফিজা খাতুন বিভিন্ন বিষয়ে গবেষণা করেছেন। তিনি শিক্ষকতা ও গবেষণা ছাড়াও বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত। মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর ট্রাস্ট ফান্ডে তিনি ২০ লাখ টাকা দান করেছেন। এছাড়া বাংলাদেশ নদী বাচাঁও আন্দোলনের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি হিসেবে বাংলাদেশ নদী রক্ষা আন্দোলনের অগ্রপথিক তিনি।

আঞ্জুমানে মফিদুল ইসলামের কেন্দ্রীয় কমিটির নির্বাহী সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করে অসহায় ও দরিদ্র মানুষের সেবা করে যাচ্ছেন উপাচার্য হাফিজা খাতুন। তিনি দেশ ও সমাজের উন্নয়ন সাধনকল্পে বিভিন্ন গবেষণা ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সাতটি ট্রাস্ট ফান্ড প্রতিষ্ঠা করেছেন।

সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে চারটি স্কুলের শিক্ষার্থী ও এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিসহ প্রায় দুই হাজার সাধারণ জনগণ উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানটি সকাল সাড়ে ১০টায় শুরু হয়ে দুপুর ২টায় শেষ হয়।