
সরকারি চাকরিতে কোটা পদ্ধতি সংস্কার ও মেধাভিত্তিক নিয়োগের পরিপত্র বহাল রাখার দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেছেন পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (পবিপ্রবি) শিক্ষার্থীরা।
বুধবার ১০ জুলাই সকাল সাড়ে দশটায় পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি থেকে বিক্ষোভ মিছিলটি বের হয়। এর বিশ্ববিদ্যালয় প্রধান ফটকের সামনের আন্তঃজেলা সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেন শিক্ষার্থীরা। এসময় কোটা পদ্ধতি সংস্কারের দাবিতে বিভিন্ন স্লোগান দেয় শিক্ষার্থীরা।
পরবর্তীতে ঢাকা-কুয়াকাটা মহাসড়ক অবরোধ করে কোটা সংস্কারের দাবিতে সকল এগারোটা থেকে দুপুর দুইটা পর্যন্ত আন্দোলন ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করে থাকে পবিপ্রবি শিক্ষার্থীরা। টানা তিন ঘন্টা রাস্তা অবরোধ করায় সাধারণ মানুষ বহুমুখী সমস্যার সম্মুখীন হয়।
আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের মধ্যে মৎস্য বিজ্ঞান অনুষদের শিক্ষার্থী মেহেদী হাসান ইমন বলেন, "বিসিএস সহ সকল সরকারি চাকরী পরিক্ষার সকোটা পদ্ধতি সংস্কার করতে হবে এবং পোষ্য কোটার মতো অযৌক্তিক সকল কোটা সমূহ বাতিল করতে হবে।" এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ভুমি ও আইন অনুষদের আরেক শিক্ষার্থী বলেন, "আমরা মুক্তিযুদ্ধের বিরুদ্ধে নই, বরং মুক্তিযুদ্ধের ৫২ বছর পরে কোটা পদ্ধতির মাধ্যমে কোনো মেধা বৈষম্যমূলক আচরণ আমরা সাধারণ শিক্ষার্থীরা মেনে নিতে রাজি নই। যতক্ষণ পর্যন্ত কোটা পদ্ধতি সংস্কার না হবে ততদিন আমরা আন্দোলন অব্যাহত রাখবো।"
প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বে আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চ সিদ্ধান্ত জানায় মুক্তিযোদ্ধা কোটা বাতিল করে হাইকোর্টের দেয়া রায়ে স্থিতাবস্থা দিয়েছে আপিল বিভাগ। চার সপ্তাহ পর এ বিষয়ে পরবর্তী শুনানি হবে। এ সময়কালে সরকারি চাকরিতে কোটা বাতিল করে সরকারের দেয়া পরিপত্র বহাল থাকবে। এবং প্রধান বিচারপতি সকল শিক্ষার্থীদের ক্লাসে ফিরে যাওয়ার আহ্বান জানান। কিন্তু সাধারণ শিক্ষার্থীরা জানায় কোটা পদ্ধতির পূর্নাঙ্গ সংস্কারের আগে আমরা এ আন্দোলন বন্ধ করব না হাইকোর্টর রায় পর্যালোচনা করে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।