ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের উদ্যোগে বিশ্ববিদ্যালয়ে পরিচ্ছন্ন পরিবেশ ফিরিয়ে আনার লক্ষ্যে "ক্লিন ক্যাম্পাস" কর্মসূচি পালন করেছে সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
সোমবার (১২ আগস্ট) বেলা সাড়ে ১১ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক হতে কর্মসূচি আরম্ভ করা হয়। পরবর্তীতে ক্যাম্পাসের শহীদ মিনার, স্মৃতিসৌধ, ডায়না চত্বর, ঝাল চত্বর, বটতলা, প্রশাসন ভবন, আবাসিক হল এবং একাডেমিক ভবন প্রাঙ্গণ পরিষ্কার করেন শিক্ষার্থীরা।
শিক্ষার্থীরা জানায়, গত কয়েক দিনের আন্দোলনে বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা ইট-পাটকেল, লাঠিসোঁটা, পোড়া ময়লার স্তূপ পরিষ্কারসহ শহরের নানা আবর্জনা পরিষ্কার করছেন তারা। এসময় সড়কে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকা ময়লা-আবর্জনা সরিয়ে নিয়ে ঝাড়ু ও বেলচা দিয়ে রাস্তার পাশের ময়লা, ফুটপাতে পড়ে থাকা আবর্জনা পরিষ্কার করে বস্তায় ভরে নির্ধারিত স্থানে ফেলে দিয়ে আসতে দেখা যায়৷ এ কর্মসূচি চলমান থাকবে বলে জানায় শিক্ষার্থীরা।
এসময় সহ-সমন্বয়ক নাহিদ হাসান বলেন, পরিবেশ দূষণের কারণে পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট হচ্ছে। প্রধান উপদেষ্টা ড. মহাম্মদ ইউনূসের ফর্মলা থ্রি জিরো একটি হচ্ছে জিরো কার্বন নিমিশন করা। পরিবেশ দূষণের সেই দিকটি বিবেচনা করে ক্যাম্পাসে প্লাস্টিক অপসরণের কাজ আমরা হাতে নিয়েছি। শুধু ক্যাম্পাসে না বাংলাদেশের সবাই যেন প্লাস্টিকের ব্যবহারে সচেতন হই। তবে আজকে ক্যাম্পাস ভিত্তিক এই প্লাস্টিক আবর্জনা পরিষ্কার করব এবং সকলকে অনুরোধ করবো প্লাস্টিক ব্যবহারে যেন যথেষ্ট সচেতন হই।
কর্মসূচি চলাকালে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ইবি সমন্বয়ক এস এম সুইট বলেন, পুরো বাংলাদেশের ছাত্র সমাজ যেভাবে দেশ বিনির্মাণে নিজ নিজ জায়গা থেকে অংশগ্রহণ করছে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা তার বাইরে না। আমাদের আন্দোলনের সকল সহযোদ্ধা এবং সাধারণ শিক্ষার্থীদের সাথে নিয়ে পুরো ক্যাম্পাসে এই কর্মসূচী চলবে। এছাড়াও জিমনেশিয়ামের দায়িত্বশীলদের বলবো, আমাদের দুটো খেলার মাঠ দ্রুত পরিষ্কার করে দিতে যাতে শিক্ষার্থীরা খেলাধূলায় অংশ নেওয়ার সুযোগ পায়।
উল্লেখ্য, শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের ফলে দেশ দ্বিতীয় বারের মতো স্বাধীনতার স্বাদ পাওয়ার পর দেশের এই ক্রান্তিলগ্নে শিক্ষার্থীদের নানা কার্যক্রম দেশব্যাপী সুনাম কড়িয়েছে।