দেশ সংস্কারকে কটাক্ষ করা শিক্ষকের স্থায়ী বহিষ্কার চান জবি শিক্ষার্থীরা


Desk report | Published: 2024-08-13 16:38:15 BdST | Updated: 2024-09-10 16:53:00 BdST

কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে শিক্ষার্থীদের দেশ সংস্কারের কাজকে কটাক্ষ করার পাশাপাশি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিভিন্ন উসকানিমূলক পোস্ট করার অভিযোগে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) নৃবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষিকা কামরুন নাহার লিপির স্থায়ী বহিষ্কার চেয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়টির বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনরত সাধারণ শিক্ষার্থীরা।

মঙ্গলবার (১৩ আগস্ট) বিশ্ববিদ্যালয়ের হল উদ্ধার আন্দোলন ও প্রশাসনের পদত্যাগ করা শূন্য পদে অবিলম্বে যোগ্য লোক নিয়োগের বিষয়ে আলোচনাকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য কনফারেন্স কক্ষে এ দাবি জানান শিক্ষার্থীরা।

এদিকে আওয়ামী লীগ সরকারের দীর্ঘ শাসনের পতন হলেও তা এখনো মেনে নিতে পারছে না অনেকে। সরকার পতনের পর দেশ সংস্কারের জন্য ট্রাফিক পুলিশ থেকে রাস্তায় ঝাড়ুদারের কাজ করেছেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা। শিক্ষার্থীদের এমন কাজ দেখেও শিক্ষার্থীদের চলমান দেশ সংস্কার কাজ নিয়ে কটাক্ষ করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্ট দিয়ে তুমুল সমালোচনার মুখে পড়েন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় নৃবিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক কামরুন নাহার লিপি। পরবর্তীতে সেটা সংশোধনও করেছেন।

তিনি তার নিজ ফেসবুক আইডিতে (Kamrunnahar Lipi) গত বুধবার (৭ আগস্ট) জাতীয় সংসদ ভবনের দুইটি ছবি দেন, একটি ছিল ৫ আগস্টের যেদিন বিক্ষোভকারীরা সংসদ, গণভবন ও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় দখল করে। দ্বিতীয় ছবিটি ছিল সংসদের পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন ছবি। যেখানে একদম পরিষ্কার পরিছন্ন সংসদ ভবন দেখা যাচ্ছে। এই দুইটা ছবি দিয়ে প্রথমে তিনি ক্যাপশনে শিক্ষার্থীদের কটাক্ষ করে লিখেন, একজন সুইপারও এই কাজটি আরো সুনিপুণভাব করতে পারে। দেশ পড়া অন্য বিষয়!।

পোস্টটি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন গ্রুপ ও বিশ্ববিদ্যালয় সংক্রান্ত ফেসবুক পেইজে ছড়িয়ে পড়লে পরবর্তীতে তিনি ক্যাপশন সংশোধন করে লিখেন, এই মূহুর্তে ছাত্রসমাজের জন্য করণীয় হতে পারে অবর্ণনীয় জ্বালাও পোড়াও, নৃশংস হত্যাকাণ্ড, রাষ্ট্রীয় সম্পদ ধ্বংস ইত্যাদির বিরুদ্ধে পূর্বের ন্যায় সোচ্চার হওয়া। দেশ অলরেডি কয়েক যুগ পিছিয়ে গিয়েছে। এদিকে বিভাগের শিক্ষকের এমন কাজ দেখে তাকে বিভাগ থেকে আগেই পদত্যাগের করতে দাবি তুলেছে শিক্ষার্থীরা। এ নিয়ে সাধারণ শিক্ষার্থীদের পক্ষে স্পষ্ট একটা বিবৃতিও দিয়েছে শিক্ষার্থীরা।

এ বিষয়ে তার সাথে কয়েক দফায় কয়েকবার যোগাযোগ করা হলেও তার ফোন নম্বরটি বন্ধ পাওয়া যায়।