ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) শিক্ষার্থীদের সাথে আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে বারবার নির্যাতিত ও কারাবরণকারী দৈনিক আমার দেশ পত্রিকার সম্পাদক ড. মাহমুদুর রহমান মতবিনিময় সভা করেছেন।
বৃহস্পতিবার (১০ অক্টোবর) বেলা ১১ টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের বীরশ্রেষ্ঠ হামিদুর রহমান মিলনায়তনের করিডোরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের উদ্যোগে এই মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।
এসময় দৈনিক আমাদ দেশের নির্বাহী সম্পাদক সৈয়দ আবদাল আহমেদ, বাংলাদেশ জার্নালিস্ট ওয়েলফেয়ার ট্রাস্টের ম্যানেজিং ডিরেক্টর মুহাম্মদ আব্দুল্লাহ, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. শাহীনুজ্জামান, ছাত্র উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. ওবায়দুল ইসলাম, ইবি সমন্বয়ক এস এম সুইট ও শতাধিক শিক্ষার্থীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
বক্তারা বলেন, যে কুষ্টিয়া শহর থেকে দৈনিক আমার দেশ পত্রিকার ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মাহমুদুর রহমানকে রক্তাক্ত করে বের করে দেয়া হয়েছিল সেই কুষ্টিয়া শহরে আজ তিনি মাথা উঁচু করে সে ফ্যাসিস্ট হাসিনার বিরুদ্ধে মামলা করতে এসেছেন।
দৈনিক আমার দেশের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মাহমুদুর রহমান বলেন, বাংলাদেশের ৫ই আগস্ট এক অভূতপূর্ব ছাত্র জনতার ঐতিহাসিক বিপ্লব ঘটেছে যার ফলে বাংলাদেশের মানুষের ঘাড়ে ১৬ বছর ধরে চেপে বসা এক জালিম শাহির পতন হয়েছে। এই সরকার ছিল একটি ফ্যাসিস্ট সরকার, দেশবিরোধী সরকার ও ইসলামবিরোধী সরকার। এ সরকার পরিচালিত হয়েছে দিল্লি থেকে। এর একটি সংক্ষিপ্ত প্রমাণ হচ্ছে, ফ্যাসিস্ট হাসিনা ১৯৮১ সালে দেশে এসেছিলেন দিল্লি থেকে, আবার ছাত্র জনতার অভ্যুত্থানের ক্ষমতাচ্যুত হয়ে কাপুরুষের ন্যায় পালিয়েও গেছেন সেই দিল্লিতেই। যে প্রভু তাকে দিল্লি থেকে বাংলাদেশে পাঠিয়েছিল বাংলাদেশকে ধ্বংস করার জন্য, ইসলামকে ধ্বংস করার জন্য সেই প্রভুর কাছেই তিনি পালিয়ে গিয়ে আশ্রয় নিয়েছেন।
তিনি আরো বলেন, ভারত এখনো হাসিনাকে রাজনৈতিক আশ্রয় দেয় নাই। রাজনৈতিক আশ্রয় না দেওয়ার পরেও কোন অধিকারের হাসিনা এখনো ভারতে থাকে। সম্পূর্ণ বেআইনীভাবে হাসিনা ভারতে বসে আছে এবং বাংলাদেশের যে শত শত মন্ত্রী এমপি ভারতে বসে আছে, এর বিরুদ্ধে আমাদের জোরালো আওয়াজ তুলতে হবে।