বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (বশেমুরবিপ্রবি) প্রশাসন সম্প্রতি শিক্ষার্থীদের জন্য শিক্ষা ও গবেষণার মানোন্নয়ন এবং বিভিন্ন সুবিধা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বেশ কিছু উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা কার্যক্রমকে এগিয়ে নিতে গত ৩০ অক্টোবর থেকে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে বিভিন্ন পদক্ষেপ নেওয়া হয়।
বিভিন্ন পদক্ষেপের মধ্যে গত ৩০ অক্টোবর বোর্ড অব এডভান্স স্টাডিজ গঠন করা হয় এবং এই বোর্ডের প্রথম সভা অনুষ্ঠিত হয়। ৩ নভেম্বর ভাইস-চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. হোসেন উদ্দিন শেখর ও প্রো-ভাইস-চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. মো. সোহেল হাসান ক্যাম্পাসের বিভিন্ন ল্যাবরুম, ক্লাসরুম এবং দপ্তর পরিদর্শন করেন এবং শিক্ষার্থীদের সাথে মতবিনিময় করেন। একই দিনে, বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল দাপ্তরিক কার্যক্রম তিন কার্যদিবসের মধ্যে সম্পন্ন করার নির্দেশনা দেওয়া হয় এবং অফিস সময়সূচি (৯টা-৫টা) কঠোরভাবে মেনে চলার নির্দেশ প্রদান করা হয়। সেশনজট নিরসনে অতিরিক্ত ক্লাস ও চুক্তিভিত্তিক শিক্ষক নিয়োগ দেওয়ার জন্য পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে এবং একই সাথে স্থায়ী শিক্ষক নিয়োগের জন্য পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। ভবন গুলোতে ইন্টারনেট সেবার যথাযথ মান উন্নয়ন এর জন্য পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। শিক্ষার্থীদের খেলার মাঠ ও ড্রেনেজ ব্যবস্থা ঠিক করার জন্য পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
নবীন শিক্ষার্থীদের জন্য কেন্দ্রীয়ভাবে নবীন বরণ অনুষ্ঠানের আয়োজন এবং উদযাপন কমিটি গঠন করা হয়েছে। এ ছাড়া, ২০১৯-২০ সেশনের শিক্ষার্থীদের শিক্ষা সমাপনী অনুষ্ঠানের জন্য একটি এডভাইজরি কমিটি গঠন করা হয়।
শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ক্যাম্পাসে স্থায়ী পুলিশ ক্যাম্প স্থাপনের বিষয়ে জেলা পুলিশ সুপারের সাথে আলোচনা করেন ভাইস-চ্যান্সেলর। এছাড়া, শিক্ষার্থীদের আবাসিক হলের সমস্যা দ্রুত সমাধানের লক্ষ্যে প্রভোস্ট কাউন্সিল গঠন করা হয়েছে এবং রিডিং রুমে এসি স্থাপনসহ অন্যান্য সুবিধা বৃদ্ধির নির্দেশনা প্রদান করা হয়। একই সাথে, ক্যাম্পাসের ক্যাফেটেরিয়ায় খাবারের মান উন্নয়নের নির্দেশনা দেন ভাইস-চ্যান্সেলর।
এছাড়াও আইসিটি মন্ত্রণালয়ের অধীনে ভারতের অর্থায়নে বিশ্ববিদ্যালয়ে নির্মাণাধীন আইসিটি পার্কের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে আগামী ১১ অক্টোবর মন্ত্রণালয় থেকে একটি প্রতিনিধি আসবে। সেখানে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের জন্য যেটা ভালো হবে সেটা গুরুত্ব দেওয়া হবে।
বিভিন্ন কর্মকাণ্ডের বিষয়ে উপাচার্য অধ্যাপক হোসেন উদ্দিন শেখর বলেন," বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন সমস্যা সমাধানের জন্য আমরা মাসব্যাপী বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছি। বেশকিছু সমস্যা সমাধান করা হয়েছে। বাকী গুলোও দ্রুত সমাধান করা হবে পর্যায় ক্রমে।"
তিনি আরও বলেন, " শিক্ষার্থীরা যেন সকল সুযোগ সুবিধা পায় তার জন্য কাজ করছি। তারা যেন স্বাধীন ভাবে কথা বলতে পারে সকল প্রকার ভয়ভীতি ছাড়া এবং সকল ধরনের রাজনৈতিক প্রভাব ছাড়া চলতে পারে সে বিষয় নিশ্চিত করতে চাই। "