শিক্ষার্থীদের আবেদনের প্রেক্ষিতে স্বৈরাচার হিসেবে পরিচিতি পাওয়া শেখ হাসিনার ম্যুরাল অপসারণ করেছে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় প্রসাশন।
রবিবার (১০ নভেম্বর) সন্ধ্যা ৭ টায় এই মুর্যাল অপসারণের কাজ সম্পন্ন হয়।
জানা যায়, গত ৪ নভেম্বর হলটির আবাসিক শিক্ষার্থীরা হলের বর্তমান নাম (শেখ হাসিনা হল) পরিবর্তন করে নতুন নাম "বিপ্লবী সুনীতি-শান্তি" হল নামকরণ করাসহ হল থেকে শেখ হাসিনার ম্যুরাল অপসারণের জন্য আবেদন করে। সেই আবেদনের প্রেক্ষিতেই হল প্রশাসন এই ম্যুরাল অপসারণের উদ্যোগ নেয়, যার কাজ সম্পন্ন হয় গতকাল সন্ধ্যায়।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে হলের আবাসিক শিক্ষার্থী সুমাইয়া আক্তার শিমু বলেন, 'জুলাইয়ে স্বৈরাচার সরকারের পৈশাচিক কর্মকাণ্ডের পর আমরা হলের শিক্ষার্থীরা চাইনি শেখ হাসিনার নামকরণ বলবৎ থাকুক, এছাড়াও হলের স্বৈরাচার সরকারের ছবির ম্যুরালও ছিলো, যেটা আমাদের জন্য এমনকি এখানকার স্থানীয়দের জন্যও অস্বস্তিকর বিষয় হয়ে দাড়িয়েছিল। সব মিলিয়ে আমরা হলের নাম পরিবর্তন ও ম্যুরাল অপসারণের জন্য আবেদন করি। ভালো লাগছে হল প্রশাসন দ্রুত সময়েই ম্যুরাল অপসারণ করিয়েছে। আশা করি হলের নামও দ্রুত পরিবর্তন হবে।
ম্যুরাল অপসারণ প্রসঙ্গে হলের আরও এক আবাসিক শিক্ষার্থী সাদিয়া আক্তার বলেন, 'সরকার পতনের পর থেকে এই ম্যুরাল সরানোর জন্য স্থানীয়রা চাপ প্রয়োগ করছিল। এছাড়া আমরা আবাসিক শিক্ষার্থীরাও চাচ্ছিলাম না স্বৈরাচার সরকারের কোন স্মৃতিচিহ্ন থাকুক আমাদের হলে তাই আবেদন প্রক্রিয়াতে গিয়েছি এবং হল প্রশাসন এ বিষয়ে উদ্যোগ নিয়েছে। এখন নাম পরিবর্তনটা গুরুত্বপূর্ণ। আশা করছি এটাও দ্রুত সম্পন্ন হবে।'
এ বিষয়ে হল প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মোসা: শাহীনুর বেগম বলেন, 'হল প্রশাসন বরাবর হলের আবাসিক শিক্ষার্থীরা হলের নাম পরিবর্তন এবং ম্যুরাল অপসারণ নিয়ে আবেদন করেছিলো। আমরা সেটা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে ফরওয়ার্ড করেছিলাম। প্রশাসন থেকে ম্যুরাল অপসারণ করা হয়েছে ইতিমধ্যে। আর হলের নাম পরিবর্তন বিষয়টি সিন্ডিকেট হওয়ার পর মিটিং এ সিদ্ধান্ত হলে তারপর বলা যাবে। এখনি এ বিষয়ে কিছু বলা যাচ্ছে না।'
উল্লেখ্য, গত বছর শেখ হাসিনা’র ৭৭ তম জন্মদিনে উপলক্ষে তৎকালীন হল প্রশাসন ম্যুরাল তৈরী করলে একই বছরের ২৮ শে সেপ্টেম্বর শেখ হাসিনার জন্মদিনে এই ম্যুরাল উদ্বোধন করা হয়।