দীর্ঘ অনুপস্থিতি ও অসদাচরণের অভিযোগে পবিপ্রবির শিক্ষক বরখাস্ত


পবিপ্রবি প্রতিনিধি | Published: 2025-05-22 20:52:39 BdST | Updated: 2025-07-12 05:47:57 BdST

পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (পবিপ্রবি) একোয়াকালচার বিভাগের সহকারী অধ্যাপক শিব নাথ পাট্টাদারকে চূড়ান্তভাবে বরখাস্ত করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

আজ বৃহস্পতিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার স্বাক্ষরিত অফিস আদেশে তাঁকে বরখাস্তের বিষয়টি জানানো হয়। দীর্ঘসময় ধরে কর্মস্থলে অনুপস্থিত থাকা, অনুমোদনহীন ছুটি গ্রহণ ও প্রশাসনিক আদেশ অমান্য করার অভিযোগে বিশ্ববিদ্যালয়ের চাকরি বিধিমালা অনুযায়ী তাঁকে এ শাস্তি আওতায় আনা হয়।

আদেশে বলা হয়, শিব নাথ পাট্টাদার আমেরিকায় পিএইচডি ডিগ্রির জন্য আগস্ট ২০১৭ হতে জানুয়ারি ২০২০ পর্যন্ত পূর্ণ বেতনে মোট ২ বছর ৪ মাসের শিক্ষা ছুটি নেন। পরবর্তীতে পিএইচজি ডিগ্রির অসমাপ্ত গবেষণা কাজের জন্য আরও এক বছরের জন্য অর্ধ বেতনে এবং আরও এক বছরের জন্য বিনা বেতনে অসাধারণ জুটি মঞ্জুর করান।

কিন্তু ছুটির মেয়াদ শেষ হওয়ার পরও তিনি কর্মস্থলে যোগদান না করে পুনরায় ছুটির আবেদন ছাড়াই দীর্ঘদিন অনুপস্থিত থাকেন। এতে করে অ্যাকাডেমিক কার্যক্রম ব্যাহত হয় এবং বিষয়টি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের দৃষ্টিগোচর হলে ২০২৩ সালের ৩১ আগস্ট তাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ পাঠানো হয়। পরপর (৩) তিনবার নোটিশ পাঠালেও তার কোন প্রতি উত্তর পাওয়া যায়নি।

পরবর্তীতে ৫৩ তম রিজেন্ট বোর্ড সভায় বিশদ আলোচনা ও পর্যালোচনা সকলের সম্মতি ক্রমে শিব নাথ পাট্টাদারকে দোষী সাব্যস্ত করে ও বিশ্ববিদ্যালয়ের আচরণ সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা, ২০১৮-এর ৩(খ) ধারা অনুযায়ী অসদাচরণ হিসেবে বিবেচিত। তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় তাকে বিশ্ববিদ্যালয়ের চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়।

আদেশে ওই শিক্ষককে এক মাসের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল ভোগকৃত সম্পত্তি শিক্ষা ছুটির বন্ডের শর্ত অনুযায়ী প্রদেয় অর্থ দায়িত্ব হস্তান্তরের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। অন্যথায় তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার প্রফেসর ড. ইকতিয়ার উদ্দিন বলেন, ‘শিব নাথ আমেরিকা থেকে সম্ভবত আর আসবেন না। তাকে বারবার চিঠি দিয়েও বাংলাদেশে আনা যাচ্ছে না। বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে তার অনেক দেনা-পাওনার বিষয় আছে। আমরা তাকে তিনবার নোটিশ দিয়ে সতর্ক করেছি কিন্তু তার কোনো প্রতি উত্তর পাওয়া যায়নি। বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ বিধিমালা অনুযায়ী তাকে আমরা চূড়ান্তভাবে বরখাস্ত করেছি। পরবর্তীতে পাওনা টাকা আদায়ের জন্য বিভাগীয় পর্যায়ে মামলা করার সিদ্ধান্ত নিতে পারে প্রশাসন। এটি একটি সাধারণ প্রক্রিয়া এখানে কোনো রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতা নেই।’