
কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) ৮টি অনুষদের ২০১৮-২০১৯ শিক্ষাবর্ষের ৩৫ জন কৃতি শিক্ষার্থীকে ডিনস অ্যাওয়ার্ড প্রদান করা হয়েছে। এ সময় শিক্ষার্থীদের মাঝে সনদ, ফুল ও নির্ধারিত সম্মানী প্রদান করা হয়েছে।
আজ শনিবার বেলা ১২টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের বীরশ্রেষ্ঠ হামিদুর রহমান মিলনায়তনে ডিনস অ্যাওয়ার্ড অনুষ্ঠানে এ সম্মাননা প্রদান করা হয়। সম্মাননা প্রদান শেষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠানে ডিনস কমিটির সভাপতি অধ্যাপক ড. আ.ব.ম সিদ্দিকুর রহমান আশ্রাফীর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব মুহাম্মদ নসরুল্লাহ, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম এয়াকুব আলী ও কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম উপস্থিত ছিলেন। এ ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন ৮টি অনুষদের ডিন, বিভিন্ন বিভাগের সভাপতি, শিক্ষক, ডিনস অ্যাওয়ার্ড প্রাপ্ত শিক্ষার্থীরা এবং সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
ডিনস অ্যাওয়ার্ড প্রাপ্ত ধর্মতত্ত্ব অনুষদের শিক্ষার্থী আজম আহমেদ বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় জীবনে পাওয়া সব থেকে বড় উপহার হলো আজকের ডিনস অ্যাওয়ার্ড। আমার প্রাপ্তির পেছনে সবচেয়ে বড় অবদান হলো আমার পিতা-মাতার, শ্রদ্ধেয় শিক্ষকমণ্ডলীর। তাদের দোয়া, আন্তরিকতা এবং সাহায্য ছাড়া আজকের অর্জন সম্ভব ছিল না।
আলোচনা সভায় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে বলেন, এই বিশ্ববিদ্যালয় তোমাকে আজ অসাধারণ হিসেবে স্বীকৃতি দিচ্ছে। এই পুরষ্কারের মর্যাদা তোমাকে চাকরি জীবনে প্রদর্শন করতে হবে। তুমি যোগ্যতা দিয়ে প্রথম হয়েছো এটা কোনো সাধারণ বিষয় নয়। কর্মজীবনে তুমি এটার প্রতিনিধিত্ব করবে।
উপাচার্য আরও বলেন, ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ৩.৮৫ এর নিচে কোনো ডিন'স এওয়ার্ড দেওয়া হয় না। অথচ আমাদের ৩.৮৫ থেকে কম সিজিপিএ তে অ্যাওয়ার্ড দেওয়া হলো। আমাদের সিজিপিএ বেশি দিতে সমস্যা কোথায়? যারা মেধাবী, পরিশ্রমী এবং গুনগত মানসম্মত, যারা আশাবাদী তাদেরকে সিজিপিএ বেশি করে দেয়া উচিত। তাহলে তারা বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের সুযোগ পাবে। এজন্য সিজিপিএ দেয়ার ক্ষেত্রে শিক্ষকদের হাতকে একটু প্রশস্ত করতে হবে।’
শিক্ষকদের প্রতি অনুরোধ জানিয়ে উপাচার্য বলেন, ‘আপনারা পড়াবেন বেশি, নাম্বার মার্কিংয়ে থাকবেন নমনীয়, ব্যবহার হবে সদয়, তাদের সহযোগিতা করবেন যেন শিক্ষার্থীরা অর্জন করতে পারে তাদের কাঙ্ক্ষিত ফলাফল।’