একনজরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুষদ


ঢাবি টাইমস | Published: 2017-11-09 22:15:30 BdST | Updated: 2024-04-25 10:44:13 BdST

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুষদে সাধারণত ভর্তি পরীক্ষায় মেধা সিরিয়ালের প্রথম সারির শিক্ষার্থীরা ভর্তি হয়ে থাকেন। এখানে পড়ে হয়েছেন দেশের মন্ত্রী, রাষ্ট্রপতি এবং জাতীয় সংসদের স্পীকার। এছড়াও দেশের গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন পদে রয়েছে এ বিভাগটির সাবেক শিক্ষার্থীরা। 

১ঌ২১ সালে প্রতিষ্ঠিত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় যে তিনটি অনুষদ নিয়ে যাত্রা শুরু করে আইন অনুষদ তাদের অন্যতম৷ প্রতিষ্ঠালগ্ন হতে এ অনুষদ আইন শিক্ষার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে৷ ১ঌ৭৩ সাল পর্যন্ত আইন অনুষদের অধীনে শুধুমাত্র দুবছর মেয়াদী স্নাতক কোর্স এল.এল.বি. (সান্ধ্যকালীন) চালু ছিল৷ ১ঌ৭৩-৭৪ শিক্ষাবর্ষ হতে এল.এল.বি. কোর্সের পরিবর্তে তিন বছর মেয়াদী এল.এল.বি (অনার্স) কোর্স প্রবর্তন করা হয়৷ ১ঌ৭৭-৭৮ শিক্ষাবর্ষ হতে এল.এল.বি (অনার্স) কোর্সের মেয়াদ চার বছর করা হয়৷ ১ঌ৭৬-৭৭ শিক্ষাবর্ষ হতে এল.এল.বি (অনার্স) কোর্স খোলা হয়৷

১ঌঌ১-ঌ২ শিক্ষাবর্ষ হতে আইন অনুষদে সর্ব প্রথম এম.ফিল কোর্স প্রবর্তিত হয়৷ ছাত্রছাত্রীদের ব্যবহারিক প্রশিক্ষণ দেয়ার উদ্দেশ্যে এশিয়া ফাউন্ডেশনের আর্থিক সহায়তায় ১ঌঌ০ সালে মুটকোর্ট সোসাইটি প্রতিষ্ঠিত হয়৷

ভবিষ্যতে আইনজীবী হিসেবে দায়িত্ব পালনের জন্য প্রস্তুতি, সক্ষমতা ও দক্ষতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে ফোর্ড ফাউন্ডেশনের আর্থিক সহায়তায় ১ঌঌ৪ সালের অক্টোবর মাস হতে আইন অনুষদের ৪র্থ বর্ষ এল.এল.বি (অনার্স) শ্রেণীর ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য ক্লিনিক্যাল লিগ্যাল এডুকেশন প্রোগ্রাম চালু করা হয়৷

আইন বিভাগ
আইন বিভাগ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠালগ্ন ১ঌ২১ সাল থেকেই তারা যাত্রা শুরু করেছে৷ এই বিভাগ ১ঌ৭৩ সাল পর্যন্ত শুধু এল.এল.বি. সান্ধ্যকালীন কোর্স চালু ছিল৷ এরপর মাস্টার্স কোর্স চালু করে এবং একই সাথে ব্যাচেলার কোর্স ডে টাইম শুরু হয়৷ ১ঌ৭৩-৭৪ সালে এল.এল.বি. অনার্স কোর্স সেই সব ছাত্রছাত্রীরা ভর্তি হতে পারত যারা উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে পারবে৷ ১ঌ৭৬ সালে এল.এল.এম. কোর্স চালু হয়৷

যোগাযোগের ঠিকানা

দ্বিতীয় তলা, কলাভবন

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়

অনার্সে ভর্তির প্রাথমিক যোগ্যতা

আইন বিভাগে অনার্সে ভর্তির জন্য ইচ্ছুক প্রাথীদেরকে ভর্তি নির্দেশিকায় বর্ণিত শর্ত পূরণ সাপেক্ষে “খ” ইউনিটের মাধ্যমে আবেদন করতে হবে৷

শর্ত:

১) মাধ্যমিক এবং উচ্চমাধ্যমিক বা সমমানের গ্রেডভিত্তিক পরীক্ষায় প্রাপ্ত জিপিএ এর যোগফল ন্যূনতম ৭.০ (৪র্থ/অতিরিক্ত বিষয়সহ) হতে হবে। এছাড়া কোন কোন বিভাগের ক্ষেত্রে ইউনিট কর্তৃক নির্ধারিত নম্বর/গ্রেডের শর্তও পূরণ করতে হবে।

২) GCE বা বিদেশি ডিগ্রীধারীদের ক্ষেত্রে সমমান হিসেবে গ্রেড গণণা করতে হবে। যে সকল প্রার্থী ২০১০ বা তার পরে পাসকৃত IGCSE (ও-লেভেল) পরীক্ষায় বিজ্ঞানের অন্তত ৫টি বিষয়ে এবং ২০১৫ সালের AI (এ-লেভেল) পরীক্ষায় অন্তত ২টি বিষয়ে উত্তীর্ণ হয়েছে (এ-লেভেল এ অন্ততপক্ষে দুটি মানবিক শাখার বিষয় থাকতে হবে) তারা ‘খ’ ইউনিটে ভর্তির জন্য আবেদন করতে পারবে। তবে আবেদনকারীদের উপর্যুক্ত ৭ টি বিষয়ের মধ্যে যারা ৪টি বিষয়ে অন্তত B গ্রেড, অপর ৩টি বিষয়ে C গ্রেড পেতে হবে।

ও-লেভেল এবং এ-লেভেল পরীক্ষায় প্রাপ্ত লেটার গ্রেডের গ্রেডপয়েন্ট নিম্নরূপঃ

এ = ৫.০ বি = ৪.০ সি = ৩.৫ ডি = ৩.০

বিশেষ যোগ্যতা

• ভর্তি পরীক্ষায় ভর্তি পরীক্ষায় বাংলায় ১৪ নাম্বার, ইংরেজিতে ১৮ নাম্বার পেতে হবে৷

সুযোগ-সুবিধা

আইন অনুষদের একটি কক্ষকে আধুনিক সভাকক্ষে রুপান্তর করা হয়েছে৷ এ কক্ষে এয়ারকন্ডিশন, ওভারহেড প্রজেক্টর ইত্যাদির সুবিধা আছে৷ ফলে আইন অনুষদ ও আইন বিভাগ বিভিন্ন সেমিনার, সিম্পোজিয়াম ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠানের সুবিধা ভোগ করছে৷

বিভাগটি কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারের বিপরীতে কাজী মোতাহার হোসেন ভবনে। 

ছবিগুলো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক থেকে নেয়া

এমএসএল