ছিনতাইকারীর ছুরিকাঘাতে রাবি শিক্ষার্থী আহত, প্রশাসন ভবন অবরোধ


RU Correspondent | Published: 2023-03-04 10:54:31 BdST | Updated: 2024-04-19 09:59:06 BdST

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) ছিনতাইকারীর ছুরিকাঘাতে এক শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন। শুক্রবার (৩ মার্চ) রাত ৯টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষি অনুষদের পাশের রাস্তায় এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় রাত সাড়ে ১০টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন ভবন অবরোধ করে বিক্ষোভ মিছিল করেন শিক্ষার্থীরা।

আহত শিক্ষার্থীর নাম আব্দুল্লাহ আল জাহেদ। তিনি বাংলা বিভাগের মাস্টার্সের শিক্ষার্থী। আহত অবস্থায় তাকে প্রথমে বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসাকেন্দ্রে নেওয়া হয়। পরে তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তার শরীর ৮টি সেলাই দেওয়া হয়েছে।

ভুক্তভোগীর সহপাঠী সূত্রে জানা যায়, রাত ৮টার দিকে চারুকলা অনুষদের দিকে রাতের খাবার খেতে যান জাহেদ। খাওয়ার পর ভদ্রা যাওয়ার রাস্তার পাশ দিয়ে হাঁটছিলেন তিনি। এ সময় বেশ কয়েকজন দুর্বৃত্ত তার পথরোধ করে টাকা চায়। এ সময় তার কাছে থাকা ২০০ টাকা তাদেরকে দিয়ে দেন। তারপর সে যেতে শুরু করলে দুর্বৃত্তরা সামনে গিয়ে জাহেদের কাছে আরও টাকা ও মোবাইল ফোন কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা করলে তিনি বাধা দেন। এতে তারা তাকে ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যান। চারুকলার পাশে থাকা পুলিশ ফাঁড়িতে সাহায্য চাইলে তেমন সহযোগিতা পাননি বলে অভিযোগ করেন জাহেদ। তাকে চার জায়গায় ছুরিকাঘাত করা হয়। প্রথমে তাকে বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসা কেন্দ্রে নেওয়া হয়। পরে তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ ভর্তি করা হয়।

এদিকে ঘটনার পর থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের শিক্ষার্থীরা প্রশাসন ভবনের মূল ফটক অবরোধ করে বিক্ষোভ মিছিল করতে থাকেন। আন্দোলনকারীরা বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রতিনিয়ত এমন ঘটনা ঘটছে। প্রশাসন শুধু আশ্বাসের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরে পুলিশ মোতায়েন কেন করা হয়েছে এ নিয়ে তাদের প্রশ্ন। তারা তাদের দায়িত্ব বাদ দিয়ে সারাদিন লুডু খেলায় ব্যস্ত থাকেন। জাহেদের মতো আর কত শিক্ষার্থীর রক্ত ঝরলে প্রশাসন সজাগ হবে।

এ সময় বাংলা বিভাগের শিক্ষার্থী রবিউল আওয়াল বলেন, আজকে আমার ভাইকে মেরেছে কাল আমার স্যারকে মারবে, পরশু আমার বোনকে মারবে। আর প্রশাসন শুধু তদন্ত কমিটি গঠন করে আশ্বাস দিয়ে যাবে। ক্যাম্পাসের পুলিশেরা এখন লুডু পুলিশ হয়ে গেছে। আমাদের একটাই দাবি ওখানে কর্তব্যরত থাকা পুলিশদের জবাবদিহি করতে হবে। এভাবে আর কত শিক্ষার্থীর রক্ত ঝরলে প্রশাসনের টনক নড়বে। আমরা নিরাপদ ক্যাম্পাস চাই।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. আসাবুল হক বলেন, আমরা খবর পেয়ে ওই শিক্ষার্থীকে উন্নত চিকিৎসার জন্য রামেকে পাঠিয়েছি। তাকে সেখানে ভর্তি করানো হয়েছে। আর পুলিশ বাহিনীর সঙ্গে কথা বলেছি। ক্যাম্পাসের মতো একটা জায়গায় এমন ঘটনা কীভাবে ঘটছে। আমরা সিসিটিভি ফুটেজ চেক করে দ্রুত ব্যবস্থা নেব।

চন্দ্রিমা থানার পুলিশ পরিদর্শক এস এম মাসুদ পারভেজ বলেন, আমরা ঘটনা ঘটার পর থেকেই সতর্ক রয়েছি। দোষীদের আটক করতে আমাদের টিম ইতোমধ্যে কাজ শুরু করে দিয়েছে। আমরা আমাদের অভিযান অব্যাহত রাখব।