আগামী রোববার থেকে দেশের সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষা কার্যক্রম শুরু করার নির্দেশ দিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। তবে উপাচার্যহীন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) শিক্ষা কার্যক্রম চালু করা নিয়ে জটিলতার সৃষ্টি হয়েছে। এ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে দ্রুত উপাচার্য নিয়োগের দাবি জানাচ্ছেন সংশ্লিষ্টরা।
শিক্ষার্থীরা বলছেন, করোনার কারণে একটা সেশন জট সৃষ্টি হয়েছে। সেই ধকল সামলে উঠতে না উঠতে ফের দীর্ঘ বন্ধের কারণে শিক্ষা জীবন নিয়ে হতাশার সৃষ্টি হচ্ছে। উপাচার্যহীন বিশ্ববিদ্যালয়ে অচলাবস্থা সৃষ্টি হয়েছে। এ ভাবে আর কতো! অবিলম্বে বিশ্ববিদ্যালয়ে নতুন উপাচার্য নিয়োগের মাধ্যমে শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ নিশ্চিত করা জরুরি।
এ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক তারিকুল হাসান বলেন, মন্ত্রণালয়ের অফিস আদেশে উপাচার্যকে মার্ক করা হয়েছে। এই মুহূর্তে বিশ্ববিদ্যালয়ে কোনো উপাচার্য নেই এবং ভারপ্রাপ্ত কাউকে দায়িত্বও দেয়া হয়নি। তাই শিক্ষা কার্যক্রমের বিষয়ে পরবর্তী নির্দেশনা পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ে সিন্ডিকেটের সিদ্ধান্ত গুরুত্বপূর্ণ। উপাচার্য না থাকায় এ মুহূর্তে সিন্ডিকেট সভাও সম্ভব নয়।
এর আগে, গত ৬ আগস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলগুলো অনানুষ্ঠানিকভাবে খোলা রাখার সিদ্ধান্ত নেয় প্রাধ্যক্ষ পরিষদ। ফলে অনেক শিক্ষার্থী হলে অবস্থান করছেন। তবে ডাইনিং-ক্যান্টিন চালু না হওয়াই ভোগান্তিতে পড়েছেন তারা। ইতিমধ্যে ১০টি হলের প্রাধ্যক্ষ পদত্যাগ করায় হলের সার্বিক নিরাপত্তা নিয়েও শঙ্কা প্রকাশ করেছেন তারা।
বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ওমর ফারুক বলেন, এই মুহূর্তে বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্বিক নিরাপত্তা ও শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ সৃষ্টির জন্য অতিদ্রুত উপাচার্য নিয়োগ জরুরি। কেননা বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রক্টর নেই, হলে প্রাধ্যক্ষ নেই। এই অবস্থায় যে কোনো বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হতে পারে।