
গত সপ্তাহে পেশোয়ার জালমির বিপক্ষে চলতি পিএসএলে নিজের প্রথম ম্যাচে ব্যাট হাতে গোল্ডেন ডাক মারেন সাকিব আল হাসান। পরের ম্যাচে করাচি কিংসের বিপক্ষে ব্যাটিংয়ের সুযোগই মেলেনি। গতকাল ইসলামাবাদ ইউনাইটেডের বিপক্ষে দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারে ব্যাটিংয়ের নামলেও সুযোগটা কাজে লাগাতে পারেননি বাংলাদেশি তারকা, এবারও রানের খাতা খোলার আগেই ড্রেসিংরুমের পথ ধরেছেন।
ব্যাট হাতে বাজে দিন কাটানোর পাশাপাশি বল হাতেও উইকেটশূন্য ছিলেন সাকিব। ৩ ওভারে ২৭ রান দিলেও কোনো উইকেট শিকার করতে পারেননি। তবে আরেক বাংলাদেশি রিশাদ হোসেন ছিলেন দুর্দান্ত। কিছুটা খরুচে (৩ ওভারে ৩৪ রান) হলেও ৩ উইকেট শিকার করে লাহোরকে ফাইনালের টিকিট এনে দিতে বড় অবদান রেখেছেন ডানহাতি এ লেগস্পিনার।
আগে ব্যাটিং করা লাহোর নির্ধারিত ২০ ওভারে ৮ উইকেটে ২০২ রান তুলেছিল। সাকিব ডাক মারলেও নয়ে নেমে ২ বলে ১ চারে ৫ রানে অপরাজিত ছিলেন রিশাদ। অন্যদিকে রান তাড়ায় রিশাদের পাশাপাশি শাহিন শাহ আফ্রিদি-সালমান মির্জাদের দুর্দান্ত বোলিংয়ে ইনিংসের ২৯ বল বাকি থাকতেই ১০৭ রানে গুটিয়ে যায় ইসলামাবাদ।
তাতে ৯৫ রানের বড় জয়ে টুর্নামেন্টের ফাইনালে ওঠে লাহোর। আগামীকাল শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচে সাকিব-রিশাদ-মিরাজদের দলের প্রতিপক্ষ কোয়েটা গ্ল্যাডিয়েটর্স।
রান তাড়ায় নেমে গতকাল শুরুতেই আফ্রিদি-সালমান মির্জার তোপের মুখে পড়ে ইসলামাবাদ। ইনিংসের প্রথম ওভারেই মোহাম্মদ শেহজাদকে বোল্ড করেন আফ্রিদি। পরের ওভারে বোলিংয়ে এসে আরেক ওপেনার সাহিবজাদা ফারহানকে বোল্ড করেন সালমান। নিজের পরের ওভারে র্যসি ফন ডার ডুসেনকেও ড্রেসিংরুমের পথ ধরান বাঁহাতি এ পেসার। আর পাওয়ার প্লে-র শেষ ওভারে নেন ইমাদ ওয়াসিমের উইকেট।
৩৩ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে ইসলামাবাদ তখন ধুঁকছে। এমন পরিস্থিতিতে ৭ম ওভারে প্রথমবারের মতো বোলিংয়ে আসেন সাকিব ওই ওভারে ৯ রান দেন বাংলাদেশি তারকা। পরের ওভারে রিশাদ ১ চার ও ১ ছক্কায় ১৪ রান হজম করেন। সাকিব নিজের দ্বিতীয় ওভারেও ৯ রান দেন।
আর রিশাদ নিজের দ্বিতীয় ওভারের প্রথম বলে ১ ছক্কা হজম করলেও ওই ওভারের পঞ্চম বলে সালমান আলী আগার উইকেট শিকার করেন। ১২তম ওভারে নিজের তৃতীয় ওভার করতে এসে দুই ছক্কা হজম করা রিশাদ ফিরিয়েছেন শাদাব খান ও জিমি নিশামকে।
সাকিবের পরের ওভারের প্রথম বলে রান আউট হন নাসিম শাহ। যথারীতি ওই ওভারেও সাকিব ৯ রান দেন। ইসলামাবাদের বাকি যে দুটি উইকেট ছিল, সেটা শিকার করে লাহোরের বড় জয় নিশ্চিত করেন শাহিন আফ্রিদি।
গতকাল বল হাতে দুর্দান্ত ছিলেন লাহোর অধিনায়ক। ৩.১ ওভার বোলিং করে মাত্র ৩ রান দিয়েই ৩ উইকেট নিয়েছেন শাহিন। সালমান মির্জা ৩ উইকেট নিয়েছেন ১৬ রানে। আর রিশাদ ৩ উইকেট নিতে হজম করেছেন ৩৪ রান।