ঢাবি ছাত্রলীগ নেতার বাড়িতে জেলা ছাত্রলীগের হামলা


Rangpur | Published: 2021-04-23 22:01:14 BdST | Updated: 2024-04-19 10:34:20 BdST

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগ নেতা মাহফুজুর রহমান মুনের রংপুরের বাড়িতে হামলা চালিয়েছে জেলা ছাত্রলীগের বহিষ্কৃত সভাপতি ও তাঁর অনুসারীরা। এতে মুনসহ তাঁর পরিবারের সদস্যরা আহত হয়েছেন। গতকাল মঙ্গলবার দিবাগত রাত ৩টার দিকে এই হামলা চালানো হয়।

এদিকে এ হামলার ঘটনায় আজ বুধবার বেলা ১১টার দিকে জড়িতদের বিরুদ্ধে মামলা করেন ঢাবির শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হল ছাত্রলীগের গ্রন্থনা ও প্রকাশনাবিষয়ক উপসম্পাদক মাহফুজুর রহমান মুন। মামলায় মোস্তফা পারভেজ জিয়ন, মেহেদী হাসান জিম, আসাদুজ্জামান সজিব, মোহাইমেনুল রহমান মিথুনকে আসামি করা হয়েছে। তারা সবাই জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মেহেদী হাসান সিদ্দিকী রনির অনুসারী বলে অভিযোগ ভুক্তভোগী মাহফুজুর মুনের।

মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, গতকাল দিবাগত রাত ৩টার দিকে আসামিরাসহ ১০ থেকে ১২ জন এসে তাদের বাড়িতে হামলা করে। এ সময় মুনসহ তাঁর বাবা মোজাফফর রহমান ও মা মোর্শেদা বেগম বাইরে এসে অভিযুক্তদের হামলার কারণ জিজ্ঞেস করেন। কিন্তু হামলাকারীরা তাঁদের ওপর উল্টা মারধর এবং বাড়ির গ্রিল ভাঙচুর করে। এ সময় তাদের আলমারি ভেঙে প্রায় দুই লাখ টাকা ছিনিয়ে নিয়ে যায় আসামিরা।

এ বিষয়ে মাহফুজুর মুন বলেন, ‘হত্যার উদ্দেশ্যে আমাদের বাড়িতে হামলা চালানো হয়েছে। কয়েকদিন আগে আমি রংপুর জেলা ছাত্রলীগের মেয়াদোত্তীর্ণ ও বিতর্কিত কমিটি নিয়ে সমালোচনা করেছিলাম। এজন্য জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি রনি আমার প্রতি ক্ষুব্ধ। এর পরিপ্রেক্ষিতেই তাঁর নির্দেশে রাতের আঁধারে অস্ত্রসহ ১০ থেকে ১২ জন আমার বাড়িতে হামলা চালায়। এতে আমিসহ আমার বাবা-মা আহত হই। পরবর্তীতে আমি কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগকে বিষয়টি জানালে তারা এ ঘটনার ব্যবস্থা নেবে বলে আমাকে নিশ্চিত করেছেন।’

অভিযোগের বিষয়ে জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মেহেদী হাসান সিদ্দিকী রনি বলেন, ‘আমি ঘটনাটি শুনেছি। আমি সন্ধ্যায় তাঁর বাসায় যাব। কিভাবে কী হয়েছে সেটা খোঁজ নেব।’

হামলার নির্দেশদাতা হিসেবে অভিযুক্ত হওয়ার বিষয়টি অস্বীকার করেন রনি বলেন, ‘আমি হামলার নির্দেশ দিয়েছি কি না আপনি আরও খোঁজ নিয়ে দেখুন।’

এ বিষয়ে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি আল-নাহিয়ান খান জয় বলেন, ‘ঢাবি ছাত্রলীগ নেতার বাসায় এ ধরনের হামলা খুবই দুঃখজনক। ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে আমরা ব্যবস্থা নেব।’

কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রশিদ বলেন, ‘আমি একটা ট্রেনিংয়ে ছিলাম। বিকেলে আসছি। তারা অভিযোগ করে থাকলে মামলা হবে।’