ভোট কেনার সন্দেহে কুবি ছাত্রলীগ সভাপতি আটক, ছিনিয়ে নিল কর্মীরা


Desk report | Published: 2022-06-16 06:07:50 BdST | Updated: 2024-04-20 13:57:59 BdST

কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে টাকার লেনদেনে সম্পৃক্ত থাকার সন্দেহে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ইলিয়াস হোসেন সবুজকে আটক করে নির্বাচনী শৃঙ্খলা রক্ষায় ২৪নং ওয়ার্ডে দায়িত্বরত ভ্রাম্যমাণ আদালত।

পরবর্তীতে শাখা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা ঘটনাস্থলে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে উপস্থিত হয়ে ইলিয়াসকে পুলিশের গাড়ি থেকে তুলে নিয়ে গেছে। বুধবার (১৫ জুন) দুপুরে ক্যাম্পাসের প্রধান ফটক সংলগ্ন এটিএম বুথের সামনে এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার পরপরই ক্যাম্পাস এলাকায় বিক্ষোভ-মিছিলে অস্থিতিশীল হয়ে উঠে। 

পরবর্তীতে সেখানে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর কাজী ওমর সিদ্দিকী রানা, সহকারী প্রক্টর মাহবুবুল হক ভূইয়া তারেক, সদর দক্ষিণ থানা পুলিশের ওসি দেবাশীষ রায় উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি শান্ত করার চেষ্টা করেন।

প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, মেয়র পদপ্রার্থী আরফানুল হক রিফাত ২৪নং ওয়ার্ড পরিদর্শনে এলে হোসেন তার সঙ্গে দেখা করেন। তিনি চলে যাওয়ার পর ইলিয়াসকে সার্চ করে ম্যাজিস্ট্রেট ১৫ হাজার টাকা পায়। তখন সন্দেহের ভিত্তিতে তাকে আটক করে গাড়িতে তোলা হয়।

এ ব্যাপারে ইলিয়াস হোসেন বলেন, সকল প্রার্থী এবং প্রার্থীদের এজেন্টদের ডেকে এনে, যদি একজন বলতে পারে আমি কোনো প্রার্থীর পক্ষে একশো টাকা দেয়ার জন্য বলি তাহলে আমি যেকোনো শাস্তি মাথা পেতে নেব। উনি কেন আমাকে বলল আমি ভোট কিনেছি, কী কারণে আমাকে চার্জ করল? আমি জেলা প্রশাসক বরাবর লিখিত দেব। আমি এখানে এসেছিলাম নাস্তা করতে, আর উনি আমাকে এখান থেকে ধরে নিয়ে গেছে। আমি এই বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র আর ছাত্রলীগের সভাপতি আমার কাছে বিশ, পঞ্চাশ হাজার টাকা থাকা কি দোষের কিছু?

পরবর্তীতে কুমিল্লা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন আলোচনায় বসেন। আলোচনা শেষে কুমিল্লার জেলা প্রশাসক কামরুল হাসান জানান, নির্বাচন উপলক্ষে প্রার্থী, ভোটার, প্রশাসন সবাই কাজ করছে। সেখানে কিছু তথ্যগত ভুল থাকায় এরকম পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। আমরা ছাত্রদের সঙ্গে বসেছিলাম। তাদের যদি কোনো বক্তব্য থাকে তারা লিখিত দিলে আমরা তদন্ত করে দেখব। আমরা সবাই চাই সুষ্ঠ ও সুন্দর পরিবেশে যাতে নির্বাচনটি অনুষ্ঠিত হয়।