ওয়াটারগেট কেলেঙ্কারি: অল দ্য প্রেসিডেন্ট'স ম্যান


ঢাকা | Published: 2021-02-05 01:28:08 BdST | Updated: 2024-04-25 19:09:04 BdST

ওয়াটারগেট কেলেঙ্কারি ছিল ১৯৭০-এর দশকের মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের একটি রাজনৈতিক কেলেঙ্কারি। নির্বাচন প্রচারাভিযান চলাকালে ১৭ জুন, ১৯৭২ সালে ক্ষমতাসীন রিপাবলিকান দল ও প্রশাসনের ৫ ব্যক্তি ওয়াশিংটন ডিসির ওয়াটার গেইট ভবনস্থ বিরোধী ডেমোক্র্যাট দলের সদর দফতরে আড়িপাতার যন্ত্র বসায় এবং নিক্সনের প্রশাসন কেলেঙ্কারিটি ধামা-চাপা দেওয়ার চেষ্টা করে। এ ঘটনার ফলে তৎকালীন মার্কিন রাষ্ট্রপতি রিচার্ড নিক্সন ৯ই আগস্ট ১৯৭৪ সালে রাষ্ট্রপতির পদ থেকে পদত্যাগ করতে বাধ্য হন। কেলেঙ্কারির ঘটনায় নিক্সনের যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রপতির পদ থেকে পদত্যাগের ঘটনাটি প্রথম এই ধরনের ঘটনা। এই ঘটনায় বিচার ও দোষী সাব্যস্ত হওয়ার পর মোট ৪৩ জন ব্যক্তিকে কারাগারে প্রেরণ করা হয়; যাদের মধ্যে কয়েক ডজন ছিলেন নিক্সন প্রশাসনের শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তা।

ওয়াটার গেট কেলেঙ্কারি গণমাধ্যমে ফাঁস করা সাংবাদিকের নাম কার্ল বার্নস্টেইন।

প্রেসিডেন্ট নিক্সন এপ্রিল ২৯, ১৯৭৪ সালে টেপ এর উপর সম্পাদিত প্রতিলিখন মুক্তির ব্যাখ্যা করে একটি টেলিভিশন ভাষণ প্রদান করেন।

এ ঘটনাটি শুরু হয়েছিল ৫ জন ব্যক্তিকে গ্রেফতারের মাধ্যমে; যারা ১৭ জুন ১৯৭২ সালে ওয়াটার গেইট ভবনস্থ বিরোধী ডেমোক্র্যাট দলের সদর দফতরে চুরি করে প্রবেশ করেছিল। ফেডারেল ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশন (এফবিআই) প্রেসিডেন্ট নিক্সন এর প্রচারণার কাজে নিয়োজিত সরকারি প্রতিষ্ঠানের পুনরায় নির্বাচনের জন্য গঠিত কমিটির সংশ্লিষ্ঠতা খুঁজে পায়।

১৯৭৩ সালের জুলাইয়ে সিনেট ওয়াটারগেট কেলেঙ্কারি তদন্ত কমিটির সাবেক সদস্যরা রাষ্ট্রপতির কর্মকর্তাদের বিরোদ্ধে প্রমাণসহ তথ্য উপস্থাপন করেন; এতে উল্লেখ করা হয় যে, রাষ্ট্রপতি নিক্সনের অফিসে একটি টেপরেকর্ডার ছিল যা দিয়ে তিনি অনেক কথোপকথন রেকর্ড করে রেখেছিলেন।

এই রেকর্ড থেকে জানা গিয়েছিল রাষ্ট্রপতি নিজে এসব কেলেঙ্কারি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন। পরবর্তীতে আদালতের সাথে একটি তিক্ত লড়াইয়ের পর, উচ্চ আদালত রাষ্ট্রপতিকে এসকল টেপ আদালতে জমা দেওয়ার নির্দেশ দেন ও নিক্সন তা মেনে নেন।

হাউজ অফ রিপ্রেজেনটিটিভ দ্বারা অভিশংসন ও সিনেট দ্বারা দোষী সাব্যস্ত হওয়ার মুখোমুখী হওয়ার প্রাক্কালে তিনি ৯ই আগস্ট, ১৯৭৪ সালে রাষ্ট্রপতির পদ থেকে পদত্যাগ করেন। তার উত্তরসূরী গ্যারাল ফোর্ড ক্ষমতায় এসে পরবর্তীতে তাকে ক্ষমা করে দেন।