সরকার গঠনের পর সিদ্ধান্ত নেব দেশ কোন আইনে চলবে: তালেবান


Dhaka | Published: 2021-08-18 05:02:02 BdST | Updated: 2024-04-19 11:33:40 BdST

সরকার গঠনের পর তালেবান সিদ্ধান্ত নেবে দেশ কোন আইনে চলবে। কাবুলের নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার পর প্রথম সংবাদ সম্মেলনে মঙ্গলবার এ তথ্য জানিয়েছেন তালেবান মুখপাত্র জাবিউল্লাহ মুজাহিদ।

তিনি বলেন, সরকার গঠনের পর সব কিছু পরিষ্কার হবে। সরকার গঠনের পর আমরা সিদ্ধান্ত নেব এবং দেশের জনগণকে জানাব দেশ কোন আইনে চলবে।

তালেবান মুখপাত্র আরও বলেন, আমি স্পষ্ট বলতে চাই সরকার গঠনের বিষয়টি গুরুত্বের সাথে নিয়ে আমরা কাজ করছি। আমাদের কাজ সম্পূর্ণ হলে আমরা এ বিষয়ে ঘোষণা দেব।

দেশের সব ক’টি সীমান্ত তালেবানের নিয়ন্ত্রণে জানিয়ে জাবিউল্লাহ মুজাহিদ বলেন, আফগানিস্তানের স্থিতিশীলতা ও শান্তির জন্য আমরা সবাইকে ক্ষমা করেছি। আমাদের যোদ্ধা, আমাদের জনগণ, সব পক্ষ, সব উপদল, সবার অন্তর্ভুক্তি আমরা নিশ্চিত করব।

তিনি বলেন, যুদ্ধে যারা প্রাণ হারিয়েছে, তারা মারা গেছে শত্রুপক্ষের হয়ে লড়াই করতে গিয়ে। তারা প্রাণ হারিয়েছে নিজেদের দোষে। আমরা মাত্র কয়েকদিনের মধ্যে গোটা দেশ জয় করে নিয়েছি।

তালেবান মুখপাত্র বলেন, আফগানিস্তানের মাটি কারো বিরুদ্ধে ব্যবহার করতে দেওয়া হবে না। আমরা এ বিষয়ে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে আশ্বস্ত করতে চাই। আমাদের দেশ হবে সম্পূর্ণ নিরাপদ, এখানে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হবে। এখানে কেউ কিডন্যাপ (গুম) হবে না। দিন দিন আমাদের নিরাপত্তা বাড়বে।

কাবুলে তালিবানের পক্ষ থেকে কিছুক্ষণ আগে করা হল প্রথম সংবাদ সম্মেলন। "ইসলামি আমিরাত অব আফগানিস্তান" পরিচালনায় তালেবান মুখপাত্র জবিহুল্লা মুজাহিদ গুরুত্বপূর্ণ যে বিষয়গুলো উল্লেখ করেছেনঃ

★এখন থেকে কোন সশস্ত্র তালিবান আফগানিস্তানের কোন ঘরে প্রবেশ করবে না।
★ আফগানিস্তানে সকল নারী অধিকার নিশ্চিত করা হবে, অবশ্যই তা হবে ইসলামী আইনের ফ্রেম ওয়ার্কে।
★শরীয়ত অনুযায়ী আমরা নারীর অধিকার রক্ষায় বদ্ধপরিকর।
★আফগানিস্তানে এখন থেকে কেউ ক্ষতিগ্রস্ত হবে না এখানে সবাই নিরাপদ।
★এই দেশ হবে সব ধরনের মাদক মুক্ত
★এই দেশে আমরা আমাদের অভ্যন্তরীন কিংবা আন্তর্জাতিক কোন শত্রুকে আর দেখতে চাই না
★দেশের সকল বর্ডার এখন তালিবানের নিয়ন্ত্রণে সেখানে কোন অস্ত্র কিংবা মাদকের চোরাচালন কঠোরভাবে নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
★এই মুহুর্তে আফগানিস্তানের নিরাপত্তাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ
★সবার জন্য আমাদের পক্ষথেকে ক্ষমা, যদি সে আমাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধে সহায়তাও করে থাকে।
★ গণমাধ্যম কর্মীদের সকল অধিকার সুনিশ্চিত করা হবে, যা অবশ্যই ইসলামি শরীয়াহ অনুযায়ী।
★ আফগানিস্তানে অবশ্যই গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নিশ্চিত করা হবে, তবে তাদের ইসলামী মূল্যবোধের মর্যাদা অক্ষুন্ন রাখতে হবে।
★নিশ্চিত ভাবে মনে রাখুন, ২০ বছর আগের তালেবান এবং আজকের তালেবানে অনেক পার্থক্য।