তেহরানে ‘তীব্র হামলার’ নির্দেশ দিলেন ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী


নিউজ ডেস্ক | Published: 2025-06-24 16:27:11 BdST | Updated: 2025-07-12 05:54:13 BdST

ইসরায়েল ও ইরানের মধ্য যুদ্ধবিরতি শুরু হয়েছে বলে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ঘোষণা দেওয়ার কয়েক ঘণ্টার মাথায় তেহরানে সেনাবাহিনীকে তীব্র হামলা চালানোর নির্দেশ দিলেন ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল কাটজ।

কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার লাইভ আপডেটে এ তথ্য জানানো হয়। এতে বলা হয়, সংবাদমাধ্যমের তথ্য অনুসারে, ইসরায়েল কাটজ ইসরায়েলি সেনাবাহিনীকে ‘তেহরানের প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত সরকারি লক্ষ্যবস্তুতে তীব্র হামলা চালিয়ে জোরালোভাবে ইরানের যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনের জবাব দেওয়ার’ নির্দেশ দিয়েছেন।

ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর এখন আশ্রয়কেন্দ্র থেকে বেরিয়ে আসা নিরাপদ বলে জানানোর কিছুক্ষণ পরই এমন নির্দেশনা দিলেন দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী।

ইসরায়েলি প্রতিরক্ষামন্ত্রীর নির্দেশনার কয়েক ঘণ্টা আগেই মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ট্রুথ সোশ্যালে জানিয়েছিলেন, ইসরায়েল-ইরান পুরোপুরি ও সর্বাত্মক যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছে। যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়েছে।

ট্রাম্পের ওই বার্তার আগে ইরান ও ইসরায়েলও যুদ্ধবিরতি নিয়ে বার্তা দেয়। ইসরায়েলি সরকার তখন বিবৃতিতে জানায়, ইরানে হামলায় নির্ধারিত লক্ষ্য অর্জনের পর তারা আমেরিকার দেওয়া যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবে সম্মত হয়েছে। আর ইরানের পক্ষে বলা হয়, ইসরায়েল যদি আর হামলা না করে তবে তারাও হামলা চালাবে না। তবে শেষ পর্যন্ত যুদ্ধে বিরতি নয় বরং হামলা আরও বাড়তে শুরু করল।

গত ১৩ জুন ইরানের ওপর হামলা শুরু করে ইসরায়েল। ওই সময় দেশটডির পারমাণবিক স্থাপনা, সামরিক ঘাঁটি ও আবাসিক এলাকার ওপর চালানো হয় হামলা। এতে বেশ কয়েকজন শীর্ষ সামরিক কর্মকর্তা, পরমাণুবিজ্ঞানী ও সাধারণ নাগরিক নিহত হন। এ জবাবে পাল্টা হামলা শুরু করে ইরানও। দু পক্ষের হামলায়ই হতাহতের ঘটনা ঘটছে।

এ অবস্থায় মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প শুরু থেকে ইসরায়েলের পক্ষে সমর্থন দিতে থাকেন। এক পর্যায়ে ঘোষণা দেন, তারা ইসরায়েলের হয়ে ইরানে হামলা চালাবেন কি না, তা জানাবেন দু সপ্তাহের মধ্যে। এর মধ্যেই শনিবার মধ্যরাতে ইরানে সরাসরি হামলা চালায় আমেরিকা। সবশেষ মঙ্গলবার রাতে কাতার ও ইরাকের মার্কিন ঘাঁটিতে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় ইরান।