![](https://campustimes.press/uploads/shares/IMG-20240213-WA0006-2024-02-13-21-52-06.jpg)
১৪ ফেব্রুয়ারি স্বৈরাচার প্রতিরোধ দিবস স্মরণে ছাত্র-জনতার সমাবেশ করেছে ছাত্র ইউনিয়ন। মঙ্গলবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সন্ত্রাসবিরোধী রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে সমাবেশটি অনুষ্ঠিত হয়।
ছাত্র ইউনিয়ন কেন্দ্রীয় সংসদের সহ-সভাপতি শাহরিয়ার ইব্রাহিম মিমো এবং সাধারণ সম্পাদক মাহির শাহরিয়ার রেজার সঞ্চালনায় সমাবেশে বক্তব্য রাখেন যুব ইউনিয়ন কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম নান্নু, ছাত্র ইউনিয়ন ঢাকা মহানগর সংসদের সাধারণ সম্পাদক লাভলী হক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সংসদের যুগ্ম-আহ্বায়ক মাসুম রানা জয়, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় সংসদের সাধারণ সম্পাদক শরিফুল ইসলাম সৌরভ এবং নারায়ণগঞ্জ জেলা সংসদের সাধারণ সম্পাদক ফারহানা ইয়াসমিন চৈতী।
বক্তারা বলেন, "এরশাদ বিদায় নিলেও বাংলাদেশে গণতন্ত্র আসেনি। হাসিনা আজ এরশাদের জায়গা নিয়েছে। আওয়ামীলীগ গত ১৫ বছর ধরে স্বৈরাচারী কায়দায় দেশ পরিচালনা করে আসছে। এর থেকে মুক্তির জন্য ছাত্র-শ্রমিক-জনতার ঐক্যবদ্ধ লড়াইয়ের বিকল্প নেই।"
সভাপতির বক্তব্যে ইব্রাহিম শাহরিয়ার মিমো বলেন, "মজিদ খানের শিক্ষানীতি আজ আওয়ামীলীগ সরকার বাস্তবায়ন করছে। টাকা যার, শিক্ষা তার এই নীতিতে শিক্ষাব্যবস্থা চলছে। আমরা বহুবছর ধরে শিক্ষায় বরাদ্দ বাড়ানোর দাবি জানিয়ে আসছি। স্বৈরাচার হাসিনার পেটোয়া বাহিনী সাধারণ শিক্ষার্থীদের নির্যাতন, নিপীড়ন করে আসছে। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়েও ছাত্রলীগ নেতা ধর্ষণ করছে, তার বিরুদ্ধে সাধারণ শিক্ষার্থীরা আন্দোলন করছে। সেখানেও ছাত্রলীগ হুমকি ধামকি দিচ্ছে। আমরা ছাত্র-জনতার ঐক্যবদ্ধ লড়াইয়ে তাদের লড়াইয়ে পরাস্ত করবো। আপনাদের সেই লড়াইয়ে অংশগ্রহণের আহ্বান জানাই।"
সমাবেশ থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে সংহতি জানানো হয়
সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন ছাত্র ইউনিয়ন কেন্দ্রীয় সংসদের সাবেক সভাপতি মানবেন্দ্র দেব, মোঃ ফয়েজ উল্লাহ, কেন্দ্রীয় সংসদের সহকারী সাধারণ সম্পাদক প্রিতম ফকির, কোষাধ্যক্ষ সালমান রাহাত, রাজবাড়ী জেলা সংসদের সভাপতি কাওসার আহমেদ রিপন, ঢাকা মহানগর সংসদের সাংগঠনিক সম্পাদক প্রিজম ফকিরসহ প্রমুখ।
উল্লেখ্য, ১৯৮৩ সালের ১৪ই ফেব্রুয়ারি তৎকালীন শিক্ষামন্ত্রী মজিদ খানের কুখ্যাত শিক্ষানীতির বিরোধিতা করে এবং স্বৈরাচার এরশাদের শাসনের বিরোধিতা করে ছাত্ররা মিছিল বের করে। সেই মিছিলে এরশাদের পুলিশবাহিনি গুলি চালালে নিহত হন দীপালি, জয়নাল, কাঞ্চনসহ নাম না জানা আরও অনেকে।