করোনা ভাইরাসের নতুন ধরন ওমিক্রন বেড়ে যাওয়ায় সশরীরে ক্লাস-পরীক্ষাসহ প্রাতিষ্ঠানিক কোনো কার্যক্রমে অংশ নিতে চান না বাংলাদেশ টেক্সটাইল বিশ্বিবদ্যালয়ের (বুটেক্স) শিক্ষার্থীরা।
তবে অনলাইন কার্যক্রম চালানোর পাশাপাশি দীর্ঘ দিনের সেশন জটের নিরসনের দাবি তাদের।
কিন্তু বিশ্বিবিদ্যালয় প্রশাসন এসব দাবি না মানায় দাবি আদায়ে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করছে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।
শনিবার (৮ জানুয়ারি) বেলা ১১ টার দিকে তেজগাঁওয়ে বুটেক্সের সামনের মূল সড়কের উভয় পাশ অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু করেন শিক্ষার্থীরা।
এদিকে, শিক্ষার্থীদের অবরোধের কারণে রাস্তার দুই পাশেই যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। নাবিস্ক মোড়ে ডাইভারসন করে তেজগাঁও শিল্পাঞ্চলের ভেতর দিয়ে চলাচলের ব্যবস্থা করেছে ট্রাফিক বিভাগ।
এতে পুরো এলাকায় তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়েছে।
তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী আবুল কালাম বলেন, শিক্ষার্থীরা সড়ক বন্ধ করে রাখায় দুইপাশেই যানন চলাচল বন্ধ রয়েছে।আমরা শিক্ষার্থীদেরকে বুঝিয়ে সড়ক থেকে সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছি।
শিক্ষার্থীরা বলছেন, পরীক্ষার চেয়ে জীবন বড়, তাই ওমিক্রনের মধ্যে তারা পরীক্ষা দিতে চান না। করোনা ও ডেঙ্গুতে তাদের দুই শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়েছে৷ নতুন করে কারো জীবন সংকটে পতিত হোক তা চান না তারা।
৪৩ তম ব্যাচের ছাত্র রফিকুল ইসলাম বলেন, ওমিক্রনের সংক্রমণ বাড়ছে। এরমধ্যেই ১১ জানুয়ারি পরীক্ষার আয়োজন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। ওমিক্রন যদি আরো বাড়ে তাহলে পরীক্ষা চলাকালীন সময়ে যদি কেউ আক্রান্ত হয়, সেই স্বাস্থ্যঝুঁকির দায় নিতে হবে বিশ্ববিদ্যালয়কে। আমরা এ সংক্রান্ত চার দফা দাবি জানিয়েছি। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও রেজিস্ট্রার আমাদের দাবি মানার কোনো বক্তব্য দেয়নি। পরীক্ষাও পোছায়নি।
সশরীরে পরীক্ষার আয়োজন বন্ধ করে অনলাইনে পরীক্ষা হবে কিনা সেসংক্রান্ত নির্দেশনা দেয়নি। হল খোলা রাখা হলে করোনার ঝুঁকি বাড়বে। কারণ হলে একটি রুমে ৪-৬ জন থাকছে। সেখানে নিয়ম মানা কঠিন৷