৪৫তম বিসিএসের স্থগিত হওয়া লিখিত পরীক্ষা কবে নেওয়া হতে পারে, সেই রূপরেখা ঠিক করেছে সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি)। সাংবিধানিক এই প্রতিষ্ঠান মনে করছে, নির্বাচনের শেষে এই পরীক্ষা নেওয়া যাবে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে পিএসসির একজন নীতিনির্ধারক বলেন, ‘লিখিত পরীক্ষা নির্বাচনের পর নেওয়া হবে। আমরা ধরে রেখেছি, জানুয়ারির শেষ দিকে। সেটা হতে পারে ২০ থেকে ২৬ জানুয়ারির মধ্যে। এই সময়ের মধ্যে পরীক্ষা নেওয়ার প্রস্তুতিও নিয়ে রেখেছে পিএসসি।’
গত ২৪ নভেম্বর এক বিজ্ঞপ্তিতে ৪৫তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষা স্থগিত করে পিএসসি। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ২৭ নভেম্বর থেকে ১১ ডিসেম্বর পর্যন্ত ঢাকাসহ সব বিভাগীয় শহরে অনুষ্ঠিতব্য ৪৫তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষা অনিবার্য কারণে স্থগিত করা হয়েছে। পরীক্ষার নতুন তারিখ ও সময় যথাসময়ে কমিশনের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হবে।
২৭ নভেম্বর পরীক্ষা শুরুর সূচি প্রকাশ করেছিল পিএসসি। তবে জাতীয় নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর বিরোধী দলগুলোর চলমান হরতাল-অবরোধের কারণে এ পরীক্ষা স্থগিত চেয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের কাছে আবেদন করেছিলেন একদল পরীক্ষার্থী। ৪৫তম বিসিএসের মাধ্যমে ২ হাজার ৩০৯ জন ক্যাডার নেওয়া হবে। নন-ক্যাডারে নেওয়া হবে ১ হাজার ২২ জন।
ক্যাডার পদের পাশাপাশি প্রথমবারের মতো নন-ক্যাডার পদের সংখ্যা উল্লেখ করে এই বিসিএসের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে পিএসসি। ক্যাডার পদে যেমন পছন্দ নির্দিষ্ট করে দেওয়া যায়, তেমনই নন-ক্যাডার পদেও পছন্দের তালিকা নির্দিষ্ট করে দিতে পেরেছেন প্রার্থীরা।
গত বছরের ১৯ মে অনুষ্ঠিত ৪৫তম বিসিএস প্রিলিমিনারি পরীক্ষায় ৭৭ শতাংশ পরীক্ষার্থী অংশ নেন। ৩ লাখ ৪৬ হাজার পরীক্ষার্থীর মধ্যে অংশ নেন ২ লাখ ৬৮ হাজার ১১৯ জন। এর মধ্যে গতকাল প্রকাশিত ফলে দেখা যায়, পাস করেছেন ১২ হাজার ৭৮৯ জন। শতাংশের হিসাবে তা দাঁড়ায় ৪ দশমিক ৭৭।
সবচেয়ে কম সময়ে ৪৫তম বিসিএসের প্রিলিমিনারি পরীক্ষার ফল প্রকাশ করে রেকর্ড করেছে বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশন। গত বছরের ১৯ মে প্রিলিমিনারি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। সে হিসাবে পরীক্ষা নেওয়ার ১৭ দিনের মধ্যে ফল প্রকাশ করে পিএসসি। এতে উত্তীর্ণ হয়েছেন ১২ হাজার ৭৮৯ জন। তবে গত পাঁচটি বিসিএসের মধ্যে ৪৫তম বিসিএসের প্রিলিমিনারিতে সবচেয়ে কম প্রার্থী উত্তীর্ণ হয়েছেন, যা ৫ শতাংশেরও কম।