‘ওয়ার্ল্ড মিস ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ’ প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হয়েছেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের নাট্যতত্ত্ব বিভাগের ছাত্রী তাহমিনা অথৈ। প্রতিযোগিতায় প্রথম রানার আপ নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিকস ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ছাত্রী তাহসিন ওয়াজেদ এশা আর দ্বিতীয় রানার আপ হয়েছেন বিজিএমইএ ইউনিভার্সিটি অব ফ্যাশন অ্যান্ড টেকনোলজির ছাত্রী ফাতেমা ইয়াসমিন লিয়া।
শুক্রবার (১৭ নভেম্বর) চ্যানেল আই ভবনে জমকালো অনুষ্ঠানের মাধ্যমে নির্বাচিত করা হয়েছে ওয়ার্ল্ড মিস ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশকে। ডায়মন্ড ওয়ার্ল্ড পরিবেশিত এ প্রতিযোগিতায় ২৫ হাজার প্রতিযোগী অংশ নেন। এর মধ্য থেকে বিজয়ী হয়ে বেশ উচ্ছ্বসিত তাহমিনা অথৈ।
গ্র্যান্ড ফিনালে প্রধান বিচারক ছিলেন রিজেন্ট এয়ারওয়েজের শীর্ষ কর্মকর্তা হানিফ জাকারিয়া, আলোকচিত্রী অপূর্ব আবদুল লতিফ, আনন্দ আলো সম্পাদক রেজানুর রহমান, ফ্যাশন ডিজাইনার তামিমা শামস, প্রিয়তা ইফতেখার, ২০১৫-এর ওয়ার্ল্ড মিস ইউনিভার্সিটি মুনজেরী হাসান ও আবৃত্তিশিল্পী রূপা চক্রবর্তী।
১৯ ডিসেম্বর কম্বোডিয়ায় হতে যাচ্ছে ওয়ার্ল্ড মিস ইউনিভার্সিটি ২০১৭-এর গ্র্যান্ড ফিনালে। প্রতিযোগিতার চূড়ান্ত লড়াইয়ে অংশ নেবেন অথৈ।
অথৈ, এশা ও লিয়া ছাড়াও এই প্রতিযোগিতায় বেস্ট লুক স্ট্যামফোর্ড ইউনিভার্সিটির ফারহানা ইয়াসমিন আনিকা, বেস্ট স্মাইল শান্ত-মারিয়াম ইউনিভার্সিটির অনিন্দিতা মিমি, বেস্ট হেয়ার ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি, ফরিদপুরের শারমিন হেনা, বেস্ট স্কিন ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটির নূসরাত জাহান খন্দকার মেঘনা, বেস্ট পার্সোনালিটি ঢাকা সিটি কলেজর বিবিএর ছাত্রী আয়শা, মোস্ট স্টাইলিশ ইনডিপেনডেন্ট ইউনিভার্সিটির বিবিএ মার্কেটিংয়ের শিক্ষার্থী সাদিয়া সামাদ শর্মি এবং মিস কনজিনিয়ালিট ইনডিপেনডেন্ট ইউনিভার্সিটির প্রীতি আহাদ নির্বাচিত হয়েছেন।
এবার যিনি ওয়ার্ল্ড মিস ইউনিভার্সিটি হবেন তিনি সারা বিশ্বের জাতিসংঘের প্রতিনিধি হয়ে ছড়াবেন শান্তির বার্তা। ২৮ বছর ধরে জাতিসংঘের পৃষ্ঠপোষকতায় এই সুন্দরী প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে। এবার প্রতিযোগিতার ২৯তম আসর অনুষ্ঠিত হবে।
জাতিসংঘ সারা বিশ্বে শান্তি প্রতিষ্ঠায় কাজ করে। তাই তাদের পিস কিপিং প্রজেক্টে সারা বিশ্বের বিশ্ববিদ্যালয়ে পডুয়া মেয়েদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করার জন্য এই সুন্দরী প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। ব্যতিক্রমী এই আয়োজনের মাধ্যমে খুঁজে বের করা হবে এমন একজনকে, যিনি শুধু সৌন্দর্যের বিচারেই নয়, সেই সঙ্গে পড়াশোনা, সংস্কৃতি এবং সামাজিক ক্ষেত্রেও স্বাক্ষর রাখবেন নিজের মেধার।
বাংলাদেশে এবারের প্রতিযোগিতার আয়োজক প্রতিষ্ঠান ছিল অপূর্ব ডটকম। প্রতিষ্ঠানটির কর্ণধার আলোকচিত্রী অপূর্ব আবদুল লতিফ। প্রতিযোগিতার ইভেন্ট পার্টনার ছিল টেলিপ্রেস। টেলিপ্রেস মিডিয়ার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা হলেন মিডিয়া-ব্যক্তিত্ব রাজু আলীম।
এসএম/ ১৮ নভেম্বর ২০১৭